ইফতারির আনন্দ ভাগ করে নেই

ইফতার আনন্দময় একটি সময়। ইফতার যে আনন্দময় সময় একমাত্র তারাই বুঝবে যারা সারদিন রোজা রেখে ইফতার সামনে নিয়ে বসে। মুমিন ব্যক্তি পরিবারকে নিয়ে ইফতারে বসে। ইফতার সামগ্রী যাই হোক পরিবার সাথে নিয়ে ইফতারের আনন্দটাই আলাদা। ইফতারির সময়ের আনন্দটা আল্লাহ প্রদত্ত। রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে ১. ইফতারের সময় ২. আখারাতে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়’। ইফতার গ্রহণের পূর্বে নিম্মে উল্লেখিত দোয়া পাঠ করা উত্তম। দোয়াটি- আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন। অর্থ হল, হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
ইফতারিতে বাহারি খাবারে আনন্দ নয়। গতবারের চেয়ে এবারের ইফতারির আইটেম খুব কম। এজন্য মন খারাপ করা মুমিনের লক্ষন নয়। মুমিন ব্যক্তি ইফতারির সময়ে গুনাহ ক্ষমা করাতে পেরেছেন এটাই বড় আনন্দ। তিনি দেখেন নিজ আত্মীয়দের মধ্যে অনেকেই অসুস্থতার কারনে রোজা রাখতে পারেনি। । আমাকে আল্লাহ রোজা রাখার সক্ষমতা দিয়েছেন, এটাই আমার আনন্দ। ইফতারিতে বেশী খাবার খাওয়া আনন্দ নয়। হালাল খাদ্যবস্তু দ্বারা কিংবা একটু পানি দিয়েও ইফতার করলে আনন্দ পাওয়া যায়। যদি আল্লাহ রোজা কবুল করে। খেজুর, মিষ্টান্ন দ্বারা ইফতার করা সুন্নাত। অবশ্যই ইফতারিতে দেরী করা অনুচিত। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,আল্লাহ বলেছেন ‘আমার বান্দাদের মধ্যে সেই বেশি প্রিয় যে ইফতার তাড়াতাড়ি করে। ’ (তিরমিজি শরীফ, ২য় খণ্ড, হাদিস-৭০০)।
ইফতারিতে পরিবারকে নিয়ে দুই হাত তুলে দোয়া করার আনন্দটাই অন্যরকম। ছোট বড় সবাই বসে যায় ইফতারির সামনে। মোনাজাত করে প্রভূর দরবারে। এজন্য ইফতারি সামনে নিয়ে কিছুটা সময় বসে থাকা মোস্তাহাব। আল্লাহর ভয় আন্তরে রেখে সূর্যস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা। সামনে ইফতারি।খাবারে হাত রয়েছে। ইচ্ছা করলেই খাওয়া যায়। আল্লাহর আদেশ মান্য করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ইফতারের সময়ে আল্লাহর কাছ থেকে সকল কিছু চেয়ে নিতে হবে। কেননা ইফতারির সময়ের দোয়া কবুল হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না:১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া,২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, ৩. মজলুম বা অত্যাচারিতের দোয়া। মজলুমের দোয়া আল্লাহ তাআলা মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! নিশ্চয়ই আমি তোমায় সাহায্য করব কিছু সময় দেরি হলেও। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৯৮)
প্রিয় পাঠক,আমাদের পরিবারের আনন্দটা বাড়ির পাশে কিংবা আত্মীয় স্বজন ও অসহায়দের পরিবারে উপহার দেই। ইফতারির আনন্দ সবে মিলে ভাগ করে নিই। অন্যের আনন্দে আল্লাহ আনন্দিত হন। আল্লাহ আনন্দিত হলে আনন্দের বন্যা বয়ে যাবে হৃদয়ে। পুরুস্কার পাওয়া যাবে হাশরে। প্রিয় রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ সমপরিমাণ সাওয়াব ওই ব্যক্তিকে প্রদান করবেন যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে সামান্য দুধ দিয়ে কিংবা খেজুর দিয়ে কিংবা পানির শরবত দিয়ে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোনো রোজাদারকে পেট পুরে আহার করাবে আল্লাহ তায়ালা (কিয়ামতের দিন) তাকে আমার হাউজে কাউসারের পানি পান করিয়ে পরিতৃপ্ত করবেন। এ পানি পান করার পর জান্নাতে প্রবেশ করার আগে সে আর তৃষ্ণার্ত হবে না। হযরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল খাদ্য কিংবা পানি দ্বারা কোনো মুসলমানকে রোজার ইফতার করালো ফেরেশতাগণ রমজানে তার জন্য ইস্তিগফার করেন, হজরত জিবরাইল (আ.) শবে কদরে তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ’ (তাবরানী আল মু’জামুল কবীর, ৬ষ্ঠ খণ্ড, হাদিস-৬১৬২)।
লেখক:ইসলাম বিষয়ক গবেষক।
এমএসএম / এমএসএম

ইফতারির আনন্দ ভাগ করে নেই

মসজিদের ফান্ডের টাকায় ইফতার আয়োজন করা যাবে?

পবিত্র শবে বরাত আজ

কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা, আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা

২৯ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

২৮ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

আজকের নামাজের সময়সূচি

শরীর ও মনকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করুন এই উপায়ে

আজকের নামাজের সময়সূচি

০৮ ডিসেম্বর : নামাজের সময়সূচি

০৫ ডিসেম্বরঃ আজকের নামাজের সময়সূচি

০৩ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
