ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

নিষিদ্ধ হলেও হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে কর্মসূচী ঘোষণা


আব্দুল লতিফ রানা photo আব্দুল লতিফ রানা
প্রকাশিত: ৬-৩-২০২৫ দুপুর ৪:২৪

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর এখন প্রকাশ্যেই তৎপরতা চালিয়ে আসছে। জঙ্গি সংগঠনটি রাজধানীতে নাশকতাসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য তৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আগামি ৭ মার্চ শুক্রবার বাদ ‘জুমা’ রাজধানী ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইটে. মার্চ ফর খিলাফত কুর’আর নাযিলের মাসে খিলাফতে রাশিদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। ‘হিযবুত তাহরীর, উলাইয়াহ বাংলাদেশ’ নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, (খিলাফত বিহীন ১০১ বছর চলছে)। পোস্টারে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ, ২৮ রমজান ১৩৪২ হিজরী সারে কাফির উপনিবেশবাদী ব্রিট্রেনের চক্রান্তে তাদের দালাল কামালপাশা উসমানিয়া খিলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
জানা গেছে, এই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের নিয়ে প্রথমে রাজধানীসহ সারাদেশে কচিং স্টেন্টার প্রতিষ্ঠা করে। এরপর তাদের দিয়ে মেধাবী যুবকদের হিযবুত তাহরীরের সদস্য করার চেষ্টা করা হয়। পরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও উত্তরা এলাকায় একাধি কচিং সেন্টারের সন্ধান পায় দেশের গোয়েন্দারা।গত ২০০০ সালে জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ‘লিবারেটেড ইয়ূথ’ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল ক্যাম্পাসে গোপনে কার্যক্রম শুরু করে।পরে ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে সংগঠনটি প্রকাশ্যে তৎপরতা চালায়।২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি এই জঙ্গি সংগঠনটির নেতা কর্মীরা পুরোদমে প্রকাশ্যে আত্মগোপনে যায়।২০০৯ সালের ২০ মার্চ ছাত্র মুক্তির ব্যানারে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুনরায় আত্মপ্রকাশ করে বিক্ষোভ করে।
আর গত ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বর্তমান প্রধান উপদেস্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর আগমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিল করে হিযবুত তাহরীর।  সেই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় সেই মিছিলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের ৫ কর্মীকে গ্রেফতার করে। তাছাড়া নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশের অভিযানে আরো হিযবুত তাহরীরের ২১ জঙ্গিকে গ্রেফতার হয়। এরপর গত ২০১০ সালের মার্চে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটি ঝটিকা মিছিল করে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে শাহাদাত হোসেন সাইমুম ও মুসাফির (৩৮) নামে হিযবুত তাহরীর দুই কর্মীকে আটক করা হয়।
আবার একই দিন মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীরের ব্যানারে আরবী ভাষায় লেখা তিনটি ব্যানার নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল বের করে। মিছিলটি পল্টন মোড়ের দিকে যাবার পথে পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় মিছিল থেকে এক কর্মীকে আটক করে।
সুত্র জানায়, হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের সক্রিয় কর্মী ও নেতাদের মোবাইল ফোনে আড়ি পাতার কারণে তারা এখন এস এম এস ও ই-মেইলের মাধ্যমে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। আইন শৃংখলা বাহিনী নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটির ব্যাপারে তেমন তৎপরতা না থাকায় মারেঝ মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উকি মারছে। 
সংশিষ্ট সুত্র জানায়, গত ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য পলাতক ঢাকা দক্ষিনের মেয়র ফজলে নুর তাপসের উপর রাজধানীর মতিঝিলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।এরপর দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হিযবুত তাহরিরকে সন্দেহের তালিকায় রাখে। পরে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর মাসে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ‘বাংলাদেশ হিযবুত তাহরীর’কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। তার পর থেকেই হিযবুত তাহরীরের বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনষ্টিটিউটের (আইবিএ) এর সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদকে তার গ্রীন রোডের বাসায় গৃহবন্ধী করে রাখা হয়। পরে গোয়েন্দারা ব্যাপক অনসন্ধানের পর ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের মাধ্যমে মোরশেদুল আলম নামের হিযবুত তাহরীরের সাংগঠনিক সম্পাদককে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
আরেক সূত্র জানায়, হিযবুত তাহরীরের সাথে ‘উলাই’য়াহ বাংলাদেশ’ নামে নতুন শব্দ সংযোজন করা হয়েছে। ওই নামটি হিযবুত তাহরীরের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটির নাম রাখা হয়েছিল। রাজধানীতে হিযবুত তাহরীরের ১০টি পাঠচক্র রয়েছে। এ সব পাঠচক্রে পাকিস্তান, প্যালেস্ট্না, ইরাক, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের যুদ্ধ, মুসলমানদের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও ফুটেজ, স্থির চিত্র ও বিভিন্ন পুস্তিকা অধ্যায়নের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্ভুদ্ধ করা হয়। আর এসব পাঠচক্রের নামে মূলত মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে ধর্মের নানা প্রকার অপপ্রচার করা হচ্ছে। 
শুধু তাই নয়, ইসলামের নামে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মেধাবী ছাত্রদের মগজ ধোলাই করে ছাত্রদের জিহাদের দিকে আনা হয়। ছাত্র মুক্তির পাঠচক্রের নামে রাজধানীর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া, বনানী বাজার মসজিদ, কাটাবন, মোহাম্মদপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় মগজ ধোলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আর এসব প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ও কতিপয় শিক্ষকও রয়েছে। তাছাড়া হিযবুত তাহরীরের মহিলা সদস্যরা নগরীর ধানমন্ডি ১৫নম্বর রোড, পুরনো ঢাকার নয়াবাজার, বকশীবাজার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আজিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠচক্র করার তথ্য পাওয়া গেছে। ভয়ঙ্কর এই উগ্রবাদি জঙ্গি সংগঠনটির কোন নেতা কর্মীরা মোবাইল ফোন নম্বরও পারিবারিক ভাবেও ব্যবহার করে না। যে শুধু মাত্র তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাদের যে পোস্টার লাগানো হয়েছে, সেখানে শুধু ই-মেইল নম্বর দেওয়া রয়েছে। 

এমএসএম / এমএসএম

বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী প্রকল্পের মাটি ভরাটের প্রিলেভেল সার্ভে কাজে প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম-দুর্নীতি

মাদারীপুরের আলোচিত মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধার কোটায় একই পরিবারের চারজন করছেন সরকারি চাকরি

নিষিদ্ধ হলেও হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে কর্মসূচী ঘোষণা

মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অফিসার তৌহিদুলের শাস্তি দাবি

বিসিকের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাকিবুল হাসানের ঘুস-দুর্নীতি সমাচার

জমি ক্রয়ের নামে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসি স্বামীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুলের টাকার উৎস কি?

নার্গিসকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হোক

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকের ঢাকায় ১৯ বছরের লুটপাটের রাজত্ব

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি আবু সুফিয়ান এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টেন্ডার বাতিল এর অভিযোগ

পিডব্লিউডি এর কয়েকজন স্টাফের বিরুদ্ধে আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ