ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

স্নায়ু বিকাশ প্রতিবন্ধীদের সুইড বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১-৩-২০২৫ দুপুর ৪:১৭

 “সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব দ্য ইনটেলেকচুয়ালি ডিজ এবল্ড বাংলাদেশ” (সুইড বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। স্নায়ু বিকাশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সমাজে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক, কর্মসংস্থান, পুনর্বাসন, আত্মনির্ভরশীল ও অধিকার আদায়ের নিমিত্তে কাজ করার ভিশন নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সুইড বাংলাদেশ”।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মুলত হাসিনা স্বৈারচার সরকারের মদদ পুষ্ট কতিপয় সদস্য এই প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে। প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে অন্যতম সুইড বাংলাদেশের মেন্টর পদের কোন উল্লেখ না থাকলেও এখানে মেন্টর হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন। যিনি সুইড বাংলাদেশে অর্থ লোপাটকারী। প্রতিমাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন উত্তোলন করেন। 

জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন বেশ কয়েক বছর ধরে মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এধরণের দায়িত্ব পালন করতে প্রতিষ্ঠানটির গঠনতন্ত্র মতে সদস্যপদ স্থগিত করার বিধান থাকলেও মামুন তা করেননি। এ বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি সদস্যপদ স্থগিত করেছেন বলে দাবি করেন। এই প্রতিষ্ঠানে মেন্টর মামুন তার আত্মীয়-স্বজন ও নিজের এলাকার লোকবল নিয়োগ দিয়ে স্বজন প্রীতি করেছেন। চাকরি হারানোর ভয়ে এসব বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় অনেকেই। 

১৯-৩-২০১৯ তারিখে মোঃ লোকমান হোসেনকে ড্রাইভার হিসেবে ১৮,০০০ টাকা বেতনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩০ হাজার ২৩০ টাকা বেতনে তাকে চাকুরীতে নিয়মিত করা হয়। তারপর ২৫/৪/২০২১ তারিখে লোকমান হোসেনকে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কেয়ারটেকার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অফিসের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট লোকমানের বিরুদ্ধে। লোকমানের সকল দুর্নীতির প্রশ্রয়দাতা মেন্টর জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন ও মহাসচিব মাহবুবুল মনির।

সুইড বাংলাদেশের বর্তমান মহাসচিব মাহবুবুল মনির এককভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে তার আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানটির ক্রয় সংক্রান্ত একটি পারচেজ কমিটি ২০২২ সালের শেষের দিকে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিলুপ্ত করেন মহাসচিব , মাহবুবুল মনির এবং মেন্টর মামুন।

 লোকমানের মাধ্যমে মেন্টর ও মহাসচিব সকল আর্থিক অনিয়ম করে থাকেন বলে সুইড অফিসের পিয়ন থেকে কর্মকর্তা সকলের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মেন্টর কর্তৃক চাকরি হারানোর ভয়ে অফিসের কেউ মুখ খুলতে চান না। মাহবুব মনির একই সাথে সুইডের ধানমন্ডি শাখার সভাপতি, প্রতিবন্ধী ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট, কেয়ারাসসের সভাপতি এবং সুইড বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যা প্রতিষ্ঠানটির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী এবং একাধিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কারণে সুইড বাংলাদেশের মতো মানবিক সংগঠনে সময় দিতে পারেন না। মূলত তার হয়ে অফিস পরিচালনা করেন মেন্টর মামুন।

সুইডের প্রেসিডেন্ট ফরিদ আহমেদ অফিস পরিবহনের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি মাইক্রোবাস অনুদান হিসেবে প্রদান করেন যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো চ-৫৬-৩৯০৪। মাইকোবাসটি অফিসের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা থাকলেও মহাসচিব এককভাবে তার নিজের মতো করে ব্যবহার করেন এমনকি তার ছেলের বিয়েতেও এই গাড়ী ব্যবহার করেছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি নামাজের কথা বলে ফোন রেখে দেন।

সুইড বাংলাদেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফরিদ আহমেদ সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। গুঞ্জন উঠেছে সুইডের অভ্যন্তরিন অনিয়ম, দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকা লুটপাট প্রতিষ্ঠানটি আত্মীয়করণ, মেন্টর ও মহাসচিবের স্বেচ্ছাচারিতার জন্যই সভাপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যে সুইড বাংলাদেশকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেন। তার অনুদানকৃত টাকার সঠিক ব্যবহার হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তার অনুদানকৃত গাড়ি সম্পর্কিত বিভিন্ন অনিয়মের তদন্তও হয় সুইড বাংলাদেশে। এসকল বিষয়ে সভাপতির সাথে কথা কলতে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সুইড বাংলাদেশ অফিস থেকে এবং অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, মেন্টর মামুন ও মহাসচিব মনির এর সকল অপকর্ম আড়াল করে এই দুষ্ট চক্রকে রক্ষা করতে সুইড বাংলাদেশের সহসভাপতি মোঃ শাহ আলম, সাংস্কৃতিক সচিব রাশিদা জেসমীন রোজী, অর্থ সচিব জোবায়েদুর রহমান মিলন, ফকির মোঃ সোহেল সহ কয়েকজন অফিস কর্মকর্তা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সহসভাপতি মোঃ শাহ আলম এর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। রাজধানীর স্বনামধন্য বিদ্যালয় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল থেকে তাকে দুর্নীতির দায়ে চাকুরীচ্যুত করা হয়। শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট হয়ে আবারও ঐ প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদ নেন এবং তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, চাকুরি বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের নেতা ডাঃ ইকবাল প্রতিষ্ঠিত ভৈরবে একটি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সুইড বাংলাদেশ পরিচালিত কলেজ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মোঃ শাহ অলম।

এমএসএম / এমএসএম

স্নায়ু বিকাশ প্রতিবন্ধীদের সুইড বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট

বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী প্রকল্পের মাটি ভরাটের প্রিলেভেল সার্ভে কাজে প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম-দুর্নীতি

মাদারীপুরের আলোচিত মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধার কোটায় একই পরিবারের চারজন করছেন সরকারি চাকরি

নিষিদ্ধ হলেও হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে কর্মসূচী ঘোষণা

মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অফিসার তৌহিদুলের শাস্তি দাবি

বিসিকের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাকিবুল হাসানের ঘুস-দুর্নীতি সমাচার

জমি ক্রয়ের নামে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসি স্বামীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুলের টাকার উৎস কি?

নার্গিসকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হোক

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকের ঢাকায় ১৯ বছরের লুটপাটের রাজত্ব

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি আবু সুফিয়ান এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টেন্ডার বাতিল এর অভিযোগ