ঢাকা সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এখনো কাটেনি সেই 'আতংক' স্থানীয়দের একটাই দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ


মহিউদ্দীন মনজুর , আনোয়ারা photo মহিউদ্দীন মনজুর , আনোয়ারা
প্রকাশিত: ২৯-৪-২০২৫ দুপুর ৪:৮

সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ সালের এইদিনে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই,সন্দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ হারিয়েছেন। এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়েছেন।প্রলয়ংকরী এই তাণ্ডবের ৩৪ বছর পরও উপকূলীয় এলাকাগুলোর কিছু অংশ এখনো অরক্ষিত।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার পারকি এবং পরুয়াপাড়ার একাংশে বেড়িবাঁধে কোনো ব্লক দেওয়া হইনি।
রায়পুরের কয়েকটি ওয়ার্ডে এখনো অনেক স্থানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ হয়নি বিশেষ করে উঠান মাঝির ঘাট এব্বগ বাইঘ্যারো ঘাট এলাকার বেড়িবাঁধ এখনো অদৃশ্যমান।গলাকাটার ঘাট ছত্তার মাঝির ঘাট ও পারুয়াপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ যেই সাপোর্ট ব্লক দেওয়া হয়েছে সেগুলো দাবিয়ে যাওয়ার কারণে জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই অবস্থা। খোর্দ্দ গহিরা থেকে দোভাষীরঘাট এলাকা পর্যন্ত বিগত ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের দেওয়া ব্লক দিয়েই ৩৪ বছর চলছে সেই বেড়িবাঁধ এলাকার ভাঙ্গনরোধ।উপজেলার দক্ষিণ গহিরা এলাকা পুরোটাই বেড়িবাঁধের আওতায় আসলেও বেড়িবাঁধের নিচে থাকা মসজিদ এবং কবরস্থানসহ সবকিছু এখন বিলিন হওয়ার পথে।

স্থানীয়রা জানান,পুরো উপকূল এখনো স্থায়ী বেড়িবাঁধের আওতায় না আসায় আমরা উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা এখনো ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের খবর শুনলে এখনও আতংকিত হয়ে নির্ঘুম রাত পার করি।জলোচ্ছ্বাস অথবা ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিরা আমাদেরকে দেখতে আসে।তার আগে কারো খবর থাকেনা।বেড়িবাঁধ এর যেকোনো অংশে সাগরের উত্তালে পানি ঢুকে যায়।তাহলে আমাদের চাষাবাদ পশুপালন ঘরবাড়ি সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে।আমরা টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ চাই। 

উল্লেখ্য যে : এইদিনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল কক্সবাজার, মহেশখালী, চকরিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া,সীতাকুণ্ড পতেঙ্গাসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকা।বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ কিমি (১৫৫ মাইল/ঘণ্টা) এবং তার সাথে ৬ মিটার (২০ ফুট) উঁচু জলোচ্ছ্বাস।এই ঝড়ে মৃত্যুবরণ করেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন মানুষ এবং তার চেয়েও বেশি মানুষ আহত হয়। আশ্রয়হীন হয়েছিল কোটি মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির বিচারে এই ঘূর্ণিঝড় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পরিচিত।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছিল ২২শে এপ্রিল থেকেই।২৪ এপ্রিল নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে থাকে; ২৮ ও ২৯ এপ্রিল তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে রাতে আঘাত হানে এবং এর গতিবেগ পৌঁছায় ঘণ্টায় ১৬০ মাইলে।আর সেই রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানা ওই ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৪০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার এবং এ কারণে সৃষ্ট ৬ মিটার বা ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪২ জন।তবে বেসরকারি হিসাবে এর সংখ্যা আরও বেশি। ওই ঘূর্ণিঝড়ে মারা যায় প্রায় ২০ লাখ গবাদিপশু।

এমএসএম / এমএসএম

ধামইরহাটে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিজয়নগরে আসামী গ্রেফতার করায় অতর্কিত হামলায় এএসআই শেখ সাদী আহত

টেকনাফে মাদক সাম্রাজ্য: কাদের নিয়ন্ত্রণে ভয়ংকর চোরাচালান চক্র

হিট প্রজেক্ট প্রাপ্ত যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান

রাণীনগরের সেই শিক্ষক আনোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত

মাদারীপুরে ১৮০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৬ জন

টাঙ্গাইলে ৩৩১২ প্রার্থী থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় ৫০ জনের পুলিশে চাকরি

উত্তরবঙ্গ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস উদ্বোধন

নতুন শপথের মাধ্যমে বরগুনায় বিএনপি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

শ্রীনগরে রেলওয়ে আন্ডারপাস থেকে নারীর কাটা লাশ উদ্ধার

হাটহাজারীতে জশনে জুলুছ উদযাপিত

গলাচিপায় প্রকল্প বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বাউফলে ড. মাসুদের প্রচেষ্টায় মুক্তি পেল ৩ ইউনিয়নবাসী