ঢাকা বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

উলিপুরে নজির হোসেন ও নুর আলম দুই ভাইয়ের র‌শি তৈরির কারখানা


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি photo কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪-৫-২০২৫ দুপুর ২:৪

নজির হোসেন ও নুর আলম দুই ভাই। ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছেন। এস এস সি পাশের পর শিক্ষক বাবার সংসারে অভাবের কারণে নজির হোসেন পরিবারের হাল ধরতে পড়ালেখা না করে ২০০৩ সালে মুন্সিগঞ্জের মুক্তাপুরে একটি দড়ির কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে শ্রমিকের কাজ নেন। ছোট ভাই নুর আলম কিছুদিন পর সেখানে মেকানিক্সের কাজ নেন। তারা দুই ভাই প্রায় দুই দশক চাকরি করে তেমন কোন উন্নতি না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে  বাবার সহায়তায়   ধার দেনা করে ২ লাখ ৫০হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন দড়ি তৈরির কারখানা। বর্তমানে তাদের কারখানায় চারজন শ্রমিক কাজ করছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের রাজবল্লভ গ্রামে নিজ বাড়িতেই 'নজির হোসেন দড়ি ঘর' নামে দড়ি তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন।

সরেজমিনে  গিয়ে দেখা গেছে, মেশিনে সুতা দিয়ে দড়ি তৈরি হচ্ছে। আধাপাকা টিনশেড ঘরের মেঝেতে ১৫টি মেশিন বসানো হয়েছে। সেখানে নারী শ্রমিকরা কাজে ব্যস্ত তদারকি করছে নজির হোসেন নিজেই। সেখানে বিভিন্ন রঙের পাতলা, চিকন, মাঝারি ও মোটা সাইজের দড়ি তৈরি হচ্ছে। চাকরি ছেড়ে আসা দুই ভাইয়ের চোখে মুখে হতাশার ছাপ এখনো কাটেনি। প্রতি মাসে আয়ের বিপরীতে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। পুঁজির অপর্যাপ্ততা ও বৈদ্যুতিক লোডশেডিং এর কারণে এখনো তারা স্বনির্ভর ও স্বচ্ছল হতে পারে নাই। হাল ছাড়ছে না। তারা স্বপ্ন দেখে একদিন তাদের কারখানা অনেক বড় হবে। দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।

উদ্যোক্তার বাবা মাদরাসা শিক্ষক নুর মুহাম্মদ জানান, 'বড় ছেলে নজির হোসেন এসএসসি পাশ করে ২০০৩ সালে ঢাকায় একটি দড়ির কারখানায় চাকরি নেন। কিছুদিন পর ছোট ছেলে নুর আলম সেখানে কাজে যায়। দুইভাই সেখানে দীর্ঘদিন কাজ করলেও সন্তুষ্ট ছিল না। পরে তারা চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেরাই বাড়িতে কারখানা গড়ে তোলেন।'
তাদের কারখানার তৈরি ফিতা রশি গ্রমাঞ্চলে গরু, ছাগল, ভেড়া বাঁধতে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে ভ্যান, ট্রলি ও ট্রাকে মালামাল বাঁধার কাজে ব্যবহৃত হয়।

কারখানার শ্রমিক লাকী বেগম ও রওশন আরা জানান, আমাদের গ্রামে দড়ি তৈরির কারখানা গড়ে উঠবে কখনো ভাবতে পারি নাই। এটি তৈরি হওয়াতে বাড়িতে থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে হাজিরায় মজুরি পাচ্ছি। তাই দিয়ে দুই বছর থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালই চালাচ্ছি।

উদ্যোক্তা নুর আলম জানান, প্রথম দিকে চারটি মেশিন দিয়ে শুরু করি। পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৫টি মেশিন  কারখানা স্থাপন হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৬০ কেজি দড়ি উৎপাদন হচ্ছে যা তুলনামূলক অনেক কম। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মেশিনগুলো বিদ্যুৎ চালিত আমাদের এলাকায় নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকে না দিনে কমপক্ষে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে দুই থেকে তিন ঘন্টা লোডশেডিং থাকে  তাই উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

নজির হোসেন জানান, প্রথমে আড়াই লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে আসি এত টাকা ছিল না। বাবা ও আাত্মীয় স্বজনদের কাছে ধারদেনা করে কারখানা শুরু করি। তিনি আরো বলেন, দুই ভায়ের স্বপ্ন কারখানা বড় করা। এতে এলাকার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। তবে এর জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে উৎপাদন বাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

কুড়িগ্রাম বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন, তারা যোগাযোগ করলে তাদের সমস্যা  সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

এমএসএম / এমএসএম

আদমদীঘির কাঞ্চনপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম ৯ আসনে শামসুল আলমকে বিএনপি’র মনোনয়নের দাবি ১৫ সংগঠনের

গোপালগঞ্জে গ্রাম আদালত উন্নয়নে ডিএমআইই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

সিরাজদিখানে প্রবাসীর স্ত্রী শিউলি আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যু

ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময়

নরসিংদীর চরাঞ্চলে খেয়াঘাটে টাকা আদায় নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

ভোলায় ৬৭৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

মহেশপুরে আলমসাধুর ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক কলেজ ছাত্র নিহত

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান

‎সংবাদ প্রকাশের পর ডালারপাড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসনসহ নৌপুলিশ

হাতিয়ায় ৬ হাজার ৪০০ কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড

আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি করায় চাঁদপুরের পুরাণবাজারে বিক্ষোভ মিছিল

রায়গঞ্জে সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াত দুর্ভোগ, অর্ধলাখ মানুষের দুর্দশা