ধলেশ্বরী পারাপারেই যাদের গুরুদায়িত্ব
মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী সংলগ্ন মুক্তারপুর ফেরিঘাটে নদীর এপার - ওপারে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় ট্রলার। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। মুক্তারপুর ফেরিঘাটে ধলেশ্বরী নদী পারাপারের গুরুদায়িত্বটা যেন পুরোটা তাদের উপরই। বার বার বলা সত্বেও ঘাট ইজারাদার কে কোন কথাই শোনানো যাচ্ছেনা।
ট্রলার চালানোর দায়িত্বটা প্রাপ্তবয়স্কদের দেওয়ার কথা থাকলেও দেখা যায় উল্টো চিত্র।
সরেজমিন গিয়ে মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায় ধলেশ্বরীর মাঝ নদী থেকে এপাড় আসছে একটি ট্রলার। কিছুক্ষন অবস্থান করার পর ট্রলার ফেরিঘাটে এসে পৌছায়। তাতে ১০/১৫ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে ৪ জন মহিলা ও শিশু। ট্রলার চালিয়ে এসেছেন ২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে। তাছাড়া ট্রলারে আত্নরক্ষার জন্য নেই কোন সুরক্ষা সামগ্রী। এতে করে মাঝ নদীতে দূর্ঘটনা ঘটলে যেন করার কিছু নেই।
কথা হয় এপারে আসা নারি আমেনা বেগমের সাথে। প্রতিবেদক কে সে জানান, আমাদের বাড়ি মুক্তারপুর ঐপাড়ে। চলাচলের সুবিদার জন্য ফেরিঘাটে ট্রলারের মাধ্যমে পারাপার হই। পারাপারে আতঙ্ক থাকলেও ঝুকি নিয়েই চলাচল করি৷ তবে ট্রলারে যদি লাইফ জ্যাকেট ও সুরক্ষা সামগ্রী থাকে তাহলে অনেকটাই ঝুকি কম থাকবে। আমরা নিরাপদে পারাপার হতে পারি।
কয়েকজন মুক্তারপুর এপাড় স্কুলে পড়তে আসা শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা প্রতিদিন প্রাইভেট পড়ার জন্য ঐপাড়ে আসি। ট্রলার দিয়ে পারাপার হতে সুবিধা হয় তাই পারাপার হই। তবে ট্রলার চালানোর যারা কাজ করে তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক।
ট্রলার চালানোর প্রতি তাদের কোন প্রশিক্ষন বা কারিগরি জ্ঞান না থাকায় দূর্ঘটনার আশংঙ্কা থেকে যায়।
তাছাড়া মাঝ নদীতে দক্ষিনবঙ্গগামি ছোট বড় লঞ্চ সহ অসংখ্য নৌযান চলাচল করে থাকে। ব্যস্ততম ধলেশ্বরীর মাঝ নদীতে ট্রলারে যাত্রী পারাপার যেন এক আতঙ্কের নাম। সেই সাথে অপ্রাপ্তবয়স্ক অপ্রশিক্ষনপ্রাপ্ত শিশুদের দিয়ে ট্রলারে পারাপার যেন দূর্ঘটনার এক অপার সম্ভাবনা বলে দাবি স্থানীয় মহলের।
মুক্তারপুর ঐ পাড়ে দেওয়ান আইস এন্ড কোল্ড স্টোরেজসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। রয়েছে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়ি। জানা গেছে নৌপুলিশ ফাড়ির অনেক কর্মকর্তারা ফেরিঘাটের এই ট্রলারের মাধ্যমে পারাপার হয়ে থাকে। নৌপুলিশের নাকের ডগায় এমন চিত্র যেন তাদের নজরেই আসে না। অপ্রাপ্তদের দিয়ে ট্রলার চালানো আর ট্রলারে কোন সুরক্ষা সামগ্রী না থাকার ব্যাপারে নৌপুলিশের সঠিক তদারকি অব্যাহত থাকলে হয়তো মাঝ নদী পারাপারে ঝুকি কম থাকতো বলে মনে করছেন বিশেঞ্জরা।
মুক্তারপুর ঘাট ইজারাদারদের এমন কর্মকান্ডে অনেকেই হতভিম্ভ। স্থানীয়রা বলছেন, কম টাকায় অপ্রাপ্ত ছেলেদের দিয়ে কাজ করানো যায় তাই ইজারাদারেরা কম বয়সি ছেলেদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকে । স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায় দীর্ঘ সময় ধরেই অপ্রাপ্তদের দিয়ে ফেরিঘাটে এ কার্যক্রম চলে আসছে। ব্যস্ততম ধলেশ্বরীতে পারাপারে সঠিক জনবল এবং সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি জোর দাবি জানান স্থানীয় সুশিল সমাজ।
এ ব্যাপারে ঘাট ইজারাদার মোবারক হোসেন অভিযোগ অস্বিকার করে প্রতিবেদককে জানায়, আমার এখানে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে নেই। ট্রলারে সুরক্ষা সামগ্রী রাখার বিষয়ে আমি খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হামিদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম
ধামইরহাটে ইউনিয়ন পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপন্নতা যাচাই কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বালাগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ পালিত
বরিশাল ৩নং আসনে তৃণমুলের পছন্দের প্রার্থী আঃ ছত্তার খান
বাঁশখালীর সেই ভেঙে পড়া কালভার্ট নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করে দিলেন গণ্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান
কাউনিয়ায় আমন মৌসুমের ধান ও চাল ক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
রাজশাহী-১ আসনে ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী
ফ্যাসিস্ট,চাঁদাবাজ,জুলুমবাজদের আর ছাড় দেয়া হবেনাঃ ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম
আদমদীঘিতে জাতীয় প্রানি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রানি সম্পদ প্রদর্শনী
হাটহাজারীতে প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
নড়াইলে সর্বোচ্চ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার এসআই আমির হোসেন ও এএসআই রুহুল আমিন
পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘উচ্চ শিক্ষায় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মসূচি ও রিসার্চ মেথোডলোজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ
ধামইরহাটে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহে উদ্বোধনী প্রদর্শনী মেলায় দুম্বা প্রদর্শন