ঢাকা শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত


বজলুর রহমান‍ photo বজলুর রহমান‍
প্রকাশিত: ১৯-৭-২০২৫ বিকাল ৫:২৭

"আগে নিরাপত্তা, পরে কাজ; তাহলে বাঁচবে শ্রমিক সমাজ" – এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন (রেজিঃ নং ২২০৯) এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সভা-২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাব ওপেন হাউসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৯ জুলাই সকাল ১০:৩০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় কারিগরি ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, শ্রম সংস্থা কমিশনের চেয়ারম্যান, শ্রম সংস্কার কমিশন সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, এবং সাবেক প্রধান নির্বাহী, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ বি এম খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুকুজ্জামান ফারুক।

কেন্দ্রীয় সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক নির্মাণ শ্রমিক এবং সারা বাংলাদেশের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন তার বক্তব্যে ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:

১.  ২০০৬ সালের শ্রমিক আইন অনুযায়ী কর্মস্থলে আহত বা নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ধার্য ছিল। এখন কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে আহত বা নিহত হলে, তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০-১৫ লক্ষ টাকা ধার্য করতে হবে।
২.  শ্রমিকদের বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩.  নদী ভাঙন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪.  প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে হবে।
৫.  রেশন ব্যবস্থায় প্রতি শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৬.  বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজার হিসাবে শতকরা ৩০% কাজের মজুরি বাড়াতে হবে।
৭.  সরকারি শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৬৫ দিন এবং প্রাইভেট কোম্পানির শ্রমিকের সাধারণ ছুটি ১০৪ দিন। এখানে সরকারি ও বেসরকারি দুই শ্রমিকই বছরে ২টি বোনাস পায়। নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে আমরা কোনো সাধারণ ছুটি পাই না। তাই আমাদের বছরে ৫২ দিনের সাধারণ ছুটির ব্যবস্থা করা হোক।
৮.  নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে প্রায় সময় আমাদের রড, সিমেন্ট, রং সহ রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত পণ্য দিয়ে কাজ করে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তখন আমরা সরকারি কোনো সহযোগিতা পাই না। তাই আমাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং চাঁদাবাজি বন্ধের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৯.  প্রতি শ্রমিকের নির্মাণ কর্মস্থলে সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিকদের বিদেশে যাতায়াত ব্যবস্থায় স্বল্প পরিমাণ খরচ নির্ধারণ করতে হবে।
১১. প্রবাসী শ্রমিক যারা কর্মস্থলে নির্যাতিত হচ্ছে, তাদের সহযোগিতা দিয়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২. প্রতি খাতের শ্রমিকদের মতো, নির্মাণ শ্রমিকদের জন্যও বাজেট তৈরি করে শিল্প খাত হিসেবে বাংলাদেশে নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনকে যুক্ত করতে হবে।

এমএসএম / এমএসএম

স্টেডিয়াম এলাকায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

তুরাগে রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে

ই-কমার্স খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বাফেসাপ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেল ই-ক্রয় ডটকম

পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভা

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের আলোচনা সভা

বাড়তি টাকা দিলে কাগজপত্র ছাড়াই বাসায় পৌঁছে যায় ট্রেড লাইসেন্স

অডিট আপত্তির ভিত্তিতে রেলওয়ে মহাপরিচালকের অপসারণ বেআইনি : রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি

জুলাই সনদের দাবি নিয়ে শাহবাগ অবরোধ

আড়াইহাজারে বিএনপি'র অফিসের ভাড়া চাওয়ায় ঘর মালিককে হত্যা

ডেমরায় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচি

জুলাই গণঅভূখ্যান দিবস উপলক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা বৃদ্ধি

তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনার পতন ত্বরান্বিত হয়

সাব-ইন্সপেক্টরদের প্রতি পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের