ঢাকা শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত


বজলুর রহমান‍ photo বজলুর রহমান‍
প্রকাশিত: ১৯-৭-২০২৫ বিকাল ৫:২৭

"আগে নিরাপত্তা, পরে কাজ; তাহলে বাঁচবে শ্রমিক সমাজ" – এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন (রেজিঃ নং ২২০৯) এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সভা-২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাব ওপেন হাউসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৯ জুলাই সকাল ১০:৩০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় কারিগরি ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, শ্রম সংস্থা কমিশনের চেয়ারম্যান, শ্রম সংস্কার কমিশন সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, এবং সাবেক প্রধান নির্বাহী, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ বি এম খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুকুজ্জামান ফারুক।

কেন্দ্রীয় সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক নির্মাণ শ্রমিক এবং সারা বাংলাদেশের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন তার বক্তব্যে ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:

১.  ২০০৬ সালের শ্রমিক আইন অনুযায়ী কর্মস্থলে আহত বা নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ধার্য ছিল। এখন কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে আহত বা নিহত হলে, তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০-১৫ লক্ষ টাকা ধার্য করতে হবে।
২.  শ্রমিকদের বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩.  নদী ভাঙন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪.  প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে হবে।
৫.  রেশন ব্যবস্থায় প্রতি শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৬.  বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজার হিসাবে শতকরা ৩০% কাজের মজুরি বাড়াতে হবে।
৭.  সরকারি শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৬৫ দিন এবং প্রাইভেট কোম্পানির শ্রমিকের সাধারণ ছুটি ১০৪ দিন। এখানে সরকারি ও বেসরকারি দুই শ্রমিকই বছরে ২টি বোনাস পায়। নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে আমরা কোনো সাধারণ ছুটি পাই না। তাই আমাদের বছরে ৫২ দিনের সাধারণ ছুটির ব্যবস্থা করা হোক।
৮.  নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে প্রায় সময় আমাদের রড, সিমেন্ট, রং সহ রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত পণ্য দিয়ে কাজ করে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তখন আমরা সরকারি কোনো সহযোগিতা পাই না। তাই আমাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং চাঁদাবাজি বন্ধের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৯.  প্রতি শ্রমিকের নির্মাণ কর্মস্থলে সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিকদের বিদেশে যাতায়াত ব্যবস্থায় স্বল্প পরিমাণ খরচ নির্ধারণ করতে হবে।
১১. প্রবাসী শ্রমিক যারা কর্মস্থলে নির্যাতিত হচ্ছে, তাদের সহযোগিতা দিয়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২. প্রতি খাতের শ্রমিকদের মতো, নির্মাণ শ্রমিকদের জন্যও বাজেট তৈরি করে শিল্প খাত হিসেবে বাংলাদেশে নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনকে যুক্ত করতে হবে।

এমএসএম / এমএসএম

উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ফ্ল্যাট ও কার পার্কিং আইডি বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত

পেট্রোবাংলায় ২৯১ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে, প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

আ’লীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসায়ী তোপাজ্জলের কারখানায় হামলা-লুট

ব্যর্থতায় রাকিব-নাছির নেতৃত্বাধীন ছাত্রদল কমিটি ভাঙছে, আসছে নতুন নেতৃত্ব

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অরূপরতন চৌধুরী’র জন্মদিন

আলোচিত ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবিতে চাকরি পেলেন

মেট্রোপলিটন হিন্দু কর্মজীবী সমবায় সমিতির অর্থ তছরুপ

উত্তরার গণসমাবেশে আনোয়ার হোসেনের হাতে হাতপাখা তুলে দিলেন চরমোনাই পীর

উত্তর সিটির টেন্ডারবাজিতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দৌরাত্ম

চট্টগ্রাম দিয়ে পালাতে গিয়েও ব্যর্থ আলমগীর কবির ও রায়হান কবির

ধর্ষণের মামলায় এএসপি নাজমুস সাকিব গ্রেপ্তার হচ্ছে না, চাকরিতে থেকে তদন্ত প্রভাবিত করছেন

মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী: দায় এড়ানোর কৌশল খুঁজেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে

উত্তরার জসীমউদ্দীনে যানজট নিরসন: আলোচনায় টিআই জলিল