ঢাকা রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

পুলিশের ওপর হুমকি নয়, কৌশলগত কারণে বকাঝকা: ওজিয়ার রহমান


সোহেল পারভেজ, কেশবপুর photo সোহেল পারভেজ, কেশবপুর
প্রকাশিত: ৯-৮-২০২৫ দুপুর ২:৩৫

পুলিশকে হুমকি দেওয়ার ভাইরাল ভিডিও এবং তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দল থেকে বহিষ্কৃত কেশবপুরের জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট ওজিয়ার রহমান আজ শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, পুলিশের ওপর হুমকি নয়, বরং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে দুজন যুবককে বাঁচানোর জন্য তিনি কৌশলগত কারণে এসআই মকলেসুর রহমানকে একটু বকাঝকা করেছিলেন।

অ্যাডভোকেট ওজিয়ার রহমান ফেসবুক লাইভে জানান, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি একটি মামলার বিষয়ে কেশবপুর থানার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ৩ নং মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন এবং বিএনপি নেতা আবু সাঈদ। আলোচনা শেষে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে থানা থেকে বেরিয়ে আসার সময় তিনি দেখতে পান, থানার বারান্দায় ছাত্রদলের সভাপতি আজিজুর রহমান এবং ১৫-২০ জন নেতাকর্মী দুই যুবককে মারধর করার জন্য উদ্যত হয়েছেন। ওই দুই যুবক নিজেদের বাঁচাতে তার পেছনে আশ্রয় নিয়ে কাকুতি-মিনতি করেন। পরে তিনি জানতে পারেন, তাদের একজন ছাত্রলীগের সদস্য রাজিব এবং অন্যজন যুবজামায়াতের সেক্রেটারি ফারুক।

তিনি বলেন, মানবিক কারণে তিনি ওই দুই যুবককে আড়াল করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। এ সময় চিৎকারের আওয়াজ শুনে এসআই মকলেসুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং থানা অভ্যন্তরে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য তিনি কৌশলগতভাবে এসআই মকলেসুরকে একটু বকাঝকা করেন। তার উচ্চস্বরে কথা বলার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শান্ত হন এবং ওই দুই যুবককে বলেন, “ওজিয়ার ভাইয়ের কারণে আজকে তুই বেঁচে গেলি।”

তিনি আরও বলেন, দুই যুবকের আকুতির কারণে মানবিক দিক থেকে তিনি এসআই মকলেসুরের প্রতি উত্তেজিত হয়েছিলেন। এটি কোনো হুমকি ছিল না, বরং পরিস্থিতি মোকাবিলার একটি কৌশল ছিল। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে তার সম্পর্কের কোনো অবনতি হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন।

ঘটনার প্রেক্ষাপট:
উল্লেখ্য, জামায়াতের কেশবপুর উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি আইনজীবী ওজিয়ার রহমান কেশবপুর থানায় ঢুকে তার চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলামকে একটি মারামারির মামলায় কেন আসামি করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে এসআই মকলেসুর রহমানকে হুমকি দেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে পুলিশ কর্মকর্তাকে 'আওয়ামী লীগের দোসর' বলে ধমকাতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় এসআই মকলেসুর রহমান বাদী হয়ে গত ৩ আগস্ট ওজিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ৬ আগস্ট বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। জামায়াতের কেশবপুর উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ও অ্যাডভোকেট ওজিয়ার রহমানকে ৬ আগস্ট রাতে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং তাকে সংগঠনটির সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এমএসএম / এমএসএম

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম : এ্যাড. আজিজ মোল্লা

ভোলাহাটে বাগান নষ্ট ও হুমকির ঘটনা: প্রশাসন তদন্তে, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী

জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম

যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০

নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা

কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি

কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি

নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত

দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল

গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

পরিবর্তনের স্বপ্ন পূরণ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি : আসাদুল ইসলাম মুকুল