কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির দাবি
সরকার উৎখাতের কর্মসূচির সময় কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এবং সার্কেল ট্যাক্স কর অফিসের বৈষম্য বিরোধী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি, আধাসরকারি এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ও সার্কেল ট্যাক্স কর অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে বদলি ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলেও, আন্দোলনের প্রকৃত মদদদাতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে তাদের রক্ষার চেষ্টা চলছে। এখনো কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে কাফনের কাপড় পরে কর্মসূচি পালন এবং সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিলেও তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, বিশেষ করে যারা কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন এবং বিভিন্ন বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যমে সরকারবিরোধী আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। তাদের কারণেই কাস্টম হাউসের হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
জানা যায়, কাস্টমসের যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন, তাদের মধ্যে অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন (কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটে কর্মরত), কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান মজিব (বাকাএভ নেতা) এবং কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম (বাকাএভ নেতা) উল্লেখযোগ্য। অভিযোগ উঠেছে, আগারগাঁওয়ের রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান যিনি আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী, তিনি এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের মো. আলহেলাল তাজ (সিপাই মহাসচিব, বাকাস), কাস্টমস ঢাকা পূর্ব কমিশনারেটের সাব ইন্সপেক্টর মো. মাহবুব হোসাইন (বাকাস সহ-সভাপতি), কাস্টমস পশ্চিম কমিশনারেটের সিপাই মোহাম্মদ শামসুদ্দিন (সাংগঠনিক সম্পাদক), কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের সিপাই মো. বাবুল হোসেন (বাকাস নেতা), কাস্টমস বৃহত্তর করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ঢাকার সিপাই মো. আবুল হোসেন (সাংগঠনিক সম্পাদক) এবং কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের সিপাই মো. মনজুরুল ইসলাম (আঞ্চলিক কমিশনারেট নেতা) কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তাদের পাশাপাশি আরও যারা জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট মো. মিজানুর রহমান সহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, কাস্টমসের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে দেশের রাজস্ব আদায় বন্ধ করে দেশকে অচল করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিলেন। তারা যেন কোনোভাবেই শাস্তির আওতা থেকে রক্ষা না পান। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই শেষে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এমএসএম / এমএসএম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা
গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক
আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ
যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত
গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা
মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের