ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে উধাও সমাজসেবা কর্মকর্তা


মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি photo মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২-৮-২০২৫ দুপুর ৪:১৯

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পসহ দুস্থদের প্রায় ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিনি নানা অজুহাতে সহকর্মীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।

সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল ২৮ জুলাই থেকে কর্মক্ষেত্রে আসছেন না। এর আগে তিনি কার্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে থাকা ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করে হাতিয়ে নেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ২৯ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ১৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে জমা দেয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সমাজসেবা কার্যালয় ও তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেল স্বাক্ষর জাল করে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির ৪ লাখ ৭৫ হাজার, মাতৃকেন্দ্রের ঋণ কর্মসূচির ৫ লাখ ১৩ হাজার, ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের ১ লাখ ৪০ হাজার ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ২২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেন। এ ছাড়া অফিসের কর্মীদের থেকে ঋণ বাবদ ২ লাখ ও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের থেকে মায়ের অসুখসহ নানা অজুহাতে আরও কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন।

অফিস সহকারী নিজামুল আজাদ বলেন, ‘মোজাম্মেল স্যার ২৭ জুলাই অফিস করেছেন। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত আর অফিসে আসেননি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’

উপজেলার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘একজন সমাজসেবা কর্মকর্তা পরিবারের কারও অসুস্থতার কথা বলে টাকা ধার চাইলে কে না দেবে বলেন? আমিও বেশ কয়েক হাজার টাকা দিয়েছি। পালিয়ে যাওয়ার পর অনেক কর্মকর্তাই বলছেন, তাঁদের কাছ থেকেও একইভাবে টাকা ধার নিয়েছেন মোজাম্মেল। এর পরিমাণ কয়েক লাখ হবে।’

এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহ আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। মোজাম্মেল হক ৩৩ লাখ টাকার বেশি অবৈধভাবে অফিসের ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করেছেন বলে তদন্তে পাওয়া গেছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সরকারি টাকা মেরে হজম করার কোনো উপায় নেই। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে, চাকরি যাবে, গ্রেপ্তার হবে এবং টাকাও ফেরত দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে জানতে সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুর্গাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করেন মোজাম্মেল। সেখানেও তিনি আর্থিক অনিয়ম করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁকে তিরস্কার দণ্ড দিয়ে মোহনগঞ্জে বদলি করা হয়।

এমএসএম / এমএসএম

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু

শিবচরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন