ঢাকা শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের লাগামহীন দুর্নীতি: আইন শুধু কাগজে, প্রয়োগের মুখে কুলুপ


এম এস রহমান  photo এম এস রহমান
প্রকাশিত: ২৬-৮-২০২৫ দুপুর ১:৫২

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (গাউক) লাগামহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এখন এতটাই প্রকট যে, তাদের কার্যক্রমে আইনের শাসন বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না। কাগজ-কলমে কঠোর আইনি বিধান থাকলেও, এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে গাউকের কর্মকর্তারা যেন চোখে ঠুলি পরে আছেন। তাদের কার্যক্রমে ভয়-ভীতির পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের পকেট ভরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রমতে, গাউকের উচ্ছেদ অভিযান এখন এক তামাশায় পরিণত হয়েছে। আইনি প্রয়োগের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা দিনের পর দিন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কর্তৃপক্ষের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের কৌশল এতটাই স্পষ্ট যে, সাধারণ মানুষ এখন বুঝতে পারছে, আইন এখানে শুধুই কাগজে সীমাবদ্ধ, প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতিই শেষ কথা।

বহু বছর আগে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত গার্মেন্টস শিল্প কারখানাতেও এখন অবাধে ছাড়পত্র ও প্ল্যান পাস দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই ধরনের শিল্প স্থাপনা এত বছর ধরে কীভাবে অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল এবং হঠাৎ করে কিসের বিনিময়ে তাদের বৈধতা দেওয়া হচ্ছে? স্পষ্টতই, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে চোখ বন্ধ করে এসব অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের পরিবেশগত ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

গাউকের নজর যেন কেবল বড় বড় গার্মেন্টস শিল্প কারখানা ও কল-কারখানার দিকেই নিবদ্ধ। এদের কাছ থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকায়, তারা আবাসিক প্রকল্পগুলোর দিকে বিন্দুমাত্র নজর দিচ্ছে না। ফলে গাজীপুরের আবাসিক এলাকাগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে, যেখানে না আছে সঠিক রাস্তাঘাট, না আছে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ করে তুলে গাউক কর্মকর্তারা নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, গাউকের কতিপয় কর্মকর্তা আইনের দুর্বল প্রয়োগের সুযোগ নিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছেন। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আইনি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলেন এবং হয়রানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করেন। সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পাওয়ার পরিবর্তে দুর্নীতির জালে আটকা পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে।

গাজীপুরকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিবর্তে গাউক এটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। এই পরিস্থিতির দ্রুত অবসান না হলে গাজীপুরের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এই নৈরাজ্য বন্ধ করা অসম্ভব। এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে, নাকি গাউকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এভাবেই আইনের চোখে ধুলো দিয়ে যাবেন?

এমএসএম / এমএসএম

বিআরটিএতে বিতর্কিত কর্মকর্তা তোফাজ্জলকে বহাল রাখায় প্রশ্ন

মাওনায় ‘মিথ্যে মৃত্যু’ নাটক মাদার্স কেয়ার হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর হয়রানির অভিযোগ

উত্তরায় শিমুল আহমেদের নেতৃত্বে যুবদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন

সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ্ রাকিবের বারী সিদ্দিকী পদক অর্জন

বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইংয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা নিয়োগে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ

১২ বার ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবু সালেহ রনি

গুলশানে রাজউকের মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান

ঢাকা-৫ আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান সাদিল আহমেদ

উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাবের নুতন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

কে এই প্রতারক নাহিদ,পরিচয় ও তার পেশা কি ?

রাজউকের জোন ৬/২-এ ভবন নির্মাণে অনিয়ম দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের না দেখার ভান

মনোহরদী থানার ওসি দুলাল আকন্দের বিরুদ্ধে আইজিপির কাছে অভিযোগ