ঢাকা রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ


শামীম আহমদ photo শামীম আহমদ
প্রকাশিত: ৪-৯-২০২৫ রাত ৯:৫৩

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, তামাক একটি প্রাণঘাতী দ্রব্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি শুধু ধূমপায়ীকেই নয়, পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ধূমপায়ী হিসেবে তার আশেপাশের মানুষদেরও ক্ষতির শিকার করে। বিবিএসের তথ্যমতে, তামাকের আগ্রাসনে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। এই ভয়াবহ বাস্তবতার কারণে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে সমবেত হওয়া তরুণ-তরুণী, নারী ও শিশুদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা জরুরি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে নারী মৈত্রী কর্তৃক আয়োজিত ‘তরুণ-তরুণী, নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, তরুণ-তরুণী, নারী ও শিশুরাই আগামীর কাণ্ডারি, আর নারীরাই হলো সেই কাণ্ডারি গড়ার কারিগর। তাদের সুস্থ রাখার অন্যতম শর্ত হলো তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা। এ লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি অবিলম্বে প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাশ করার জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, তামাকের আগ্রাসনে প্রতিদিন ৪৪২ জনের প্রাণ যাচ্ছে, যা একটি মহামারীর মতো। একটা রাষ্ট্র এতটা উদাসীন হতে পারে না। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস নিয়ে সরকারের মধ্যে যে দ্বিমত আছে, তা খন্ডন করতে হবে।

সেমিনারে জানানো হয়, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল এফসিটিসি-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বেশ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনাগুলো হলো—পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করা, সকল ধরনের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তরুণ-তরুণীদের রক্ষা করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের সচিত্র সতর্কবার্তা শতকরা ৯০ ভাগ বৃদ্ধি করা।

সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো পাস হলে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। এটি বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা দূর করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশসমূহের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে এবং জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এমএসএম / এমএসএম

শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রবীণদের পাশে থাকতে হবে

যাত্রাবাড়ীর অন্বেষা কর্পোরেশন (প্রদীপ ব্রান্ড) নিয়ে বিতর্ক

কোটিপতি হয়েও সরকারি খাস জমি দখল করে দোকান ভাড়া দিচ্ছেন আব্দুল হাই গং

মালিবাগে সোনার দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি, ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ

গুলশান থানা এলাকা হবে অপরাধ মুক্ত: ওসি হাফিজুর রহমান

বিএসটিআই মহাপরিচালকের সাথে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ইন্তিফাদা বাংলাদেশের

সদরঘাট পাইকারি বাজারে আগুন

ঢাকা ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদ সভা

সঠিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার না হওয়ায়, কাজ সম্পূর্ণে ব্যর্থ হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

রাজধানীর গুলশান-বনানী মণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জন শেষে মা দূর্গার শান্তির জল প্রদান

‘সমন্বয়ক’পরিচয়ে উত্তরায় বেপরোয়া আকাশ

উপকূলীয় নারীদের কথা তুলে ধরলেন অধ্যাপক ড. জুলফিকার