ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা ও ৫ দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন


হারুনুর রশিদ মিয়া photo হারুনুর রশিদ মিয়া
প্রকাশিত: ১০-৯-২০২৫ রাত ১০:৩

আজ ১০/০৯/২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখ বুধবার বিকাল ৫ঃ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যবস্থাপনায় এবং স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আয়োজনে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা সহ ৫ দফা দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক ড. মো . মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা, ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোঃ মঞ্জুরুল হক, সিনিয়র শিক্ষক সিকান্দার আলী খান, বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মাহমুদ সালমী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ও সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুক, গাজীপুর রানী বিলাস মনি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর সিনিয়র শিক্ষক আসাদুজ্জামান নূর, ৩৪ বিসিএস নন ক্যাডার শিক্ষক নেতা আল মাসুম লিয়েন প্রমূখ। 

লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের (২০০৩) সুপারিশে ২ নং ক্রমিকে বলা আছে, "মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তত্ত্বাবধান, প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করা কাম্য। উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়াদি অন্য অধিদপ্তর গঠন করে সেখানে ন্যস্ত করা যেতে পারে।" অর্থাৎ এখানে মাধ্যমিকের জন্য একটি আলাদা অধিদপ্তরের সুপারিশ করা হয়েছে। উক্ত সুপারিশে ৫ নং ক্রমিকে আঞ্চলিক উপপরিচালকের কার্যালয় কে পরিচালক (মাধ্যমিক) পদ সৃষ্টি করে সেখানে মাধ্যমিকের শিক্ষক- কর্মকর্তাদের পদায়নের কথা বলা হয়েছে। সুপারিশে ৯ নং ক্রমিকে  জেলা শিক্ষা অফিসারে পদকে উপপরিচালক এর সমমর্যাদার ক্ষমতা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয় ১৯ নং ক্রমিকে বলা হয়েছে শিক্ষকদের ক্যারিয়ার উন্নয়নের পথ খোলা রাখতে হবে। শিক্ষকতা যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মসম্পাদন দক্ষতার মাধ্যমে তারা যেন উচ্চতর পদে উন্নীত এবং নিয়োগ পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত শিক্ষকবৃন্দ যাতে পর্যায়ক্রমে সিনিয়র শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক এবং উচ্চমাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে এবং পরিচালক পদেও নিয়োগের সুযোগ পেতে পারেন তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতো চমৎকার একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং ইতিবাচক এতো গুলো সুপারিশ থাকার পরেও মাধ্যমিক শিক্ষা, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে আলাদা একটি অধিদপ্তরের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। ২০০৩ সালের শিক্ষা কমিশনের পর গঠিত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ সুস্পষ্টভাবে মাধ্যমিকের জন্য একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রীদের কলেজ প্রীতির কারণে (ভবনের শাহেদুল খবির চৌধুরী ও চাঁদপুরের কলেজ অধ্যক্ষ রতন গং দের ) জাতীয় শিক্ষা কমিশন ২০০৩ অর্থাৎ অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া স্যারের কমিশনের সুপারিশ ও শিক্ষানীতি ২০১০-এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা মাধ্যমিকের উন্নয়নে আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি। এ সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনগুলো একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধনের মাধ্যমে আলাদা অধিদপ্তরের দাবি জানালেও সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়োজিত মন্ত্রীবর্গ শিক্ষকদের এ ন্যায্য দাবি কে আমলে নেননি! গত বছর জুলাই বিপ্লবের পর ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সচিব কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গুলোকে সংস্কার পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর সংস্কার পরিকল্পনা দাখিল করে। যেখানে মাউশিকে দুটি অধিদপ্তরে রুপান্তরের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিলো। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে ২০১০ সালের শিক্ষানীতির আলোকে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ও কর্মমুখী করতে ২০১৫ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নামে আলাদা একটি অধিদপ্তর করা হয়। একই সাথে কারিগরি শিক্ষার জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় সাবেক শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডঃ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এবং তৎকালীন শিক্ষা সচিব ডঃ শেখ আব্দুর রশিদ (বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব) সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অলাদা অধিদপ্তরের যৌক্তিকতা এবং গ্রাউন্ড তুলে ধরে অন্তবর্তী সরকারের এই সময়ে মাধ্যমিকের জন্য স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানানো হয়। মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিব মহোদয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে তাদের যৌক্তিক দাবি এবং জাতীয় শিক্ষা কমিশন ২০০৩ ও ২০১০ এর শিক্ষানীতির ফান্ডামেন্টাল দিক বিবেচনা করে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে মর্মে আশ্বস্থ কারণে তারই অংশ হিসেবে গত ০৩ আগস্ট' ২০২৫ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর নামে দুটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপস্থাপিত ওই সারসংক্ষেপে আলাদা অধিদপ্তরের যৌক্তিকতা অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। বিশেষ করে গত ২ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) কর্তৃক আয়োজিত"Impact analysis on education governance and Management"শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে বিয়াম ফাউন্ডেশন গবেষণা ও পরামর্শ সেবা কেন্দ্র একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করে, যেখানে শিক্ষা প্রশাসন ব্যবস্থাপনার বর্তমান কাঠামোর পরিবর্তে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর হিসেবে দুটি পৃথক অধিদপ্তর সৃজন করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য এই জাতীয় কর্মশালাটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিদের (সব পর্যায়ের স্ট্রেক হোল্ডার বা অংশীজনদের) অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়। মূলত সেখানে মাধ্যমিক শিক্ষার আধুনিকায়ন, মাধ্যমিক শিক্ষাকে মানসম্মত, যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী করার লক্ষ্যে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা অংশীজনের আলোচনা ও বক্তব্যে উঠে এসেছে। এছাড়াও গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সচিব কমিটির সভায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য মার্চিং অর্ডার প্রদান করায় মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সময়াবদ্ধ সংস্কার পরিকল্পনা দাখিল করা হয়।  উল্লিখিত প্রস্তাবনা সমূহের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কে "মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর" এবং "উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর" এ দুটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে সম্পন্ন করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আরো উল্লেখ্য যে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের জানুয়ারি ২০২৫ এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শিক্ষা সার্ভিসের সংস্কারের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কে পৃথক করার সুপারিশ করা হয়। মধ্য মেয়াদি এই সংস্কার পরিকল্পনায় পৃথক মাধ্যমিক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কে ভেঙে দুটি আলাদা অধিদপ্তর করার প্রস্তাব করা হয় এবং কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদটিকে গ্রেড-১ এ উন্নীত করার প্রস্তাবনাও রাখা হয়েছে। 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অক্টোবর ২০২৪ নাগাদ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, মাননীয় সিচিব, অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক), যুগ্ম সচিব, উপসচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, বিয়াম,  মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (মাধ্যমিক), উপপরিচালক (সাধারন প্রশাসন) সহ শিক্ষা ক্যাডারের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের (উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সিনিয়র শিক্ষক ‍ও সহকারী শিক্ষক) সমন্বয়ে এ কর্মশালায় সর্বসম্মতভাবে দুইটি আলাদা অধিদপ্তর এর ব্যাপারে সুপারিশ গৃহীত হয়। এরপরে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও মাধ্যমিকের জন্য আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ডিসেম্বর ২০২৫ নাগাদ (মধ্য মেয়াদী)এটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়।  এরই ধারাবাহিকতায়  ৩ আগস্ট ২০২৫ এ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বর্তমান মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা এবং বিদায়ী সচিব এর স্বাক্ষরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অধিদপ্তর আলাদা করার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। যা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সূত্র ও পত্রিকা মারফত আমরা জানতে পেরেছি যে ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাও আলাদা অধিদপ্তরের ফাইলে অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র এবং পত্রিকা মারফতে আরো জানা গেছে যে এটি যাতে না হয় একটি মহল সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদিত এবং সকল শিক্ষা কমিশন কর্তৃক সুপারিশ কৃত মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তরের গেজেট প্রকাশের জোর আবেদন জানাচ্ছি। একই সাথে মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকের এন্ট্রিপদ নবম গ্রেডে উন্নীত করে সরকারি কলেজের ন্যায় একটি চার স্তরীয় একাডেমিক পদসোপান বাস্তবায়নের দাবি করছি। আঞ্চলিক উপপরিচালকের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতার সংরক্ষণ সহ মাধ্যমিকের সকল কার্যালয়ের স্বাতন্ত্র ও মর্যাদা রক্ষা এবং বিদ্যালয়ে পরিদর্শন শাখার সকল শূন্য পদে নিয়োগ পদোন্নতি ও পদায়ন করার দাবি করছি। একই সাথে অনতিবিলম্বে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষকের দীর্ঘদিনের বকেয়া সিলেকশন ও টাইম স্কেল এর মঞ্জুরী আদেশ প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের, বঞ্চিত সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির এবং বকেয়া টাইম স্কেল  ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরী আদেশের গেজেট করতে হবে। তবে ওই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী পাঁচ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ৬৪ জেলায় একযোগে বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে এবং বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির  সার্বিক ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন এর  এবং ঐদিন ৬৪ জেলা থেকে একযোগে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

এমএসএম / এমএসএম

৩ দিন ব্যাপী প্রিমিয়াম হোল্ডিং এর বর্ষপূর্তী অনুষ্ঠান ও একক আবাসন মেলা

মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা ও ৫ দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত

তেজগাঁও মডেল হাই স্কুলের মেইন গেইট উদ্বোধন করেন সাইফুল আলম নীরব

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা এখন ডাকসুর নির্বাচনে

সেনা সদরের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে গণঅধিকার পরিষদ

উত্তরায় খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের ষষ্ঠ দিনেও সক্রিয় অংশগ্রহণ মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিনের

মৃত্তিকায় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

‎বারবার অভিযানের পরও থামছে না উত্তরা রেসিডেন্স আবাসিক হোটেলের অনৈতিক কার্যকলাপ

যানবাহনের ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বেসরকারি খাতে প্রদানে দূর্ণীতির আশঙ্কা

ডেমরায় নেশার টাকা না দেয়ায় বাবার সাথে ধস্তাধস্তিতে ছেলের মৃত্যু

নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণ না করায় দক্ষিণখানে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মানিক ও যুবলীগ নেতা মনির (আলাল-দুলাল) দুই ভাই বেপরোয়া