বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

"৮১টি প্রকল্প বাদ গেলে পিছিয়ে পড়া ১৩জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আশা ভেঙে যাবে" "প্রকল্পগুলো বাতিল না করে মাননীয় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে বিশেষ নজর দেয়ার অনুরোধ বান্দরবানের ১৩ জনগোষ্ঠীর"
অংশিংনু মারমা, জেলা প্রতিনিধি, বান্দরবান : অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেন পিছিয়ে পড়া ১৩ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি একে একে ঐ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পানীয়জল ও যোগাযোগ খাতে নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন।
তাদের বক্তব্য আমলে নিয়ে থানজামা লুসাই পরিষদের সদস্যদের সরেজমিনে পাঠান। সদস্যরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাস্তব চিত্র দেখে সুপারিশসহ প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেন। এসব প্রস্তাব পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য। কিন্তু পরে জানা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৮১টি প্রকল্প অনুমোদনের তালিকা থেকে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাদ দেয়া হয়েছে।
এতে করে পাহাড়ি বাঙালি সহ ১৩ জনগোষ্ঠীর বসবাস জেলার সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাদের দাবি, এত পরিশ্রম করে সরেজমিন তদন্তের পর প্রকল্প প্রণয়ন করা হলেও যদি সেগুলো অনুমোদন না হয়, তাহলে উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হবে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক থানজামা লুসাই দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। তারা তাদের সুখ-দুঃখ, চাহিদা ও সমস্যা খোলামেলা জানিয়েছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সদস্যরা মাঠে গিয়ে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ৮১টি প্রকল্প বাদ পড়ে গেছে। এটা অবশ্যই দুঃখজনক। তিনি বলেন, আমি ১৩জনগোষ্ঠীর হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার কাছে হাত জোর করে অনুরোধ করব যাতে কোনো প্রকল্প বাদ না যায়। তিনি ১৩ জনগোষ্ঠীর অনুরোধ অবশ্যই রাখবেন।
জানা গেছে, বাতিল হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে জীবিকা উন্নয়ন সংক্রান্ত ২টি, ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের ২৪টি, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত ৯টি, ৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ধর্ম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে ২৪টি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২টি এবং ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার গৃহায়ণ ও সম্প্রদায়গুলোর উন্নয়নে আরও ২০টি প্রকল্প গ্রহণ করে জেলা পরিষদ।
এদিকে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অংচমং দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে বান্দরবান দারিদ্র্য প্রতিযোগিতায় ৬৫ শতাংশ কোটায় পৌছে গেছে। অতীতে বান্দরবানে ১৩ জনগোষ্ঠীর মানুষ সরেজমিন পর্যায় উন্নয়ন থেকে কি পরিমাণে বঞ্চিত ছিল এটা ভাবলেও ভয় হয়। তাই প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নে সরকারের বিশেষ নজর দরকার।
তিনি আরও যোগ করেন, আমার বিশ্বাস, মাননীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বান্দরবানের ১৩ জনগোষ্ঠীর বাস্তব সুখ দুঃখের কথা বুঝবেন এবং তাদের জন্য বিশেষ নজর দেবেন। কারণ তিনি ইতিমধ্যে পাহাড়ের শিক্ষা, কৃষি ও যোগাযোগ খাতে উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
১৩ জনগোষ্ঠীর পক্ষে দৈনিক সকালের সময় সঙ্গে কথা বলেন, মো: আকবর হোসেন (৬৩) মংহ্লাচিং (৫৬) সিংচং ম্রো (৬৭) মালোটি ত্রিপুরা (৪৬) মিনু খিয়াং (৩৭)। তাদের ভাষ্যমতে, এতগুলো প্রকল্প বাদ পড়লে ১৩জনগোষ্ঠীর বসবাস দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ, সামাজিক খাতে বড় ধরনের ক্ষতি হবে। প্রকল্পগুলো বাতিল না করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মাননীয় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে বিশেষ নজর দেয়ার অনুরোধ বান্দরবানের ১৩ জনগোষ্ঠীর।
এমএসএম / এমএসএম

বালু খেকোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে নাঃ ইউএনও তরিকুল ইসলাম

বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ
