যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স বেসরকারি খাতে না দিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি
যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বেসরকারি খাতে না দিয়ে বিআরটিএ এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আবেদন করেছেন বাংলাদেশ অটোরিকসা অটোটেম্পু ও টেম্পুকার চালক মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন।
তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব এর কাছেও পৃথক পৃথক আবেদন করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে বেসরকারি খাতকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। এর আগে বেসরকারি খাতে ইতিপূর্বে লাইসেন্স প্রিন্টিংয়ের মাদ্রাস সিকিউরিটিস কোম্পানী লিঃ ও অন্যান্য খাতে টাইগার আইটি এবং সিএনএস কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা পায়নি। ১৯৮৭ সনে ২০ ডিসেম্বর বিআরটিএ ২০০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বিআরটিএর কর্মকর্তা কর্মচারী সংখ্যা ৭ শতাধিক। কিন্তু এত কম সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়েও বিআরটিএ বাংলাদেশব্যাপী সেবা দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দেশে বিআরটিএ এর কর্মকর্তা কর্মচারীর নূন্যতম প্রয়োজন ৩০০০ জন।
বিভিন্ন সময়ে জনবল নিয়োগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ফলে সিমিত সংখ্যক জনবল নিয়েই সংস্থাটি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ এ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস দেওয়ার কায্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই পদ্ধতিতে সেবার মান উন্নত হবে। ৮০’র দশকে যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্র পুলিশ প্রদান করিতেন। কিন্তু তখন পুলিশের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের আন্দোলনের ফলে সরকার ১৯৮৭ সালে বিআরটিএ গঠন করা হয়।
তাই বিআরটিএ এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোন সংস্থার নিকট গাড়ির ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের দায়িত্ব প্রদান করার কোন প্রয়োজন নেই। হানিফ খোকন বলেছেন, বিআরটিএ’র নিবন্ধিত প্রায় ৬৩ লাখ মোটরযান এবং ২৮ লাখ পেশাদার ও ৩৭ লাখ অপেশাদার ড্রাইভারের জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ১১৭ ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে। গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এর আগে বিআরটিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত ২২৮২ সংখ্যক জনবলের বিপরীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩১৫টি সুপারিশ করলেও অর্থবিভাগ কর্তৃক ৯৬ সংখ্যক জনবল অনুমোদিত হয়। আর প্রতিটি সার্কেল অফিসে মোটরযান পরিদর্শনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোর অভাব। বিআরটিএ এর সার্ভিসসমূহ ভিন্ন ভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নভাবে প্রদান করা হচ্ছে। কমপক্ষে ১০০০ (এক হাজার) মোটরযান পরিদর্শকসহ অন্যান্য বিভিন্ন পদের মোট ৪০০০ (চার হাজার) নতুন পদ সৃজন ও জনবল বৃদ্ধির প্রভাব প্রেরণ। ৮টি বিভাগীয় শহরসহ ১০টি স্থানে মোটরযান ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের দাবি করা হয়েছে।
তাছাড়া, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় মেট্রো সার্কেলের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। বিআরটিএ আউটসোর্সি এ জনবল নিয়োগ বন্ধ করে প্রয়োজনে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক বিআরটিএ কর্তৃক লোকবল নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বিআরটিএ এর দক্ষ কর্মকর্তাদের পরিচালক প্রশাসন, এনফোর্সমেন্ট ও অপারেশন পদে পদন্নতি প্রদান করা। চালকদের দক্ষ করতে বিআরটিএ এর নিজস্ব প্রশিক্ষক দ্বারা চালক ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন বলেও মনে করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা
গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক
আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ
যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত
গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা
মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের