ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চর আষাড়িয়াদহে পদ্মার ভাঙনে ৩০০ পরিবার ছাড়ছে প্রিয় জন্মভূমি


জাহিদুল ইসলাম, গোদাগাড়ী photo জাহিদুল ইসলাম, গোদাগাড়ী
প্রকাশিত: ১৫-৯-২০২৫ বিকাল ৫:১৪

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে পদ্মার ভাঙন। গত এক সপ্তাহে ইউনিয়নের অন্তত চারটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নটির আয়তন প্রায় ৩৬ বর্গকিলোমিটার। পদ্মার বিশাল জলরাশির ওপারে অবস্থিত এই চরাঞ্চলটি। চরাঞ্চলটি ঘেঁষে ভারতীয় সীমান্ত। প্রতিবছরই নদীভাঙনের শিকার হয়ে চরের জমির পরিমাণ কমছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে একসময় পুরো ইউনিয়নই মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।সোমবার সরেজমিনে হঠাৎপাড়া, চর বয়ারমারি, কামারপাড়া, জামাইপাড়া ও আমতলা খাসমহল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই ঘরবাড়ি ভেঙে নৌকায় মালামাল তুলছেন। কারও বাড়ির অর্ধেক ভাঙনের কবলে পড়েছে, কেউ আবার সবকিছু সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমনকি নদী ভাঙ্গনে নদীতে তলিয়ে গেছে ১নং ওয়ার্ড।

জামাইপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, “পদ্মার ভাঙনে দুইবার বাড়ি সরাইছি। এবার আর চরে থাকার জায়গা নাই। ভাইয়ের বাড়িতে ওপারে চলে যাইতেছি।”হঠাৎপাড়া গ্রামের মোঃ আশরাফুল হক  জানান, ১৫ বছর আগে একবার ভাঙনে বাড়ি সরাইছিলাম। এবার আর থাকার জায়গা নাই। বাইপাস মোড়ে দুই কাঠা জমি কিনছি, সেখানেই যাচ্ছি। নৌকায় মালামাল নিয়ে পার হচ্ছিলেন বয়ারমারি গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা বেগম। তিনি বলেন, ছয় বছর আগে একবার বাড়ি ভাইঙছিল। জন্মের পর থেকে চরে থাকতেছি, কিন্তু এবার আর থাকা হলো না। ভাসুরের বাড়িতে উঠমু, পরে জমি কিনে আবার ঘর করমু।

চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন বেড়েছে। অন্তত ৩০০ পরিবার চরের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। আমরা শুধু ১০ কেজি করে চাল দিতে পেরেছি। যাদের সবকিছু নদীতে গেছে, তাদের কাছে এটা কিছুই না। সরকারকে দ্রুত পাশে দাঁড়াতে হবে। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমাদের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ১১০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। তালিকা প্রক্রিয়া চলছে। পুনর্বাসনের জন্য ঢেউটিন দেওয়া হবে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রাজশাহী শহরসংলগ্ন পদ্মার বিপৎসীমা ১৮.০৫ মিটার। গত সপ্তাহে পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭.৪৯ মিটার। সোমবার পানি নেমে ১৬.৮৫ মিটারে দাঁড়ালেও চরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও তলিয়ে আছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন আরও তীব্র হচ্ছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে গোটা চর আষাড়িয়াদহ একসময় পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে, যা বড় ধরনের ভৌগোলিক সমস্যার কারণ হবে।

এমএসএম / এমএসএম

ভুরুঙ্গামারী মহিলা কলেজে নবীনদের গাছ দিয়ে বরণ করলো উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল

নবীনগরে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজে নবাগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ওরিয়েন্টেশন ক্লাস

নরসিংদীতে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

চন্দনাইশে বাসের সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-৩, আহত-৭

কুড়িগ্রামে আমনের ভরা মৌসুমে ইউরিয়া সহ বিভিন্ন সার সংকট

চর আষাড়িয়াদহে পদ্মার ভাঙনে ৩০০ পরিবার ছাড়ছে প্রিয় জন্মভূমি

ভূরুঙ্গামারীতে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির চেষ্টা, মাংস মাটিতে পুঁতে ফেললো প্রশাসন

নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, ফেনীতে আবদুল আউয়াল মিন্টু

অভয়নগরের ৭৫ দিনে কুকুরে কামড়ে আক্রান্ত ৬০৫ জন

সন্দ্বীপে ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েতের উঠান বৈঠক, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির আহ্বান

কুষ্টিয়ায় পূজা উদযাপন কমিটির সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রত্যয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চৌদ্দগ্রামে চিকিৎসার জন্য দেশে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু