কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক পানিতে পড়ে যাওয়া জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত ঘোষণা করা শিশুকে দাফনের সময় নড়েচড়ে ওঠে ওই শিশুটি। আবার ওই শিশুটিকে কমলগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৌলভীবাজার রেফার করা হয়। পরিবারের সদস্যরা ওই শিশুটিকে মৌলভীবাজার শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা দিকে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ঘোড়ামারা গ্রামের মাসুক আলীর দুই বছরের শিশু সন্তান আসরাফুল ইসলাম পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কনিকা সিনহা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করার সময় শিশুটি নড়েচড়ে ওঠে। পরে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎকরা তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এ সময় শিশুর স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করলে কমলগঞ্জ হাসপাতালে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে শিশুটিকে মৌলভীবাজার শহরের হোপ ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের ভুল তথ্যে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করায় দীর্ঘ সময় শিশুসহ তার পরিবারের সদস্যরা হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চিকিৎসায় অনেক সময় নষ্ট করায় শিশুটি মারা গেছে। চিকিৎসকের দায়িত্বহীনতায় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীরা অভিযোগ করে বলেন, জীবিত শিশুকে নিয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে দুবার আসা-যাওয়ার ফলে সময়মতো সুচিকিৎসা সেবা পায়নি। সেজন্য মারা যায়।
শিশুর চাচা বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই মাসুক মিয়ার দুই বছরের শিশু আশরাফুল সকাল ৯টার সময় বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে পুকুর থেকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কনিকা সিনহা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ঘোষণার পর আমরা শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করার সময় হঠাৎ নড়েচড়ে উঠে। পরে স্থানীয়রা জীবিত আছে বললে আবারো তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে নিয়ে গেলে হাসপাতালে ডাক্তার শিশুটিকে ভর্তি না করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলেন। আমরা শিশুটিকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আমি সিলেটে একটি সভায় আছি। হাসপাতালে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণার বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলে জানান।
এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা
