ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের পর চাঁদপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের পরে চাঁদপুর জেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন পেশার লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন তেমন প্রভাব পড়েনি। কারো কারো মতে নির্বাচন পূর্বে বড় রাজনৈতিক দলের লোকজন সাধারণ মানুষের সাথে আছে বললেও বাস্তবে তা আর হয় না।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুরের রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন পেশার লোকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।
সদরের মৈশাদি এলাকার সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক নুরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের নির্বাচনের পরে এলাকায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলোচনা বেড়েছে। তবে শিবিরের বিজয়ের কারণে জামাতের অবস্থান ভালো হবে এমন আলোচনা এখন লোকজনের মধ্যে।
চাঁদপুর জেলা কিন্ডারগার্টে এসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের ফলাফল দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আলোচনা ভাটা পড়েছে। কারণ রাজনৈতিক দলের নেতারা সাধারণ মানুষ নিয়ে চিন্তা করেনা। তাদের নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সাধারণ মানুসের আস্থার জায়গা অর্জন করতে পারছে না। মুখে বললেও বাস্তবে তা করছে না।
চাঁদপুরের আইনজীবী ও সাহিত্যিক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের সাথে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রভাব পড়বে না। সাধারণ মানুষ এই নির্বাচনের পার্থক্য খুবই কম বুঝে।
চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহবায়ক কমিটির সদস্য কেএম সালাউদ্দিন বলেন, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের পরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চাঙ্গা হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কীনা এটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যে সংশয় ছিলো তা কেটেছে।
চাঁদপুর জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইয়াছিন ইকরাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা কমেছে। তবে সাধারণ মানুষ চায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সাধারণ মানুষের আলোচনার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক আলোচনা খুবই কম। তবে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন এমন আলোচনা অনেকের মুখে।
চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান বলেন, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবশ্যই প্রভাব পড়বে। নির্বাচনী আলোচনা এখন অনেক বেড়েছে। সাধারণ মানুষের আমাদেরকে বলছেন তারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে চায়। নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে সাধারণ মানুষ।
চাঁদপুর জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট জেলার সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন লিটন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। নির্বাচনী আলোচনা এখন চাঙ্গা। কারণ বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন আসনে ইতোমধ্যে অনেক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। তারা যেন নিজ নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগ বাড়ায়।
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. হারুন অর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের ফলাফলে সকলে দৃষ্টি ছিলো। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ফলাফল বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সতর্কতা বেড়েছে। তারা আগামী নির্বাচনকে কোনভাবেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।
এমএসএম / এমএসএম

চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের ভিডিও এডিটিং কর্মশালা সম্পূর্ণ

টেকনাফে বজ্রপাতে নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার

রাজশাহীতে আজকের দর্পণ'র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশে চাকরি

বাউফলে ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য প্রকল্পের ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

বিপাকে আগাম সবজি চাষীরা কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট

তানোরে বিএনপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, ভোটের আগে প্রত্যাহারের দাবি

ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের পর চাঁদপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

রায়পুরে ইউএনও-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, পরে ক্ষমা চাইলেন অটোচালক ও মালিক শ্রমিকরা

ধামরাইয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পিকআপ, চালকসহ নিহত ২

রাজনৈতিক বলয়ে প্রভাব বিস্তার করে জমি দখলের পায়তারা

নাগরপুরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিটি মন্দিরে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইপি ক্যামেরা বিতরণ
