সঠিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার না হওয়ায়, কাজ সম্পূর্ণে ব্যর্থ হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান
সঠিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার না হওয়ায় কাজ সম্পূর্ণে ব্যর্থ হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ এর নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া জনসাধারণের জন্য হুমকি স্বরূপ মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০৮ এর দরপত্রে সর্বোচ্চ ১০% কম থাকলে ২০২৫ এ তা ঠেকেছে ২০% হারে। ফলে ম্যাট্রেস এর আওতাধীন বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদররা সহজেই কাজ বাগিয়ে নিলেও পরে তাদের লাভ-লোকসান এর হিসেব কষতে গিয়ে তার হিসেব গিয়ে বর্তায় জনসাধারণের উপর। তথা বছরের পর বছর ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
তাদের মতে, ২০% কমে এর আগেও বেশ কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র নিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে সম্পূর্ণ কাজ শেষ না করেই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোহাম্মদপুর বেঁড়িবাধ সিটি গার্ডেন বিল্ডিং। যেখানে দেখা যায় গত ১০ বছর আগে যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা কিন্তু সেটি এখনো বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেনি।
এবিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি এর আগেও এরকম দরপত্র বাস্তবায়ন কালে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২০% কমে দরপত্র দেয়া হয়। কিন্তু সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর কাজ অসমাপ্ত রেখেই পালিয়ে যায়। যা এখনো বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেনি। এতে আমরা আমাদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত এক যুগেরও বেশি।
সাম্প্রতিক বাজার মূল্য ও অন্যান্য গ্রহণযোগ্য দরদাতাদের প্রদত্ত মূল্য সাপেক্ষে অনেক কম বাজেট হওয়ায় দরপত্র দাতাগন তাদের প্রদত্ত মূল্যে চুক্তি সম্পাদন করিতে ব্যর্থ হওয়া আশঙ্কা বেশি। এছাড়াও নিম্ন মূল্যের দরপত্র কে প্রাথমিকভাবে ক্রয়কারীর জন্য আর্থিকভাবে বেশ সুবিধাজনক মনে হলেও কাজ শেষ হতে হতে মালামালের ঊর্ধ্বমুখী বাজার মূল্য ও সব ধরনের ব্যয় বৃদ্ধি হওয়ায় কাজ সম্পাদন করতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করবে কিংবা কাজ শেষ না করেই অপ্রত্যাশিতভাবে চুক্তি ভংগের কারনও হতে পারে।
সরকার জনসাধারণের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রায়শই যদি পরিপত্র জারির মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে সংশোধন, পরিবর্তন, সংযোজন বা বিয়োজন করতে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই দেশের অর্থনীতি ও বাজার মূল্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করা উচিৎ। অন্যথায় ম্যাট্রেস তথা বেশি পয়েন্ট ভিত্তিক কিছু অসাধু দরপত্র ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান নিজের আখের গোছাতে কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে আতাত করে তুলনমূলক সবার চেয়ে কম বাজেটে দরপত্র প্রদান করে তা পেয়ে নিম্নমানের দ্রব্যসামগ্রী ব্যবহার করে কাজ সম্পাদন করে থাকে। এতে করে উন্নয়নের নামে জনসাধারণের সুবিধার থেকে অসুবিধার কারনই হয় বেশি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধ্বস, অপরিপক্ক সেতু ভেঙে পরা, ১০/২০ বছর মেয়াদের রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা বছর না ঘুরতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে রাষ্ট্রীয় অর্থ যেমন নষ্ট হচ্ছে একই ভাবে জনসাধারণের ভোগান্তি বাড়ছে।
এমএসএম / এমএসএম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা
গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক
আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ
যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত
গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা
মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের