অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ইন্তিফাদা বাংলাদেশের
ভারত পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বাংলাদেশের অখণ্ডতার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন সংগঠনের নেতারা।
সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমদ রফিক বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়ির ধর্ষণ–অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা উসকে দিয়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। যদিও পরবর্তী চিকিৎসাগত যাচাইয়ে অভিযোগের ভিত্তি মেলেনি। তিনি অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ বহু বছর ধরে অস্ত্রধারী সহিংসতা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলায় জড়িত এবং সীমান্তপারের সহায়তায় শক্তিশালী হয়েছে।
তার মতে, ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা ও মিজোরামে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রপাগান্ডার মাধ্যমে বাংলাদেশের অখণ্ডতার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। “এটি এক ধরনের হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার, যেখানে প্রক্সি জঙ্গি তৎপরতা ও বিদেশ থেকে পরিচালিত তথ্যযুদ্ধ মিলিয়ে অস্থিতিশীলতা বাড়ানো হচ্ছে,” বলেন তিনি।
ইন্তিফাদা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়, ঔপনিবেশিক আমল থেকে আমদানি করা “আদিবাসী–সেটলার” ধারণাকে নতুন করে উসকে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর “আদিবাসী” দাবি এবং বাঙালিদের “সেটলার” আখ্যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি বয়ান, যা ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বয়ান ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বিদেশি সমর্থন আদায় করছে এবং বাঙালিদের ন্যায্য উপস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মাহবুব উল আলম। তিনি বলেন, পাহাড়ে সাম্প্রতিক সহিংসতা শান্তিপ্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র এবং দেশের অখণ্ডতার ওপর সরাসরি আঘাত। ইউপিডিএফ ও সহযোগীরা নারীর ইস্যুকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যা গভীর উদ্বেগজনক।
এ সময় বক্তারা পাহাড়ে অস্থিতিশীলতার কারণ অনুসন্ধানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
ছয় দফা আহ্বান
সংবাদ সম্মেলনে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ ছয়টি আহ্বান জানায়—
১. ইউপিডিএফসহ সব বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা।
২. তাদের বিদেশি অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের উৎসের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।
৩. সীমান্তপথে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ জোরদার।
৪. বিদেশি প্রভাব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যযুদ্ধ প্রতিহত করতে রাষ্ট্রকে আরও সক্ষম করা।
৫. “আদিবাসী–সেটলার” বয়ান ভেঙে সঠিক ইতিহাসভিত্তিক জনসচেতনতা তৈরি।
৬. বাঙালি–পাহাড়ি জনগণের পারস্পরিক আস্থা, নিরাপত্তা ও সহাবস্থান জোরদারে রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আনা।
Aminur / Aminur
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা
গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক
আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ
যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত
গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা
মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের