ঢাকা রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

যাত্রাবাড়ীর অন্বেষা কর্পোরেশন (প্রদীপ ব্রান্ড) নিয়ে বিতর্ক


জাহাঙ্গীর আলম শাহীন photo জাহাঙ্গীর আলম শাহীন
প্রকাশিত: ১১-১০-২০২৫ বিকাল ৫:২৬

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আওতাধীন অন্বেষা কর্পোরেশন প্রদীপ ব্রান্ডের ইলেকট্রিক পণ্য নিজেরা উৎপাদনসহ বিদেশ থেকেও  কিছু পণ্য আমদানিতে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানার আওতাভুক্ত দনিয়া কলেজের পাশে নয়াপাড়া দনিয়া বিশ্বরোড সংলগ্ন আবাসিক এলাকার একটি ৮ম তলা ভবনে দীর্ঘদিন যাবত বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অন্বেষা কর্পোরেশন (প্রদীপ ব্রান্ড) সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, কেবিন ফ্যান, রেগুলেটর, মেন সুইচ উৎপাদন করেন এবং ঝাড়বাতিসহ কিছু ইলেকট্রিক পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করেন। অন্বেষা কর্পোরেশন বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে শিশুশ্রম, অবৈধ গ্যাস, নগণ্য অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, বহুতল ভবন থেকে বাহির হওয়ার একই রাস্তা ব্যবহার, কয়েকটি আবাসিক ভবনে উৎপাদিত পণ্য গুদামজাত করা, গভীর রাতে উৎপাদিত পণ্য ডেলিভারি দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে কোম্পানিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।  উদ্যোক্তার নাম নাজমা পারভীন যার ট্রেড লাইসেন্স নং ৬৪৬০০।  প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তার বড় ছেলে বিপ্লব। ফ্যাসিবাদ সরকারের যাত্রাবাড়ী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা, ডিইউজে, বিএফইউজের সাংবাদিক নেতা ও ফ্যাসিবাদ নেতাদের  ছত্রছায়ায় এযাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করিতেছেন। রাজনৈতিক আশ্রয় এবং ফ্যাসিবাদ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রতিমাসে কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে ধনিয়া, শনির আখড়া,রায়েরবাগ ,পল্টনসহ মোট ৯ টি আলিশান বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন এবং নারায়ণগঞ্জে কিনেছেন বিপুল পরিমাণ জমি।

অনুসন্ধানে অন্বেষা কর্পোরেশনের সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার সত্যতা যাচাই করতে পরিবেশ অধিদপ্তর, কল কারখানা বিভাগ, কাস্টমস, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ওয়াসা ও ফায়ার সার্ভিস অফিসে তথ্য চেয়ে দরখাস্ত করা হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবহৃত পানির বিলে অন্বেষা কর্পোরেশনেরবিভিন্ন ধরনের অনিয়মের সত্যতা  নজরে আসে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অন্বেষা কর্পোরেশন নামে কোম্পানিটি ফায়ারের লাইসেন্স পেয়েছে এবং ফায়ার সেফটি প্ল্যানের অনাপত্তি সনদের জন্য চলতি বছরে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন। তাছাড়াও ঢাকা ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী আবাসিক এলাকার ভবনটি বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করে হচ্ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দনিয়া অন্বেষা কর্পোরেশন কোম্পানির আশে-পাশের স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা 'দৈনিক সকালের সময়'কে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত অন্বেষা কর্পোরেশন নামের কোম্পানটি  একটি আবাসিক ভবনের ১ম থেকে ৮ম তলা পর্যন্ত ইলেকট্রিক পণ্য তৈরি করে আসছেন। শিশুশ্রম, নগণ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, যাতায়াতের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা এখানে কাজ করেন। যে কারণে আমাদের আশ- পাশের ভবনের লোকজন গুলো সব সময় দুশ্চিন্তাতে বসবাস করেন কখন কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তার নিশ্চয়তা নেই। তারা আরো বলেন, সরকারি রাজস্ব ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের সাথে আতাত করে সরকারি রাজস্ব ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অন্বেষা নানে কোম্পানিটি আবাসিক এলাকাতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করিতেছেন। 

বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের সত্যতা জানতে অন্বেষা কর্পোরেশনের পরিচালক মো: বিপ্লব হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি 'দৈনিক সকালের সময়'কে বলেন, আমরা ১৯৬৫ সাল থেকে সরকারি আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। অন্বেষা কর্পোরেশনের বর্তমান পরিচালক মোঃ বিপ্লব হোসেনের কথা অনুযায়ী ১৯৬৫ সাল থেকে আবাসিক এলাকার ৮ম তলা ভবনে ইলেকট্রিক কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, অথচ ২০২৫ সালে এসে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের অনাপত্তি সনদের জন্য ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন।

এমএসএম / এমএসএম

শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রবীণদের পাশে থাকতে হবে

যাত্রাবাড়ীর অন্বেষা কর্পোরেশন (প্রদীপ ব্রান্ড) নিয়ে বিতর্ক

কোটিপতি হয়েও সরকারি খাস জমি দখল করে দোকান ভাড়া দিচ্ছেন আব্দুল হাই গং

মালিবাগে সোনার দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি, ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ

গুলশান থানা এলাকা হবে অপরাধ মুক্ত: ওসি হাফিজুর রহমান

বিএসটিআই মহাপরিচালকের সাথে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ইন্তিফাদা বাংলাদেশের

সদরঘাট পাইকারি বাজারে আগুন

ঢাকা ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদ সভা

সঠিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার না হওয়ায়, কাজ সম্পূর্ণে ব্যর্থ হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

রাজধানীর গুলশান-বনানী মণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জন শেষে মা দূর্গার শান্তির জল প্রদান

‘সমন্বয়ক’পরিচয়ে উত্তরায় বেপরোয়া আকাশ

উপকূলীয় নারীদের কথা তুলে ধরলেন অধ্যাপক ড. জুলফিকার