চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মিরসরাইয়ের রাশেদ
চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলীতে একটি দোকানে কাজ করতেন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের বাসিন্দা মুসলিম উদ্দিন রাশেদ। ভালোই চলছিল তাদের পরিবার কিন্তু হঠাৎ নেমে আসে তাদের পরিবারে অশান্তির কালো মেঘ। পিতা কোব্বাত আহমেদ ৯ মাস ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের ৪ মে মারা যান। পিতার চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়েছে তার পরিবার।
এর মধ্যে পিতার মৃত্যুর পরপর ৩৫ বছর বয়সী এই যুবকের ধরা পড়ে তার কিডনি সমস্যা। তার দুটি কিডনিই কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে ভারত এবং দেশে চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন প্রায় দুই লাখ টাকা।
পিতার মৃত্যুর পর সর্বস্ব হারানো রাশেদ যখন পরিবারের হাল ধরেছিলেন, এমন সময়ে কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার উপার্জিত আয় ছিল পরিবার চালানোর প্রধান উৎস। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে রাশেদ সবার বড়। বর্তমানে তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। এক মাস ধরে এই রোগীর কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না টাকার অভাবে। পরিবার চালাতেও হিমশিম অবস্থা। চিকিৎসক জানিয়েছেন, মুসলিম উদ্দিন রাশেদকে সপ্তাহে দুবার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হবে অনির্দিষ্টকাল। প্রতিবার ডায়ালাইসিস করতে লাগে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
রাশেদের জ্যেঠা জাহেদুর রহমান বলেন, বর্তমানে চিকিৎসার খরচ দূরে থাক; তাদের পরিবারের খরচও জুটছে না। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় কোনোরকম দিন যাচ্ছে।
২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হারুন উক্ত সমস্যা বিবেচনা করে সকলের কাছে মানবিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
চিকিৎসকের মতে, তার দুটি কিড়নির মধ্যে একটা প্রতিস্থাপন করা জরুরি। না হয় তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এতে প্রায় ১২ লোখ টাকার দরকার।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাশেদের মা হালিমা খাতুন বলেন, তার ছেলে দীর্ঘ ১৫ বছর পরিবারের হাল ধরেছে। তাদের জমানো টাকা, সম্পদ যা ছিল তার স্বামীর চিকিৎসায় শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে ছেলের অসুস্থতার কারণে আয়ও বন্ধ। তার ছেলে জীবনের সাথে লড়াই করছে। ছেলের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে তিনি মানবিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
বিকাশ : ০১৭৩২০৫০১১১ (রোগীর বিকাশ অ্যাকাউন্ট)
রোগীর সাথে যোগাযোগ : ০১৮২০০৬২৭৭৭
এমএসএম / জামান