ঢাকা মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

তানোরে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক একজন


সোহানুল হক পারভেজ, তানোর photo সোহানুল হক পারভেজ, তানোর
প্রকাশিত: ১৮-১১-২০২১ দুপুর ১২:৪০

তিনটি অ্যাম্বুলেন্স চলছে মাত্র একজন চালক দিয়ে। এরমধ্যে দুটি নতুন ‍এবং একটি পুরনো। চালকের অভাবে প্রতিনিয়ত পড়ে থাকছে দুটি অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘদিন ধরে চালক সংকটে রয়েছে রাজশাহীর তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ কারণে সময়মতো চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাড়ে তিন লাখেরও অধিক মানুষ। জরুরি সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে রোগী নিয়ে যাচ্ছেন তাদের স্বজনরা। এতে বাড়তি ভাড়া গোনার পাশাপাশি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলাবাসী। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিল ৩১ শয্যাবিশিষ্ট। তখন হাসপাতালে ছিল মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স। পরে ওই অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার পর নতুন করে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর দুর্ঘটনায় ভেঙেচুরে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি সারানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। 

এরপর হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর ২০২০ সালে উপজেলা পরিষদের বিশেষ বরাদ্দে একটি ও ২০২১ সালে কোনো পদ সৃষ্টি না করেই বিশেষ সুযোগ-সুবিধাযুক্ত আরেকটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই সময় উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ও ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন। 

বর্তমানে হাসপাতালে আব্দুল সালাম নামে একমাত্র চালক রয়েছেন। তিনি একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স চালান। রোগীর চাপ থাকলেও শুধু চালকের অভাবে পড়ে থাকছে আরো একটি নতুন ও একটি পুরনো অ্যাম্বুলেন্স। এতে রোগীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানান্তরিত রোগীদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট গাড়ির কাছে। আর সুযোগ বুঝে প্রাইভেট গাড়িগুলো সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে। 

যেখানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বিনামূল্যে অক্সিজেন সুবিধা পাওয়া যায়, সেখানে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে বেশি ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি অক্সিজেনের জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় রোগীদের। বিপদে পড়ে বাধ্য বেশি টাকা দিয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত রোগী পরিবহন করছেন রোগীর স্বজনরা। খোদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ও হাসপাতাল চত্বরেই দাঁড় করে রাখা হচ্ছে বেসরকারি মালিকদের অ্যাম্বুলেন্স। অথচ গ্যারেজে পড়ে থাকছে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বাঁনাবাস হাসদাক সকালের সময়কে বলেন, একটি পুরনো ও দুটি নতুন মিলিয়ে হাসপাতালে মোট অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে তিনটি। কিন্তু চালকের পদ রয়েছে একজন। তবে হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ড্রাইভার নিয়োগ দিলে অ্যাম্বুলেন্সগুলো চালানো সম্ভব হতো। পাশাপাশি কম খরচে স্থানান্তরিত রোগীরা ভালো সেবা পেতেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এমএসএম / জামান

শ্রীমঙ্গলে গণঅভ্যুত্থান দিবসের বিজয় র‍্যালিতে মানুষের ঢল

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বারহাট্টায় বিএনপির বিজয় মিছিল

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়

ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপতি উপলক্ষে নাগরপুরে বিএনপি’র বিজয় র‍্যালি

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে খোকসা'তে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভা

সিংগাইরে বিএনপির দুই গ্রুপের বিজয় র‍্যালি

শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে রাজনীতি সম্ভব নয় -বিজয় র‍্যালিতে এম.এ. মতিন

পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

গণঅভ্যুত্থান দিবসে সাটুরিয়ায় বিজয় র‍্যালী ও আলোচনা সভা

পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড

লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন

জুড়ীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন