ঢাকা রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫

তানোরে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক একজন


সোহানুল হক পারভেজ, তানোর photo সোহানুল হক পারভেজ, তানোর
প্রকাশিত: ১৮-১১-২০২১ দুপুর ১২:৪০

তিনটি অ্যাম্বুলেন্স চলছে মাত্র একজন চালক দিয়ে। এরমধ্যে দুটি নতুন ‍এবং একটি পুরনো। চালকের অভাবে প্রতিনিয়ত পড়ে থাকছে দুটি অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘদিন ধরে চালক সংকটে রয়েছে রাজশাহীর তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ কারণে সময়মতো চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাড়ে তিন লাখেরও অধিক মানুষ। জরুরি সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে রোগী নিয়ে যাচ্ছেন তাদের স্বজনরা। এতে বাড়তি ভাড়া গোনার পাশাপাশি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলাবাসী। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিল ৩১ শয্যাবিশিষ্ট। তখন হাসপাতালে ছিল মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স। পরে ওই অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার পর নতুন করে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর দুর্ঘটনায় ভেঙেচুরে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি সারানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। 

এরপর হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর ২০২০ সালে উপজেলা পরিষদের বিশেষ বরাদ্দে একটি ও ২০২১ সালে কোনো পদ সৃষ্টি না করেই বিশেষ সুযোগ-সুবিধাযুক্ত আরেকটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই সময় উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ও ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন। 

বর্তমানে হাসপাতালে আব্দুল সালাম নামে একমাত্র চালক রয়েছেন। তিনি একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স চালান। রোগীর চাপ থাকলেও শুধু চালকের অভাবে পড়ে থাকছে আরো একটি নতুন ও একটি পুরনো অ্যাম্বুলেন্স। এতে রোগীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানান্তরিত রোগীদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট গাড়ির কাছে। আর সুযোগ বুঝে প্রাইভেট গাড়িগুলো সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে। 

যেখানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বিনামূল্যে অক্সিজেন সুবিধা পাওয়া যায়, সেখানে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে বেশি ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি অক্সিজেনের জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় রোগীদের। বিপদে পড়ে বাধ্য বেশি টাকা দিয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত রোগী পরিবহন করছেন রোগীর স্বজনরা। খোদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ও হাসপাতাল চত্বরেই দাঁড় করে রাখা হচ্ছে বেসরকারি মালিকদের অ্যাম্বুলেন্স। অথচ গ্যারেজে পড়ে থাকছে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বাঁনাবাস হাসদাক সকালের সময়কে বলেন, একটি পুরনো ও দুটি নতুন মিলিয়ে হাসপাতালে মোট অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে তিনটি। কিন্তু চালকের পদ রয়েছে একজন। তবে হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ড্রাইভার নিয়োগ দিলে অ্যাম্বুলেন্সগুলো চালানো সম্ভব হতো। পাশাপাশি কম খরচে স্থানান্তরিত রোগীরা ভালো সেবা পেতেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এমএসএম / জামান

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজে ৪ দিন ব্যাপি আন্তঃ হাউস বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

বারহাট্টা জুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া, জনজরিপে এগিয়ে ডাঃ আনোয়ারুল হক

আত্রাইয়ের শুঁটকি বাজারজাত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়

অভয়নগরে নির্জন মাঠে মৎস্য ঘেরের পাড় থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

দারুস সুন্নাহ মাদরাসায় বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুই ইটভাটা উচ্ছেদ

টাঙ্গাইলে একসঙ্গে মনোনয়নপত্র নিলেন দুই সহোদর সালাম পিন্টু ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

পাটগ্রামের দহগ্রাম--আঙ্গরপোতা সীমান্তে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে এক বিএসএফ সদস্য আটক

ভূরুঙ্গামারীতে অবকাঠামো উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে বাজারের চিত্র

সুবিপ্রবি অনুমোদিত স্থানে নির্মাণের দাবিতে যুক্তরাজ্যে স্মারকলিপি

দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি নেতা মুর্শেদ-ই-কামালের শুভেচ্ছা

মনোহরগঞ্জে সেতু আছে রাস্তা নেই ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ -২০ বছরেও উদ্বোধন হয়নি কোটি টাকার সেতু