তানোরে আমন ধান কাটা শুরু

চলতি বছর বর্ষার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। অগ্রিম বৃষ্টি পেয়ে আমন চাষে মাঠে নেমে পড়েছিলেন কৃষকরা। তাই এবার একটু আগেই ধান ঘরে উঠবে কৃষকের। বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠে এখন সবুজ পাতার ফাঁকে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন বাতাসে দুলছে। সোনালি ধানে ভরে উঠছে মাঠ। সেই সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সোনালি স্বপ্নের ছড়াছড়ি। বরেন্দ্রর মাঠগুলোতে যতদূর চোখ যায় চারদিকে সোনালি ফসলের সমারোহ।
চলতি কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলে অল্প পরিসরে সোনার ধান কাটা শুরু করছেন কৃষকরা। অগ্রহায়ণ মাস পড়লেই পুরোদমে আমন কাটা-মাড়াই শুরু করবেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা।
এর আগে আমনের মাঝিামাঝি সময়ে নানান রোগবালাই ও ইঁদুরের অত্যাচার এবং শেষদিকে এসে নিম্নচাপ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমন ক্ষেতের সামান্য ক্ষতি হলেও কৃষি অধিদপ্তর ও কৃষকদের চেষ্টায় সকল ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা। এখন ফলন ভালো হবে এমন স্বপ্ন নিয়ে নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।
বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা জানান, পুরো মাঠ এখন সোনালি রংয়ে সেজেছে। মাঠে গেলে বাতাসের দোলে সোনালি ধানের সুগন্ধীতে মনপ্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে চলতি বছর ধানের মাথা ভালো আছে। তাই বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে আমনের ভালো দামও রয়েছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ২২৪ হেক্টর জমিতে। চাষাবাদ হয়েছে ৭৩ হাজার ৫২৩ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে পোকা দমনের পদ্ধতিতে পার্চিং-লগ, লাইন এবং ধইনচা গাছ লাগানো হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হয়েছে আরো ৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের উপরে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি গ্রামের কৃষক লতিফুর জানান, চলতি মৌসুমে ৯ বিঘা জমিতে সুমন স্বর্ণা জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন। বর্তমানে তার ক্ষেতের ধানে পাক ধরেছে। গতকাল হতে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
তানোর উপজেলার পাঁচন্দর গ্রামের কৃষক জামিনুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ১৮ বিঘাতে আমন চাষাবাদ করেছেন। আমনের মাঝামাঝি সময়ে পোকা ও ইঁদুরের অত্যাচার ছিল এবং শেষ সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে তার আমন ক্ষেতের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবুও সমস্যা নেই, কারণ অন্যসব বছরের চেয়ে এবার আমন ধানের শীষ ভালো আছে। ফলে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামিউল ইসলাম সকালের সময়কে জানান, এবার অগ্রিম বৃষ্টি পেয়ে কৃষকরা আগাম আমন রোপণ করেছিলেন। এর জন্য সকল প্রকার কৃষকদের সহযোগিতা করেছে কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর। চলতি মৌসুমে কৃষকরা স্বর্ণা-৫১, ব্রি ধান-৮৭ এবং বিনা ধান-১৭ জাতের আবাদ বেশি করেছেন। এসব ধান পানিসাশ্রয়ী ও উচ্চ ফলনসীল। এখন মাঠে মাঠে ধানের পাক ধরেছে। কিছু কিছু কৃষক অল্প পরিসরে ধান কাটা শুরুও করেছেন। অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে এবার ফলন বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমএসএম / জামান

শান্তিগঞ্জে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের কমিটি গঠন ও ত্রাণ বিতরণ

দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা

দুর্গাপুরের দুর্জয়, পেলেন জাতীয় পর্যায়ে স্বর্নপদক

তারাগঞ্জে সরকারি ওষুধ পচারের সময় ফার্মাসিস্টসহ আটক -২

দাবি আদায় না হলে শিক্ষকরা ঘরে ফিরবে না

এইচএসসি পরীক্ষায় একই বাড়ির ৩ শিক্ষার্থীর সাফল্য

নন্দীগ্রামে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

বেনাপোল ঘুষের টাকাসহ আটক রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা বরখাস্ত

নাচোলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জোড়া মৃত্যু লাশ এসেছে এলাকায় শোকের ছায়া

ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জনসভা অনুষ্ঠিত

গলাচিপায় জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা

শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজনে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নওগাঁয় বৃক্ষরোপণ
Link Copied