সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চাদাঁবাজ চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চাদাঁবাজ চক্রের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্ভর জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে কালা মিয়া ৭ জনের নামে চাাঁদাবাজি, মাস্তানি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের বাসিন্দা কাদির মিয়ার ছেলে মো. মুবিন (১৮), আমির আলীর ছেলে মো. আলী আহমদ (২৫), মৃত জারক আলীর ছেলে মো. আপ্তাব আলী (৫৫), আনফর আলী (২৫), মৃত আলমদর আলীর ছেলে মো. তুরন আলী (৩৫), রমিজ আলীর ছেলে মো. রাকিব আলী (৪০) এবং মো. জমির আলী (৩৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাদাঁ না দেয়ার কারণে গত ৭ ডিসেম্ভর সকালে বিবাদীগংরা মিলে কালামিয়াকে মারপিট করে একঘরে করে রাখে এবং কালা মিয়ার দায়িত্বে থাকা মার্কেটের দোকানকোঠা অবৈধভাবে দখল করে নেয় মুবিন, আলী আহমদ গংরা।
জানা যায়, পৈলাবাগ মৌজার ২৩১নং খতিয়ানের যার ৮০নং জেএল, এবং ৫৯৩, ৬০০, ৬২০, ৬৪৭নং দাগের ৫৯ শতাংশ জায়গার ওপর হানিফ মার্কেট ও পুকুর রয়েছে, লন্ডন প্রবাসী হানিফ উল্লাহ যার স্বত্বাধিকারী। লন্ডন যাওয়ার সময় হানিফ মার্কেটের দোকানকোঠার ভাড়া আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হানিফের চাচাতো ভাই কালা মিয়াকে দায়িত্ব এবং ক্ষমতা অর্পণ করে দিয়ে যান হানিফ মার্কেটের মালিক। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ ডিসেম্বর দোকানকোঠার ভাড়া আদায় করতে হানিফ মার্কেটে গেলে বিবাদীগংরা মিলে দোকানকোঠার ভাড়া না দিয়ে ২ লাখ টাকা উল্টো চাদাঁ দাবি করে ৪টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং কালা মিয়াকে মারধর করে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে হানিফ মার্কেট দখল করে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এছাড়াও কালা মিয়া ও তার পরিবারকে গ্রামে একঘর করে রাখে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিবাদীগংরা মিলে দোকানকোঠা অবৈধভাবে দখল করার জন্য দোকানের ভাড়া আটকে রাখে। ওই সমস্ত চাদাঁবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটি দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
এমএসএম / জামান