ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

রাউজান থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান খোকন কান্তি বড়ুয়া


আমির হামজা, রাউজান  photo আমির হামজা, রাউজান
প্রকাশিত: ২৭-১২-২০২১ বিকাল ৬:১৪

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে একটি স্মরণীয় ইতিহাস। পাকিন্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯টি মাস যুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা লাভ করেছি লাল-সবুজের পতাকার মাঝে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। সেই যুদ্ধে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খোকন কান্তি বড়ুয়া।

১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী যখন চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে রাউজানের দিকে দফায় দফায় গোলাগুলি শুরু করে, তখন এই গোলাগুলির শব্দে দুই উপজেলরার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মানুষের মাঝে শুরু হয় কান্নার আওয়াজ। যে যেখানে পেরেছে পালিয়ে জীবন বাঁচাতে গ্রাম ছেড়েছেন। হাটহাজারী থেকে যখন পাকিস্তানিরা রাউজানের দিকে গোলাগুলি শুরু করে তখন গহিরা গ্রামের বীর মুক্তিযুদ্ধা খোকন কান্তির বড়ুয়ার বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যান ফটিকছড়ি আব্দুল্লাহপুর গ্রামে তাদের মামার বাড়িতে। মাঝে মাঝে নিজের গ্রামের আসতেন তারা।

ওই সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাউজানের গহিরায় চলে আসে। তখন মুক্তিযুদ্ধা খোকনের মা শুভদা বালা বড়ুয়া ছিলেন পুকুরে। তখন তার মা হানাদার বাহিনী দেখে ভয়ে পুকুরে ঘাটের নিছে লুকিয়ে পড়েন। সেদিন তার মায়ের ভয়ের সেই দূশ্য দেখে খোকন বড়ুয়া জেগে উঠলেন, তিনিও শপথ নিলেন এই দেশের জন্য কিছু একটা করতে হবে।

তিনি বলেন, সেদিন থেকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য মনস্থির করলাম। ৩টি কবুতর বিক্রি করে কিছু চিঁড়া ও মিঠা কিনে টানা কয়েকদিন হেঁটে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে সোজা ভারতে পৌঁছি। ভারতে যাওয়ার আগে আমরা প্রথমে রাঙামাটি রাজবাড়ি একটি পাহাড়ে বিশ্রাম নেয়ার সময় কিছু পাহাড়ি চাকমা রাজাকার আমাদের দেখে পাকিস্তানি বাহিনীকে খবর দিলে তারা এসে আমাদের আক্রমণ শুরু করে। সেখানে আমার ১৮৬ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি থানার আবদুল্লাপুর গ্রামের দীপক বড়ুয়া ও হাটহাজারী থানার আমান উল্লাহ্ নামে দুজন নিহত হন। এরপর আমরা বাকিরা পালিয়ে ভারতের সাপরোম নামে একটি ক্যাম্পে পৌঁছি। সেখানে বেশকিছু দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে আবারো দেশে চলে আসি। পরে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।

তিনি ‍আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১ নম্বর সেক্টরে কাজ করি। বঙ্গবন্ধু দেশকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন বাজি রেখেছেন। সেদিন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, এই দেশ যতদিন স্বাধীন না হবে ততদিন পর্যন্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের এই সংগ্রামে আমাদের অবদান রাখতে হবে। তখন আমি ১৬ বছর বয়সে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিলাম।

তিনি জানান, দেশের লাল-সবুজের পতাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া ছিল তার এক অদম্য সাহস আর ইচ্ছাশক্তি।

এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত