ফুলছড়ির ব্রহ্মপুত্র নদীতে নেই পানি, হুমকির মুখে নৌ চলাচল

গত তিন মাস পূর্বেই নদীগুলো পানিতে কানায়-কানায় উপছে উঠছিল পানি। পৌষ মাস শুরু হওয়ার আগেই এবার তিস্তা ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা সহ ফুলছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সবগুলো নদ-নদীর পানি কমে গিয়ে সেগুলোর শাখা-প্রশাখা ভাগ হয়ে এখন মরুভূমিতে রূপ নিয়েছে।আকস্মিক পানিশূন্যতায় প্রাণচাঞ্চল্য ভরা নৌ ঘাটগুলোর অস্তিত্ব এখন বিপন্ন।ইতিমধ্যে অনেক নৌ ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।যেসব নৌঘাট এখনো কোনো রকমে টিকে রয়েছে সেগুলোর ও এখন বেহাল দশা।
অতিখরায় অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা সহ সবগুলো নদনদীর চ্যানেল গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে ফলে যেকোনো সময় নৌকা যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগস্ট মাসের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্র- তিস্তা ও যমুনায় পানি কমতে শুরু করে।এখন পানির লেভেল সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে।ফলে নদীগুলো অসংখ্য শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে শ্রীর্ণকায় রূপ নিয়েছে। নদীর বুকে জেগে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য ডুবোচর।ফলে ওইসব চ্যানেলে শ্যালো চালিত নৌকা সহ অন্যান্য নৌ-যান চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে।মানুষজন চর থেকে ফুলছড়ি উপজেলা সদরে কেনাকাটা করতে এসে রাতে বাড়ি ফিরতে চিন্তায় থাকেন কোন সময় নদীর তলার মাটিতে ঠেকে থেমে যায় নৌকা।
জানা যায়, ফুলছড়ির বালাসীঘাট,ঐতিহ্যবাহী তিস্তামুখঘাট, সৈয়দপুর ঘাট,ফজলুপুর,হাজির হাট, এরেন্ডাবাড়ী, নৌবন্দরে চলাচলকারী চ্যানেলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ওই সব নৌঘাট থেকে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর, কর্তীমারী, চিলমারী, রৌমারী জামালপুরের ইসলামপুর, বাহাদুরাবাদ, দেওয়ানগঞ্জ, ঘুটাইল, ফুলছড়ির সানন্দবাড়ী, ফুটানী বাজার, জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, খোলাবাড়ী, খাটিয়ামারী, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, লালচামার, বেলকাসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে এখন নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক নৌঘাট বন্ধের পথে।
এদিকে নদী বুকে চর জেগে ওঠায় অনেক স্থানে এখন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয় চর অঞ্চলের মানুষকে। ফলে তপ্ত বালুরাশিতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে।বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী,বয়স,প্রসূতি, নারী, রোগী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কষ্ট বেশি। পানি হ্রাসের ফলে নদীগুলো নিজেদের অস্তিত হারাতে বসেছে এখন। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে ঠেকেছে। নদীর বুকে চর জেগে উঠেছে এখন। চরগুলোতে কাঁশবনে ছেয়ে গেছে। নাব্য থাকায় স্বাভাবিক সময় ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য ৩০টি রুটে নৌযান চলাচল করতো। এখন সেখানে অনেক রুটে যান্ত্রিক নৌকা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে।
ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাসমত মিয়া বলেন, নদী ড্রেজিং করা অতি জরুরি, নদীভাঙ্গন সৃষ্টি হয়।
ফুলছড়ি ঘাটের নৌ চালক মফিজল মিয়া জানান, নৌকা নিয়ে যেতে এখন বড় কষ্ট, নদীর মধ্যে গিয়ে আটকে যায়। তখন যাত্রীরা পরে ভোগান্তিতে।
যাত্রী আব্দুল খালেক বলেন, এখনও নৌকা খুব একটা বালু চরে আটকা পড়ছে। যেভাবে পানি কমছে, তাতে আর দু এক মাস নৌকা চলাচলা কষ্ট একমাস পড়েই স্বাভাবিকভাবে চলবে। পরে প্রতিদিনিই নৌকা আটকে পড়ার আশংকা বেশি।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলে সংশিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে এ নদীগুলো আরও ভরাট হয়ে যাবে এবং নাব্যতা সংকটের মুখে পড়বে। সেজন্য অবিলম্বে নৌ চ্যানেলগুলো ড্রেজিং করে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। দেশের নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্য ফিরিয়ে আনা সরকারের একটি মহাপরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, নৌকার বিকল্প চরবাসীর ভরসা ঘোরার গাড়ি ও মোটরসাইকেল পরিবহন।
শাফিন / প্রীতি

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
Link Copied