ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ফুলছড়িতে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১-২-২০২২ দুপুর ৪:৬

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে কৃষকেরা বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপন কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। অতীতে দাম ভালো পাওয়ায় এবার বোরো চারা রোপণে কৃষকদের মধ্যে উৎসবের ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক জমিতে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ফুলছড়ি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৩ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের এক হাজার ৮৮৫ হেক্টর, উফসি জাতের ৪ হাজার ৬৫৮ হেক্টর ও ১৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহী থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

সরেজমিন কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন পেয়েছিলেন কৃষকেরা। দামও পেয়েছেন বেশ ভালো। সেই আলোকে বোরো আবাদে মনোযোগী হয়েছেন কৃষকেরা। বীজতলায় চারা বড় হওয়ায় বর্তমানে তাঁরা বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে তারা মাঠে বেড়িয়ে পড়ছেন জমি প্রস্তুতের কাজে। কোথাও কোথাও গভীর নলকূপ থেকে তোলা হচ্ছে সেচের পানি। ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে সারি সারি ধানের চারা লাগানো হচ্ছে। শ্রমিকের বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে জমিতে রোপন করছেন। বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষি শ্রমিকের কদরও বেড়ে গেছে।

উদাখালী ইউনিয়নের উত্তর কাঠুর গ্রামের কৃষক মাহবুবার রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই বোরো ধানের আবাদ করি। গত বছর বোরো ধানের আবাদ করে লাভবান হয়েছি। এবারও সে আশায় জমিতে বোরো আবাদ শুরু করেছি। এবার কোনো জায়গায় পতিত রাখবো না।’ উদাখালী গ্রামের কৃষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বোরো আবাদে বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার একটু ঝুঁকি থাকে। বর্ষার হাত রক্ষা পেতে তাই আগেভাগেই ধান লাগানো শুরু করেছি।’

ছালুয়া গ্রামের বর্গাচাষী শাহজাহান আলী বলেন, গত বছর বোরো ধানের দাম ভালো হওয়ায় এবার জমির বর্গামূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৩৩ শতকের এক বিঘা জমি এক লক্ষ টাকায় বর্গা পাওয়া যেত, কিন্তু এখন দেড় লাখ টাকাও পাওয়া যায় না। তারপরেও যেটুকু জমানো টাকা আছে তা দিয়ে দুই বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি।

আমজাদ মিয়া, রেজাউল ইসলাম, ছকমল প্রধান সহ কয়েকজন কৃষি শ্রমিক জানান, ‘এক সঙ্গে সব জায়গায় চারা রোপন শুরু হওয়ায় কাজের আর অভাব নাই। একবিঘা জমিতে রোপন করতে তারা দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নেন বলে জানান। এতে একজন শ্রমিক প্রতিদিন পাঁচ-ছয়শ টাকা আয় করেন বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিন্টু মিয়া জানান, ইতোমধ্যে উপজেলার কৃষকেরা বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি। প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশকের সরবরাহেও কোন সমস্যা হবে না। তাই আশা করছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

শাফিন / প্রীতি

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত