আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে গরুর হাল

আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতায় গাইবান্ধা জেলার মানুষ এখন দিন দিন যন্ত্র নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।ফলে যান্ত্রিক যন্ত্রের ক্রটির সাথে সাথে জীবনের ক্রটিও বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন।কৃষি নির্ভরশীল এবং সূতা দিয়ে কাপড় ভৈরীতে বেশ খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করলেও এখানকার ৯০ভাগ মানুষই এক সময় কৃষি নির্ভরশীল ছিল।প্রাচীনকালের লাঙ্গল,জোঁয়াল ও মই কৃষি যন্ত্র হলেও গাইবান্ধাতে এর ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। জমি চাষের কাজে এ ফুলছড়ি উপজেলাসহ এর আশপাশের কৃষকেরা এক সময় কাঠের তৈরী লাঙ্গল,জোঁয়াল, মই ও হালের বলদ ব্যবহার করতো। ফসলি জমিতে চাষাবাদের জন্য এসব কৃষি উপকরণ হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহার করে এসেছে। কৃষকরা।কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ এসব ঐতিহ্যবাহী জিনিস এর ব্যবহার প্রায় বিলুপ্তির পথে। পরিবেশ বান্ধব লাঙ্গল-জোঁয়ালের স্থান দখল করে নিয়েছে পরিবেশ ও শব্দ দূষণকারী আধুনিক প্রযুক্তির তৈরী যান্ত্রিক পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর। আগে লাঙ্গল-জোয়াল ছাড়া চাষাবাদের কথা চিন্তাই করতে পারতো না গ্রাম অঞ্চলের কৃষকরা। কিন্তু আধুনিক যুগে যুগের সাথে তাল মেলাতে চাষাবাদের জন্য ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলারের মতো যান্ত্রিক সব উপকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে।এতে কৃষক যেমনি উপকৃত হয়েছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ ও যন্ত্রপাতির ব্যবহারের হয়েছে। পরিবেশ দূষণ,শব্দ দূষণ ও বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।কৃষি শ্রমিকের চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে যন্ত্রচালিত কৃষি উপকরণগুলো।আর এসব আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদে আগের তুলনায় সময়,শ্রম এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে।ফলে কৃষক আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে চাষাবাদ করে জমিতে ফসল ফলাচ্ছে।এতে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী লাঙ্গল,জোঁয়াল,মই ও হালের বলদ। বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার প্রায় সব কৃষকই জমি চাষের জন্য পাওয়ার টিলার তৈরী বা ট্রাক্টর ব্যবহার করে থাকে। লাঙ্গল-মই সহ কৃষি সরঞ্জাম তৈরি করা যাদের পেশা তারা এখন বেকার হয়ে পড়েছে। এ পেশায় যারা জড়িত
তাদের অনেকেই বাপ দাদার এ আদি পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।সময়ের বিবর্তনে হাজার বছরের পুরোনো মই,লাঙ্গল-জোঁয়ালের স্থান হবে জাতীয় জাদুঘরে।পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা গল্প হয়ে থাকবে।এই উপজেলায় কম বেশি সব গ্রামেই দেখা যেতো লাঙ্গল, জোঁয়াল ও হালের বলদ কিন্তু এখন আর চোখে পড়ে না।ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিন বুড়াইল গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান,তার বাপ-দাদাদের বিজড়িত লাঙ্গল,জোয়াল,মই এখন আর তেমন একটা কাজে আসে না। তিনি আরো বলেন এখন শুধুমাত্র বীজতলা তৈরী করার জন্য লাঙ্গল- জোঁয়াল ব্যবহার করে থাকি। আধুনিক সভ্যতা থেকে পরিবেশ বান্ধব লাঙ্গল-জোঁয়ালের জায়গা দখল করে নিয়েছে যান্ত্রিক পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর সহ বেশ কিছু মেশিন। সদর উপজেলার খামার বোয়ালী গ্রামের আবদুল জলিল মিয়া বলেন, আগে লাঙ্গল,জোয়াল,মই ও হালের বলদ দিয়ে জমি চাষাবাদ করে কৃষকেরা যে আনন্দ পেত এখন আর তা নেই। তবে বাপ-দাদার সেই পুরোনো স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য এখনো বাড়িতে লাঙ্গল,জোয়াল,মই ও হালের বলদ রাখা হয়েছে এবং মাঝে মধ্যে ব্যবহার করি।
শাফিন / শাফিন

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
Link Copied