নিজের পেশা নিয়ে মহা বিপদে নারায়ণ দাস

নিজের পেশাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে নারায়ণ দাসের জীবনে। পরিবারের জীবীকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন ছাগল প্রজনের ব্যবসাটি মেনে নিতে পারছেননা পাড়া-প্রতিবেশী কেউ। ফলে আপন মহল্লা ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে এসে বসতি গাড়লেও সেখান থেকেও তাকে উচ্ছেদে নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে এলাকার প্রভাবশালী মাতবর তারাপদ মাহাত ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রামের ননী গোপাল দাসের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র দাস। ভীন্ন সম্প্রদায়ের লোক হলেও নারায়ণের বসবাস ছিলো গ্রামের প্রভাবশালী মাহাতো সম্প্রদায়ের মহল্লায়। কর্মজীবনের শুরুতে ছাগল কেনা-বেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নারায়ণ দাস। সেই সুবাদে এক সময় পশু পালনে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতে গরু-ছাগলের খামারের পাশাপাশি একটি ছাগল প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও ভারত থেকে উন্নত জাতের প্রজননক্ষম পুরুষ ছাগল (পাঠা)আমদানি করে কাজ শুরু করেন নারায়ণ। কেন্দ্রে থাকা ৭/৮ টি পুরুষ ছাগল বা পাঠার একেকটির দাম এক থেকে দেড়-দুই লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে বলে জানান নারায়ণ দাস। সঙ্গকামিনী একটি নারী ছাগলকে পুরুষ ছাগলের সঙ্গ দিয়ে নারায়ণ মূল্য হিসাবে আদায় করেন ৫০০ থেকে শুরু করে ২/৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাঠার শ্রেনী ভেদে সঙ্গমূল্যেরও তারতম্য হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। এভাবে রোজগার করে বেশ ভালো ভাবেই চলতে থাকে নারায়ণের সংসার। কিন্তু এক পর্যায়ে তার এ ব্যবসা ও ক্রমোন্নতির প্রতি বদ নজর পড়ে মাহাতো সম্প্রদায় প্রধান তারাপদ মাহাতো ও সাঙ্গপাঙ্গদের। তারা সময়ে-অসময়ে বিভিন্ন উপলক্ষ তৈরী করে মোটা অংকের চাদা আদায় করে থাকে নারায়ণের কাছ থেকে। কোন সময় অপরাগতা প্রকাশ করলেই তাকে হেনস্তা করা হয় নানা ভাবে। এ ব্যবসাকে দৃষ্টিকটু আখ্যা দিয়ে এলাকাছাড়া করার হুমকি,গরু-ছাগলের বর্জ্য ফেলতে বাঁধা দেওয়া সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারাপদ গং। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এক পর্যায়ে মাহাতোপাড়া ছেড়ে বেশ খানিকটা দূরে নির্জন এক খালের পারে নতুন আবাস গড়ে তোলেন নারায়ণ। কিন্তু সেখানেও মুক্তি মেলেনি তার। অব্যাহত আছে উচ্ছেদের নানা মাত্রিক অপচেষ্টা। নারায়ণ দাস বলেন,তারাপদ মাহাতো,ক্ষিতিশ মাহাতো,মনমতো মাহাতো গং খুবই প্রভাবশালী। তারা এখনো আমার পিছু ছাড়েনি। তারা আমার বাড়ি সংলগ্ন সরকারী খাল আমাকে ব্যাবহার করতে দেয়না। সম্প্রতি ঐ খাল সংস্কারের সময় তারাপদ মাহাতোর প্ররোচনা ও নির্দেশে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা প্রয়োজন না থাকা সত্তেও আমার অনেকগুলো মূল্যবান গাছ কেটে ফেলে। ভেকু দিয়ে আমার গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। ঘুষ না দেওয়ায় উদ্দেশ্য মূলকভাবে আমার বাড়ির সামনে পাহাড় সম উঁচু করে মাটি রাখে। আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করায় তারাপদর লোকজন তাকে গালগালাজ সহ নানাভাবে অপমান-অপদস্ত করে। অনেক সময় আমি বাড়ি না থাকলে তারাপদর সাঙ্গ-পাঙ্গরা এসে আমার স্ত্রী-সন্তানকে আজে-বাজে কথা বলে। তারাপদ গং আমার গরু-ছাগলের ক্ষতি করার এবং আমি গ্রাম ছেড়ে চলে না গেলে আমাকেও শেষ করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আবেগ তাড়িত হয়ে নারায়ণ দাস বলেন,আমিতো অন্যায় কিছু করছিনা। স্ত্রী,সন্তান নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো? এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তারাপদ মাহাতো বলেন,নারায়ণের সঙ্গে আমার কোন শত্রুতা নেই। খাল কাটার সাথেও আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি ওর গাছ কাটাতে যাবো কেন? নারায়ণ ডাহা মিথ্যাচার করে ও আমার সম্মান নষ্ট করছে। গরু-ছাগলের ময়লা ফেললে খালের পানি দূষিত হয় বিধায় গ্রামের লোকজন তাকে সেগুলো ফেলতে নিষেধ করেছে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,নারায়ণ সরকারী রাস্তা ঘেঁষে বাড়ি তৈরী করেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ঐ রাস্তাটি মেরামতের সময় সে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এ নিয়ে তারাপদ সহ অনেকের সঙ্গেই নারায়ণের বচসা হয়। এর বাইরে কোন ঝামেলা আছে বলে আমার জানা নেই।
এমএসএম / এমএসএম

বরগুনার তরুণ নেতৃত্বে মাহফুজ: জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছেন

অবৈধ দখলের কারণে ঝিনাইদহে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা

যান্ত্রিকতায় বারহাট্টা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্যাডেল রিকশা

পটুয়াখালী ৩ আসন কর্তৃক আয়োজিত ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিনিধি সম্মেলন

মেহেরপুর মুজিবনগর সীমান্তে ১৫ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

ভূরুঙ্গামারীর রাজনীতিতে নতুন গতি:৩১ দফা নিয়ে আন্ধারিঝাড়ে বিএনপির প্রচারণা

কুড়িগ্রামে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ কর্তৃক পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতার

কুতুবদিয়ায় সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত লাশ

চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগী

হাইস্পিড গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান

বোদায় মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ
