কুতুবদিয়ায় নেই বাজার মনিটরিং : চারদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও গলাকাটা ব্যবসা

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা গলাকাটা ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতাসাধারণ। অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের গায়ে থাকা মূল্যের চেয়েও অধিক দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। দোকানিরা প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম নিচ্ছেন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। দিচ্ছেন না কোনো ভাউচারও। এছাড়াও প্রতিটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য। এমন সব অভিযোগ ক্রেতাদের।
মাছ, মাংস, মুরগি, ডিম, তরিতরকারি থেকে ফলমূলসহ প্রত্যকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে কুতুবদিয়ায়, যা দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়েও বেশি। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ১৩০০ টাকায় সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হলেও কুতুবদিয়ায় বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়। শুধু গ্যাস নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণের পণ্যের সরবরাহও।
এদিকে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দেয়া নির্দেশনা মানছে না কোনো ব্যবসায়ী। নির্দেশনামতে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বেশি নিলে ১৬১২১ হেল্প নাম্বারে ফোন দিতে বলা হয়েছে।
বড়ঘোপ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো দোকানে পণ্য তালিকা নেই। দুই লিটারের পুষ্টি সয়াবিন বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। যদিও পণ্যের গায়ে লেখা আছে ৩৩৫ টাকা। রূপচাঁদা সয়াবিন প্রতি লিটার ২০০ টাকা। শুধু তেল নয়, দাম বেড়েছে প্রতিটি জিনিসের বলে জানালেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
অতিরিক্ত মূল্য নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কিছু করার নেই। অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হয় সবকিছু। তাই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন।
দোকানে পণের মূল্য তালিকা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানিরা বলেন, সকাল-বিকেল পণ্যসামগ্রীর দাম ওঠানামা করে। কিভাবে তালিকা দেব? এই বাজারে গত দুই বছরে একবারও অভিযান হয়েছে কি-না অনেকেরই মনে নেই। তালিকা না রাখার সেটাও একটা কারণ। তাছাড়া অভিযানের খবর পেলে দোকান বন্ধ করে চলে যান, বলেছেন দোকানিরা।
আবু ছাদেক নামে একজন ক্রেতা জানান, রমজান মাসকে সামনে রেখে চারদিকে গলাকাটা ব্যবসা শুরু করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতিনিয়ত ক্রেতা-বিক্রেতা মুখোমুখি হচ্ছে। মারামারির উপক্রম হচ্ছে প্রায় সময়। তারপরও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির বিষয়টি মানুষের কাছে সহনীয় হয়ে গেছে।
এলাকার সাধারণ ক্রেতা ও সচেতন মহল জানান, বড়ঘোপ ও ধুরুং বাজার উপজেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এই দুই বাজারে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করলে সাধারণ ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারে। অসাধু ব্যবসায়ীরা গলাকাটা বাণিজ্য করতে পারে না। কিন্তু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায় প্রশাসন। সিন্ডিকেট প্রশাসনকে টাকা দিয়ে লোক দেখানো অভিযান চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। সেমতে প্রশাসনও অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ছোট ছোট বাজারগুলো উচ্ছেদ করে আর ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারে। স্থানীয়দের জিম্মি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটে নেয়। স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
উপজেলার মেডিকেল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক মাস আগে রাতের বেলায় এই এলাকায় ইদ্রিস মার্কেটের সামনে কম দামে তাজা তাজা মাছ ও তরিতরকারি পাওয়া যেত। স্থানীয় বাসিন্দাসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যাওয়ার পথে ক্রয় করে নিতে পারত। হঠাৎ একদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে অভিযান চালিয়ে বাজারটি উচ্ছেদ করে দেন। পরে লোকমুখে শোনা যায়, বড়ঘোপ বাজারের একটি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের টাকায় ওই অভিযান চালানো হয়। অথচ বড়ঘোপ বাজারে একদিনও অভিযান চালানো হয়নি। তাই অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো গলাকাটা ব্যবসা করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরের জামান চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা
