ঢাকা মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অসাধু কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি photo সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১-৩-২০২২ দুপুর ১১:৪৯

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাইয়েরগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহ গ্রামবাসীর নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপসারণের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা ও ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের উদ্যোগে দফায় দফায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকসহ বিভন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয় কয়েকবার। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে, যা সাধারণ মানুষকে রিতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে।

জানা যায়,  সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ধোপাজান চলতি নদীতে অভিযান পরিচালনার নামে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষদের মারধর করা হয়। নির্বাহী অফিসারের ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তার ওপর শারীরিক নির্যতনসহ নিরীহ শ্রমিকদের বাড়ির ঘাট থেকে খালি নৌকা জব্দ করে জরিমানা আদায় করা হয় লাখ লাখ টাকা। অন্যথায় মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনো হয় নিরীহ গ্রামবাসীসহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ জনপ্রতিনিধিদের। এমন তথ্য ও অভিযোগ রয়েছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে।

শুধু তাই নয়, ওই নির্বাহী অফিসারের নেতুত্বে সুরমা নদীর উত্তর পাড়ের সাধারণ মানুষেরা বারবার লাঞ্ছিত হন।  এমনকি শিশুদের মারধর করা হয় বলেও জানান সাধারণ মানুষেরা। নির্বাহী অফিসার নিজের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধ বালু ও পাথর ব্যবসায় নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন গোপনে। এমন তথ্য পাওয়া যায় নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একাধিক বালু ও পাথর শ্রমিকদের কাছ থেকে ।

সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি নির্বাহী অফিসার তিনি একটি সিন্ডিকেট দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ধোপাজান নদীর পাড় কেটে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনের রমরমা ব্যবসা। সরকারি কাজের নামে নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলনের ব্যবস্থাপত্র দেন তিনি ও তার সিন্ডিকেট কর্মচারীরা।

সরেজমিন ধোপাজান নদীর তীরে বসবাসরত একাধিক মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নদীর পাড়ে রাখা বালু ও পাথর জব্দ করে নিলামের নামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নদী থেকে বালু ও জদ্ধকৃত পাথর নৌকাযোগে বের করার ব্যবস্থাপত্র দেন তিনি, যে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে মাসের পর মাস বড় বড় নৌকা দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকার বালু ও পাথর বিক্রি করার সুকৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে একই পাথর ৩ থেকে ৪ বার নিলাম হলেও নদীর পাড়ে রাখা ওই সমস্ত নিলামকৃত পাথর এক ইঞ্চিও কমে না। অথচ ওই সমস্ত ব্যবস্থাপত্র দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালু ও পাথর নদীর পাড় কেটে আনা হয় নৌকাযোগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। আর এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চাইলে বারবার একটি উত্তর মেলে- তিনি বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু সঠিক কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে দাবি বৈধ বালু ও পাথর ব্যবসায়ীদের।

মাঝেমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ধোপাজান চলতি নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নিরীহ বারকি শ্রমিকদের নৌকা ধরে নিয়ে মামলা অথবা জরিমানা আদায় করে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান নদীপাড়ে থাকা সাধারণ মানুষেরা।  রক্ষকরাই যদি ভক্ষক হন তাহলে নদী ও পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হবে শত শত বাড়িঘর। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধারণ বারকি শ্রমিকদের বালু অভিযানের নামে ধরে নিয়ে এবং রাতের আঁধারে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে তার একান্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি কাজের নামে নিজেই বালু-পাথর উত্তোলন করে চালিয়ে যাচ্ছেন বালু ও পাথর ব্যবসা। এমন চিত্র ও ফুটে ওঠে ভিডিওচিত্রে।

আর এসব কিছু জেলা প্রশাসকের নজরে আসলেও ধামাচাপার মধ্যে থেকে যায় বরাবরের মতই? সাধারণ শ্রমিকদের অধৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলণ বন্ধে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও সরকারী কর্মকর্তারা যখন নদীর পাড় কেটে  বালু ও পাথর উত্তোলণ করেন তখন কি ভাবে বৈধতা এবং নদীর ভারসাম্য ও পরিবেশ রক্ষ হয় এমন  প্রশ্ন সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে? আর এসব বিষয়ে যারাই কথা বলে তাদেরকেই হতে হয় মিথ্যা মামলার আসামী অথবা লাঞ্চনার শিকার। আর এসব করে থাকেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরিয়ার, সদর এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন, সহকারী তহশীলদার নুর আলী, ভূমি অফিসের সহকারী কামাল হোসেন এবং সদর উপজেলা অফিসের সিদ্ধার্থ বাবু।  ও

ই সমস্ত  কর্মকর্তাদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য  সুনামগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন সেক্টরে স্বারকলিপি প্রদান ও জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ভোক্তভোগী সাধারণ মানুষ। বার বার পেপার পত্রিকাসহ টেলিভিশনে একাধীক সংবাদ প্রকাশ হলেও জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন না হওয়ায় জেলা প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্তা দিন দিন কমতে যেমন  শুরু হয়েছে তেমনি অধীক মুনাফা লোভে  ক্ষমতার অপব্যবহার চালিয়ে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে চলেছেন দায়িত্বে থাকা ঐ সমস্ত অসাধু কর্মকর্তারা। উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে গোপনে তদন্ত করে অসাধু কমর্কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটি দাবী জানান ভোক্তভোগী সাধারণ মানুষ, মুক্তিযোদ্ধাগণ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।

এমএসএম / জামান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চন্দনাইশে বিএনপির শীত বস্ত্র বিতরন

পার্বত্য সমতল আমরা সবাই বাংলাদেশি: দুদু

নানা আয়োজনে বারহাট্টায় সরস্বতী পূজা উদযাপন

মধুপুরে জমি বিক্রির পর ফের দখলের চেষ্টা, দোকানপাট ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

রূপগঞ্জে অসহায় লোকদের ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

জমি বিরোধের উসিলায় লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে সাতকানিয়া সদরে

খাগড়াছড়িতে উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা

গজারিয়ায় মাদক সহ আটক ২জন

কাশিমপুরে ভুয়া ঋণের ফাঁদ: কোটি টাকা আত্মসাৎ, ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন।

নেত্রকোনায় বিশ্ব জলাভূমি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে উদযাপন

মানিকগঞ্জে অ‌বৈধ দুই ইট ভাটায় অ‌ভিযান

৮ বছরেও বিচারকার্য শুরু না হওয়ায় মনে আর প্রবোধ দিতে পারছি নাঃ শিমুলের স্ত্রী