সাতক্ষীরায় বোরো ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে কৃষকের মাথায় হাত
                                    কৃষি বিভাগ বলছে, এটা নেক ব্লাস্ট (ধানের গলাপচা) রোগ। এ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দিনে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ভ্যাপসা গরম, রাতে ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কৃষকদের সচেতন ও সঠিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে তালা উপজেলায় ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিকূল আবহাওয়ায় (মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঘন ঘন বৃষ্টিপাত, রাতে তাপমাত্রা কম ও দিনে ভ্যাপসা গরম) উপজেলার মাঠে মাঠে বোরো ধান গাছে কম-বেশি ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ছত্রাকের আক্রমণে ক্ষেতের ধান আস্তে আস্তে সোনালী ও খয়েরি হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা ধান গাছের এ অবস্থাকে গলাপচা রোগ বললেও কৃষি বিভাগের ভাষায় ধানের এ রোগ ‘নেক ব্লাস্ট’ নামে পরিচিত।
উপজেলার ধানদিয়া নগরঘাটা, শাকদহ, তৈলকুপি, চোমরখালী, খলিষখালী, কুমিরা, কাটাখালী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত সোনালী ও খয়েরি আকার ধারণ করেছে। অথচ এই সময়টা ধানক্ষেত সবুজ থাকার কথা। আক্রান্ত ধানক্ষেতগুলোকে দূর থেকে পাকা ধান মনে হলেও কাছে গিয়ে দেখা যায়, ধানের শীষে কোনো দানা নেই। ধান চিটা হয়ে গেছে।
কৃষকরা বলছেন, দানা পুষ্ট হওয়ার আগ মুহূর্তে ধান গাছের ডগা সোনালী হয়ে যাচ্ছে। এ ছত্রাক দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে ওষুধ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
উপজেলার আমতলাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আসাদুল, আলমগীর, আকবার গাজী, খলিষখালী গ্রামের মিজানুর, সুরমানসহ অনেকে জানান, তাদের মাঠের অর্ধেক বোরো ক্ষেতেই গলাপচা রোগ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত ক্ষেতের ধান বিবর্ণ হয়ে গেছে।
কৃষক খোকন মোড়ল বলেন, এবার আমি ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। এরমধ্যে সব জমির ধান ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়ে ধানের শীষ সাদা হয়ে গেছে। এসব ক্ষেতে বিভিন্ন কোম্পানির দামি কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হয়নি।
কৃষকদের দাবি, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক পাঁচ থেকে ছয়বার প্রয়োগ করেও ধান বাঁচাতে পারেননি।
আজিবার রহমান জানান, তিন বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমি বোরো ধান চাষ করেছি। এ জমিতে ধান চাষ করতে গিয়ে অন্তত ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দুই বিঘা জমিতে এবার ৬ হাজার টাকারও বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। তারপরও ধান ব্লাস্ট আক্রান্ত।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, ব্রি ২৮ জাতের ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ বেশি। আমরা কৃষকদের এ জাতের ধান চাষ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছি। এছাড়া ধানের পোকা দমনে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব সময় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
এমএসএম / জামান
                মহেশপুরে আলমসাধুর ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক কলেজ ছাত্র নিহত
                ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান
                সংবাদ প্রকাশের পর ডালারপাড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসনসহ নৌপুলিশ
                হাতিয়ায় ৬ হাজার ৪০০ কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড
                আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি করায় চাঁদপুরের পুরাণবাজারে বিক্ষোভ মিছিল
                রায়গঞ্জে সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াত দুর্ভোগ, অর্ধলাখ মানুষের দুর্দশা
                নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৬ যাত্রী নিহত
                নন্দীগ্রামে ব্লাড ডোনার ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
                কুড়িগ্রাম-১আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সাইফুর রহমান রানা
                বিকেল ৩ টার পর অসহায় হয়ে পড়েন মনপুরা দ্বীপের দেড় লক্ষ মানুষ
                রাজশাহী-১ আসনে এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান মুহসেনী
                আসলাম চৌধুরীর বিএনপি থেকে পদত্যাগের খবর ভিত্তিহীন মিথ্যা