হরিরামপুরে পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস সাংসদ মমতাজ বেগমের
পদ্মা-যমুনা অববাহিকায় অবস্থিত মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার মধ্য প্রায় ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সর্ববৃহৎ উপজেলা হরিরামপুর। প্রায় ৫০ দশক হতে ভাঙা-গড়ার সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলছে এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্য ৯টি ইউনিয়নের নদী ভাঙন কবলিত বাসিন্দারা। ফলে ভৌগলিক আয়তনও অনেকটাই কমে গেছে উপজেলাটির। চলতি বছরের বৈশাখের শুরুতেই পদ্মা-যমুনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে না পেতেই এ উপজেলার পদ্মাতীরবর্তী কাঞ্চনপুর, গোপীনাথপুর, রামকৃষ্ণপুর, বয়ড়া, হারুকান্দি ও ধূলশুড়া ইউনিয়নে নতুন করে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। ফলে ভাঙন আতংকে দিন অতিবাহিত করছে নদীতীরবর্তী ৬টি ইউনিয়নের শত শত পরিবার। ভুক্তভোগীদের দাবি- ‘আমরা সরকারের কাছে ত্রাণ চাই না, আমাগো শেষ সম্বল রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ চাই।’
জনগণের এমন দাবিতে এ উপজেলার অব্যাহত পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ মমতাজ বেগম। সম্প্রতি দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধির কাছে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, হরিরামপুরে এ পর্যন্ত ৮.৮ কিলোমিটার অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণন করা হয়েছে। এছাড়াও বেশকিছু জায়গায় জিওব্যাগও ফেলা হয়েছে। অনেক জায়গায় অস্থায়ী বাঁধসহ জিওব্যাগ ফেলা জায়গাগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি আমাদের নজরে আসতেই আমি মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। তাছাড়া আমাদের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। এজন্য যত প্রকার প্রক্রিয়া দরকার, সেসব প্রক্রিয়া মোটামুটি এগিয়ে চলছে।
বর্তমান ভাঙন রোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্তমানে যে ভাঙনটা শুরু হয়েছে, এটাও ফেরানোর জন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে কথা বলেছি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি আমরা এর একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।এত আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি বাঁধ, এই বাঁধ থেকে এলাকার মানুষ যে সুফল পেয়েছে, তা থেকে জনগণ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি।
স্থায়ী বাঁধের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, স্থায়ী বাঁধের প্রক্রিয়া তো দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এটার জন্য প্ল্যানসহ সার্ভে করা হয়েছে। মাপঝোপের কাজও করা হয়েছে। এখন বাজেট করতে হবে। আসলে ১০ কিলোমিটার রাস্তা করতে যে টাকা খরচ হয়, ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করতে তারচেয়ে বেশি খরচ হয়। তবে জরুরিভিত্তিতে এটা আমরা করার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, এই ভাঙন রোধের জন্য হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম গত ১৬ এপ্রিল মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর ৩টি প্রস্তাবনা দিয়ে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। একই স্মারকের অনুলিপি পাঠানো হয় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে। স্মারকে তিনি ৩টি প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলো হলো-
ক. কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর-কালীতলা এবং গোপীনাথপুর ইউনিয়নের উজানপাড়া-কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা ব্লক ফেলে বাঁধ নির্মাণ করা।
খ. হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ, আজিমনগর, সুতালড়ী এবং লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের চড়ের মাঝামাঝি স্থানে পদ্মার চর কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা।
গ. দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবনায় তিনি উল্লেখ করেন, কাঞ্চনপুর, গোপীনাথপুর, রামকৃষ্ণপুর, বয়ড়া, হারুকান্দি ও ধূলশুড়া ইউনিয়নে পদ্মার উত্তর তীরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণসহ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা।
এমএসএম / জামান
বাকেরগঞ্জে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কেটে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু
মসজিদের খতিব–ইমাম–মুয়াজ্জিনদের সুরক্ষায় নীতিমালা চূড়ান্তঃ কুমিল্লায় ধর্ম উপদেষ্টা
মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনঃবিবেচনার দাবিতে গণজমায়েত
চর ওয়াশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন জাতীয় বীর আমান উল্লাহ আমান
গাজীপুরের রাজনীতিতে ঝড় তুললেন ইরাদ সিদ্দিকী
ধুনটে বালুবাহী দুই ট্রাকের চাপে অটোরিকশাচালক নিহত
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের হীরক জয়ন্তী পালন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিলমারী মডেল থানার এসআই আসাদুজ্জামানের আকস্মিক মৃত্যু
কোম্পানীগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান
দুমকিতে সশস্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
দুমকিতে গাভী লুটপাটের অভিযোগ 'মিথ্যা', দাবি করে সংবাদ সম্মেলন
ভূমিকম্পকে আল্লাহর সতর্কবার্তা হিসেবে দেখার আহ্বান – মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব (বড় হুজুর, কাছাইট)
Link Copied