নমুনা ডিম ছেড়েছে হালদার মা মাছ, প্রস্তুত সংগ্রহকারীরা
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র, জোয়ার-ভাটার নদী ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামে ঘোষিত চট্টগ্রামের হালদা নদীতে কয়েকটি স্থানে কার্পজাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস) মা মাছ ‘নমুনা ডিম’ দিয়েছে। শনিবার রাত ১০টা থেকে ১২টার দিকে তীরবর্তী কয়েকটি স্থানে ডিম সংগ্রহকারীদের কেউ কেউ ৫০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ডিম পেয়েছেন বলে জানা গেছে। হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় ডিম সংগ্রাহকরা নমুনা ডিম ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে গত কয়েকদিন যাবত হালদা নদীর উজানে বৃষ্টিপাত হলেও তা পুরোদমে ডিম ছাড়ার জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। এরই মধ্যে ‘নমুনা ডিম’ ছাড়ল মা মাছ। এ মাসের শুরু থেকে পূর্ণ প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় নদীতে অপেক্ষায় ছিলেন ডিম সংগ্রহকারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা আশা করছেন, চলতি পূর্ণিমা তিথিতে বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি হলে জোয়ার কিংবা ভাটার সময় নদীতে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়া শুরু করতে পারে।
গত কয়েক দিনে সরেজমিন দেখা গেছে, দুই উপজেলার ৪টি সরকারি হ্যাচারি ও প্রায় দেড় শতাধিক মাটির কুয়ায় রেণুপোনা ফুটানোর জন্য নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন উপজেলা প্রশাসন ও সংগ্রহকারীরা। প্রশাসন ও নদীর গবেষকদের ধারণা, এবার নদীর পরিবেশ বিগত সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। এ কারণে এবার ডিম সংগ্রহের পরিমাণ বাড়তে পারে। এবার নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করতে প্রায় ৪-৫শত নৌকা নিয়ে প্রায় ১০০০ ডিম সংগ্রহকারী অপেক্ষায় আছেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম জানান, ডিম ছাড়ার আগে মা মাছ খুবই দুর্বল থাকে। তাই এ সময়টাতে মা মাছ নিধনকারীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এসব অপতৎপরতা রোধে উপজেলা প্রশাসন দিনরাত তৎপর রয়েছে। এছাড়া ডিম সংগ্রহকারীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা ও তদারকি করা হচ্ছে।
এমএসএম / জামান