মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই সিজারিয়ান ও প্রসূতি সেবা
গাইনি চিকিৎসক ও অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন ও প্রসূতি সেবা। এজন্য জরুরি মুহূর্তে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য মানুষকে ছুটতে হচ্ছে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল অথবা বেসরকারি কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি ব্যয় করতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের জুন মাসের পর থেকে বন্ধ সিজারিয়ান। চার বছর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান। তিনি সিজারিয়ান করতেন। চার বছর আগে বরগুনা সিভিল সার্জনের দায়িত্ব পেয়ে তিনি সেখানে চলে যান। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান। পদ থাকলেও কোনো গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখানে দেয়া হয়নি। এছাড়াও তিন বছর ধরে শূন্য রয়েছে অ্যানেসথেসিস্ট পদ। নেই আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনও। ২০০৯ সাল থেকে বিকল এক্স-রে মেশিন। নেই এক্স-রে টেকনিশিয়ান ও।
গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন ও প্রসূতি সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনেক সময় প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রোগী এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই জরুরি বিভাগ থেকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল অথবা বরিশাল শেবাচিমে রেফার করা হয়। এতে যাতায়াতের ভোগান্তির পাশাপাশি বিপুল অর্থ ব্যয় হয় রোগীর স্বজনদের। সিজারিয়ান অপারেশন ও প্রসূতি সেবা বন্ধ থাকায় বিপকে পড়েছেন দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। তবে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারা উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে এ সেবা নেন।
উপজেলার দেউলী গ্রামের শাহানুর বেগম বলেন, কিছুদিন আগে আমার গর্ভবতী মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে নিয়ে আসি। সিজারিয়ান না থাকা আমাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সিজার করাতে হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসা. দিলরুবা সুলতানা লিজা বলেন, গাইনি বিশেষজ্ঞ এবং অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় চার বছর ধরে বন্ধ আছে সিজারিয়ান। ফলে বাধ্য হয়ে সিজারিয়ানের জন্য অন্যত্র পাঠাতে হচ্ছে গর্ভবতীদের। শূন্যপদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এমএসএম / জামান