তাড়াশে লিচু নিয়ে চিন্তিত কৃষক
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লিচু নিয়ে চিন্তিত কৃষক। ইতোমধ্যেই রসালো ফল লিচু গাছ থেকে পেড়ে বিক্রি শুরু করেছেন কৃষকরা। লিচুর আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় লোকসানে পড়তে পারেন বাগান মালিকরা। তেমনি একজন লিচু বাগান মালিক উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের লিয়াকত আলী মোল্লা। বুকভরা আশা নিয়ে তার ৫ বিঘা জমিতে চিনি চম্পা, চায়না থ্রি, মোজাফোরসহ বেশ কয়েক জাতের লিচুর চাষ করেছিলেন। লিচু গাছে ফুল ফোটার দিকে ভালো ফলন ও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও এখন তিনি হতাশার মধ্যে আছেন। কারণ এ বছর অনাবৃষ্টি ও অতিগরমে লিচু ফেটে যাওয়ায় ফলন ভালো না হওয়ায় আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না।
লিয়াকত আলী মোল্লার স্ত্রী বলেন, এ বছর করোনার কারনে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তারপরও ভেবেছিলাম বাগান থেকে লিচুর ভালো ফলন পাব। তা আর হলো না, রোদে পুড়ে লিচু ফেটে গেছে। লিচুর রং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র আয়ের উৎস থেকে যদি আয় করতে না পারি তাহলে আমাদের অনেক লোকসানে পড়তে হবে। আমরা বাগান মালিকরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি
লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, এক যুগ আগে আমার বাবার হাতের তৈরি বাগানে এখন অনেক বড় বড় গাছ হলেও এ বছর আগের মতো ফলন পাচ্ছি না। বৃষ্টি না হওয়ায় ও চরম গরমের কারণে গাছেই লিচু নষ্ট হয়ে গেছে। লিচুর গায়ের চামড়া ফেটে যাওয়ায় ও মাঝে মাঝে কালো দাগ হওয়ায় বেপারিরা অনীহা প্রকাশ করছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবারে ৩৩ বিঘা জমিতে এ বাগান করা আছে, যা আমাদের পরিবারের আয়ের উৎস। আমাদের লিচু বাগান দেখে এখন এলাকার অনেকেই বাগান করছেন। আগে তাড়াশ উপজেলায় লিচুর বাগান করতে কৃষকদের তেমন কোনো আগ্রহ দেখা না গেলেও বর্তমানে আগ্রহ বাড়ছে। তাই কৃষি বিভাগ যদি লিচু চাষে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে সহায়তা করে তাহলে এ উপজেলায় লিচু চাষের অপার সম্ভাবনা হিসেবে দেখা যাবে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, লিচুর পরাগায়নের সময় তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে লিচুর ফলন কম হতে পারে। আমরা বাগান মালিকদের সব সময়ই ফল রক্ষায় বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। বাজারে লিচুর দাম একটু বেশি পেলে বাগান মালিকদের লিচু চাষে আগ্রহ বাড়ত।
এমএসএম / জামান