কালিয়ায় ইভটিজিংয়ের বিচারের নামে প্রহসন, ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া হাই স্কুলে ইভটিজার মিজানের বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারের আসরে দাওয়াতপ্রাপ্ত কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি। কোটিপতি বাবার ছেলের ইভটিজিংয়ের বিচারের নামে প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল কমিটির সদস্যদের আঁতাত করা তারা মেনে নিতে না পেরে স্থান ত্যাগ করেন বলে জানান।
শুক্রবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ বিচারেরকার্য পরিচালিত হয়। এ ঘটনায় তদন্তসাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। মিজান সরদার ওই গ্রামের ইমরান সরদারের ছেলে।
স্থানীয় বাজারবাসী জানান, গত ২৯ জুন দুপুরে কলাবাড়িয়া হাই স্কুলের পাশে ওই স্কুলের একটি মেয়েকে ইভটিজিংয়ের সময় মিজান সরদার নামে এক বখাটেকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দেয়া হয় এবং ওই দিনই বিকেলে বখাটে মিজান তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাজারে হামলা করতে এলে তারা প্রতিরোধ করে। এ সময় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানকে ধরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় মিজানের দাদা খবির সরদার ধার্য্যকৃত বিচারের দিন ইভটিজারকে হাজির করানোর লিখিত অঙ্গীকার দিয়ে তাকে নিয়ে যান। কিন্তু ওই দিন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং স্কুল কমিটির লোকজন হাজির হলেও মিজান হাজির হয়নি। পরবর্তীতে ৮ জুলাই স্কুল কমিটি বিচারের নামে প্রহসন করায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন তারা।
মিজানের পিতা ইমরান সরদার বলেন, তার ছেলে আগে ওই স্কুলে পড়ত। তার পরিচিত এক ছাত্রীর সাথে সে রাস্তার পাশে কথা বলছিল। এ সময় বাজারের কিছু লোক তার ওপর হামলা করে। আজ বিচারের দিনে আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি তাকে একটা চড় দিলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এতে হয়তো অনেকে অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মহাসীন বলেন, ইভটিজারকে ৫টি বেতের বাড়ি দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপস্থিত সমাজের গণ্যমান্যদের কাছে এবং প্রধান শিক্ষকের কাছে মাফ চাওয়ানো হয়েছে।
কলাবাড়িয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গণপতি বলেন, ওটা ইভটিজিং ছিল না। বিচারের আসরে ওই ছেলে সমাজের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং তার ভুল স্বীকার করেছে।
প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ডা. রেজাউল হক মল্লিক ও মুকুল মোল্যাসহ অনেকে বলেন, দাওয়াতের চিঠি পেয়েই ওখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু এ ধরনের বিচার হবে জানলে আসতাম না। ইভটিজারদের সঠিকভাবে বিচারের আওতায় না আনলে পরবর্তীতে স্কুলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোনো অভিভাবক তার মেয়েকে এই স্কুলে পড়াতে পাঠাবে না। এমনটি আমার আশা করিনি।
এদিকে ইভটিজারের বিচারের বিষয়ে মিজানের বাবা ইমরান সরদার, স্কুল কমিটির সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
মোঃ জিহাদুল ইসলাম
কালিয়া- ০৮/০৭/২০২২
মোবাঃ ০১৮৬৫৫৫৬২৬৩
জামান / জামান
নন্দীগ্রামে স্কুল ভবন উদ্বোধন এবং ফুটবল টূর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
ধামইরহাটে ফতেপুর বাজারে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কে ডিবি পরিচয়ে গরু বোঝাই ট্রাক ছিনতাই, থানায় মামলা
বেনাপোলে সেই শিশুকে দত্তক নিলেন ব্যবসায়ী দম্পতি
রাতের আঁধারে মাদ্রাসার গাছ কাটা নিয়ে ইউএনওর কাছে সাবেক সভাপতির অভিযোগ
কোটালীপাড়ায় পারিবারিক পুষ্টিবাগানে কৃষকের হাসি
পাবনা'য় আমনের বাম্পার ফলন: কৃষকের মুখে হাঁসি
সন্দ্বীপে ধানের শীষের প্রচারনায় বিশাল গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত
বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
পাঁচবিবিতে মাঠ থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের কাছে শীতার্ত মানুষের জন্য আশার কম্বল হস্তান্তর
সিংড়া ভরা মৌসুমেও সবজির দাম আকাশছোঁয়া