চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা

দিন দিন চুরি-ডাকাতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার মোল্লাচর এলাকা ও আশপাশ এলাকার মানুষজন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মোল্লাপাড়া বাজার ও পূর্বপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, হুঁশিয়ার সাবধান, জাগো সবাই জাগো, আমরা আছি- হাঁকডাক দিচ্ছেন এলাকাবাসী। তাদের হাতে বাঁশ-কাঠের ডাসা কিংবা লাঠি। হাতে টর্চলাইট। বাঁশি বাজিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন কিছুক্ষণ পরপর।
মোল্লাপাড়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ীরা জানান, রাতে দোকানপাট বন্ধ করে আমরা নিশ্চিন্তে বাড়ি যেতে পারি। এক সময় আমাদের এখানে দোকানে চুরি হতো। চুরি ও ডাকাতি বন্ধে আমরা দলবেঁধে রাতে পাহারা দিচ্ছি।
মোল্লাপাড়া বাজারের পূর্বে ধলেশ্বরীর কোলঘেঁষে চর কিশোরগঞ্জ (পূর্বপাড়া) গ্রাম। নদীবেষ্টিত হওয়ায় গ্রামটিতে বহু বছর ধরেই ডাকাতি ও চুরির মতে ঘটনা ঘটছে অহরহ। সদর থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের টহল ও নিরাপত্তাহীনতায় এখানে চুরি-ডাকাতি যেন তুচ্ছ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গ্রামবাসী ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় শুরু হয় পাহারা।
স্থানীয় পঞ্চায়েত মাদবর আওলাদ হোসেন ও অলি মিয়া জানান, আমরা এর আগেও রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেছিলাম। তবে সেটি দির্ঘস্থায়ী হয়নি। পরবর্তীতে এলাকার মানুষজনের ঐক্যবদ্ধতা এবং থানা পুলিশের সহযোগিতায় পাহারা চালানো হচ্ছে। চুরি–ডাকাতি ঠেকাতে পাহারার বিকল্প কিছু নেই।
স্থানীয় কবির মিয়া জানান, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। বেশ কয়েকবার এই এলাকায় বড় ধরনের ডাকাতি হয়েছে। আমি নিজেই ভুক্তভোগী। এলাকারবাসীর স্বার্থে এবং চুরি-ডাকাতি কমিয়ে আনার জন্য আমরা সকলে মিলেমিশে পাহারা দিচ্ছি।
এদিকে, রাত জেগে পাহারা দেয়ার জন্য মোট ১২টি গ্রুপ-দল রয়েছে। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা দিন করে পাহারার সময় আসে। আর একটি গ্রুপে মোট ৮ জন সদস্য রয়েছে বলে জানা যায়।
এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং প্রবেশদ্বার পয়েন্টেগুলোতে গ্রামবাসীরা দলবেঁধে রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। রাতে বহিরাগত কাউকে সন্দেহ হলেই নাম-পরিচয়সহ বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ করেন পাহারদাররা। তাদের সাথে সদর থানা পুলিশ সদস্যরাও সহযোগিতা করছেন, সময় দিচ্ছেন। এভাবে সজাগ থাকলে চুরি-ডাকাতি বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সাথে থাকা বাঁশ কিংবা কাঠের ডাসা যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করছেন কেউ কেউ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল হাসান তুষার জানান, এই এলাকার লোকজন অত্যন্ত ভালো। তারা সকলে মিলেমিশে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন, এটা নিঃন্দেহে ভালো কাজ। তবে এখানে যদি পুলিশ ফাঁড়ির একটা অংশ স্থাপন করা যেত, তাহলে তাদের কষ্ট লাঘব হতো। চুরি-ডাকাতি বহুআংশে কমে যেত।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, যার যার সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব তার নিজস্ব। শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ হওয়ার আশংকা থাকলে নিরাপত্তার স্বার্থে পাহারা দেয়ার আইন রয়েছে। তবে গ্রামবাসীর পাহারা দেয়ার কাজটি খুব ভালো।
এমএসএম / জামান

কুয়াকাটায় পরিচ্ছন্নতা ও পর্যটকবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ

দোহারে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁয় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

ক্ষুদে ক্রিকেটার ঈসার পাশে কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিস

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

কোনাবাড়ী থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ নাটোর থেকে উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে অসহায় দরিদ্র উদ্যোক্তা মহিলাদের সেলাই বিষয়ক প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন

ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে জয়পুরহাটে সংবর্ধনা

নরসিংদীতে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ জন, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ জন

মেহেরপুরে ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

টঙ্গীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পরিদর্শন
