পঞ্চগড়ে প্রভাবশালী শিক্ষিকার স্কুল ফাঁকি, ব্যবস্থা নেয়নি কেউ
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা প্রেমহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. শামীমা নাহরীনের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাসে দুই থেকে চার দিন স্কুলে আসেন এবং দু-একটি ক্লাস নিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান তিনি। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক থেকে শিক্ষা অফিসার সবাই জানলেও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোনো আইনি পদক্ষেপ নেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ হাসান বলছেন, অনুপস্থিতির বিষয়ে জানা নিই। যে ছুটি নিয়েছে সেটা অর্জিত, মেডিকেল ছুটির বিষয়ে গত মাসে যে ছুটি চেয়েছেন আমরা সেটা জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন করব মেডিকেল বোর্ড বসানোর। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি অসুস্থ কি-না।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, মাসে দুই থেকে একবার স্কুলে এসে ক্লাস নিয়ে স্বাক্ষর করে চলে যান। মাসের পর মাস স্কুল ফাঁকি ও ছুটিতে থাকায় বিপাকে পড়েন অন্য শিক্ষকরা।
অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী হওয়ায় স্কুল ফাঁকি দেন তিনি। ওই শিক্ষিকার স্বামী সাদেক সারওয়ার সেলিম রংপুরের খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা। অঢেল সম্পদের মালিক, শুধু নামের জন্যই চাকরি ধরে রেখেছেন বলে দাবি তাদের।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ জুন নিয়োগ পেয়ে যোগদান করে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি সরকারি ছুটি বাদে নৈমিত্তিক ছুটি নিয়েছেন ১৫ দিন, দুই দফায় মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন ৬ মাস। কিন্তু ছুটি কাটিয়েছেন ৭ মাস ৭ দিন এবং স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন ৩৩ দিন। পরে বদলি হয়ে একই উপজেলার মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ মার্চ ২০১৮ থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। সেখানে সরকারি ছুটি বাদে ২০ দিন মেডিকেল ও নৈমিত্তিক ১৭ দিন ছুটি নিয়েছেন।
২২ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বোদা উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা প্রেমহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। সেখানে দেড় বছর করোনাকালীন ছুটি ও সরকারি ছুটি বাদে ৯ বার মেডিকেল ও নৈমিত্তিক ছুটিতে ৬ মাস কাটিয়েছেন। বর্তমানে ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন। চাকরিতে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ বছর ১ মাসের মধ্যে দেড় বছর করোনাকালীন ছুটি, সরকারি ছুটি বাদে মেডিকেল ছুটি ৩৮৮ দিন, নৈমিত্তিক ৬৭ এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৩৪ দিন।
ব্যাক পেইনসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন বলে জানান অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা মোছা. শামীমা নাহরীন। তবে অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে নেটওয়ার্কের সমস্যা বলে ফোন কেটে দেন। পরে বারবার ফোন করলেও ধরেননি তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র রায় জানান, জুলাইয়ের ৩ তারিখ হতে মেডিকেল ছুটির আবেদন দিয়ে অনুপস্থিত আছেন তিনি। বিষয়টি কতৃপক্ষকে অবগত করেছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মেডিকেল ছুটির জন্য ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ আবেদন করবে। কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে মেডিকেল বোর্ডে পাঠানো হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। বারবার মেডিকেল ছুটি নেয়ার বিষয়ে তিনি বিষয়টি ভালো লক্ষ্মণ নয় বলে উল্লেখ করেন। ৬ বছরে ১২ বার মেডিকেল ছুটির বিষয়টি দেখতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
এমএসএম / জামান
চুরি করে আনা প্রাইভেট কারে ছিল বিপুল পরিমান মাদক
বিগত সরকারের শাসনামলের ১৫ বছর আতঙ্কের ভিতর কাটিয়েছিঃ অভি
ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা খোকন গ্রেফতার
মেডিক্যাল চান্স পাওয়া পাবনার শিক্ষার্থী মেঘলার সব দায়িত্ব নিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক
উলিপুরে নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
গলাচিপায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার
মান্দায় ভারতীয় জাল রুপিসহ আ.লীগ নেতা আটক
সিলেটে ২ দিনে ১ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
চন্দনাইশে আটককৃত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ভুরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসায় ভোগান্তি বন্ধে মানব বন্ধন
আপনারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে না পারলে, যারা পারবে তাদের পথ সুগম করেন: দুদু
খানসামায় নদীর বালু হরিলুট করছে ইউপি সদস্য
Link Copied