মান্দায় দালালের প্রতারণায় জিডির নামে ধর্ষণ মামলা

ধর্ষণ মামলার বাদী মোকসেদ আলী একজন সহজ-সরল মানুষ। জিডি করতে দুই দালালকে সঙ্গে নিয়ে আসেন থানায়। থানার বাইরে মামলার বাদী মকছেদ আলীকে বসিয়ে রেখে জিডি লিখে দিচ্ছে তারা। জিডি লেখা শেষ হলে মোকসেদ আলীর কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরপরে জিডি থেকে হয়ে গেল ধর্ষণ মামলা। বাদী পরে জানতে পারেন তার মেয়ের সম্পৃক্ততা এনে টগর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এটা শুধু ছিল দালালদের টাকা আদায়ের অভিনব কৌশল। ঠিক কিছু সময়ের ব্যবধানে ছেলেপক্ষের কাছ থেকে ধর্ষণ মামলা মীমাংসার নামে লক্ষাধিক টাকা আদায় করে নিয়েছে দালাল নামে খ্যাত জাহাঙ্গীর ও সামসুদ্দিন। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ১০নং নুরুল্যাবাদ ইউপির মীরপাড়া গ্রামে।
সাজানো ধর্ষণ মামলার আসামি একই এলাকার আব্দুস ছালাম মণ্ডলের ছেলে টগর আলী (২২)। মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় প্রায় আড়াই মাস ধরে জেলহাজতে রয়েছেন তিনি। ধর্ষণ মামলার বাদী মকছেদ আলী উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউপির মীরপাড়া গ্রামের বশরুতুল্যাহ সরদারের ছেলে।
ঘটনার পর মামলার বাদী মকছেদ আলী জানান, জিডি করার নাম করে আমার প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম ও শামসুদ্দিন নামে দুই দালাল আমার নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে জড়িয়ে গত ৩ জুন টগর আলীর নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় আমি খুব লজ্জিত ও বিব্রত। আমি কোনোরকম স্বাক্ষর জানলেও লেখাপড়া জানি না। পরে পুলিশের কাছে জানতে পারি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
মেয়ের মা মোরশেদা বেগম জানান, মামলার আসামি টগর আলী আমার প্রতিবেশী দেবর। সে আমার মেয়েকে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করত। এজন্য থানার দালাল জাহাঙ্গীর ও শামসুদ্দিন আমার স্বামীকে নিয়ে জিডি করতে থানায় যায়। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ আমার মেয়েকে নিয়ে গেলে জানতে পারি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ভুট্টু জানান, জাহাঙ্গীর ও শামসুদ্দিন থানার দালাল। পুলিশের ভয়ভীতি এবং মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় এলাকার সাধারণ মানুষদের। এদের দুজনের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। মেয়ের বাবাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিডির নামে ধর্ষণ মামলা করিয়ে দিয়েছে তারা। এরপর ধর্ষণ মামলা মীমাংসা করার জন্য দুই দালাল থানার নামে ২০ হাজার এবং বাদীর নামে ১ োখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তোর ছেলের ধর্ষণ মামলায় ফাঁসি হবে হুমকি দেয়। তখন ছেলের বাবা নিরুপায় হয়ে ভয়ে দাবিকৃত টাকা দিয়ে মীমাংসা করেছেন। কিন্ত টাকা নেয়ার পর থেকে ছেলের পরিবারকে পাত্তা দিচ্ছে না তারা। থানার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুর্বল করে দেব মর্মে আশ্বস্ত করে। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম ও শামসুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এ ব্যাপারে আপনাদের কিছুই বলতে পারব না। তবে যে টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে জোত বাজারের সাংবাদিক নেতা আব্দুল মজিদ সব জানেন। সবকিছু তাকে নিয়ে করেছি। কথা বললে তাকে নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, মীমাংসার নামে টাকা-পয়সা নিয়েছে কি-না তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এমএসএম / জামান

গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ডেকোরেশন কর্মীর লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রারে রৌমারীতে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

চৌগাছায় পনিতে ডুবে আড়াই বছরের শিশু আবু বক্করের মৃত্যু

কালীগঞ্জে দুই মাদক কারবারী আটক

হাতিয়ায় চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌরুটে নতুন সি-ট্রাক উদ্বোধন

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো- মোস্তাফিজুর রহমান

রাজশাহীর সেই বহিস্কৃত এসআই ২ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহীতে আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

হাসিনার শাসন ইতিহাসের জঘণ্যতম অধ্যায়: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ছাত্রদলের উগ্র ও সন্ত্রাসী স্লোগানের প্রতিবাদে সাভারে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর জেলের জালে ৪৪ কেজির কোরাল, বিক্রি ৬৬ হাজার টাকায়

কোটালীপাড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ১৫, আতঙ্কে এলাকাবাসী
