অস্থায়ী ঘরের স্থায়ী বাসিন্দা
বেঁচে থাকার আশায় জীবনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন যেন নিয়মিতই। সারাদিনে একমুঠো খাবারের আশায় ছুটে বেড়ান বিভিন্ন প্রান্তে। কখনো খেয়ে কখনোবা না খেয়ে কেটে যায় দিন। গায়ে তেমন জোর নেই। তবুও জীবনের তাগিদে বেঁচে থাকার লড়াই। কিছু সাহায্য পাওয়ার আশায় তার এই রুগ্ন হাত পেতে দেন মানুষের মাঝে। কেউ দেয় আবার কেউ দেয় না। সংসার জীবনের অবসান ঘটিয়ে এখন প্রায় মানসিক ভারসাম্যহীন। এতক্ষণ যাকে নিয়ে লিখছি তিনি আর কেউ নন, সুরাইয়া বেগম। বয়স ষাটোর্ধ্ব।
থাকার জন্য নিজের হাতে নিজেই তৈরি করেছেন বসতঘর। টুকরা বাঁশ, কাঠ আর ছেঁড়া পলিথিনের সমন্বয়ে তৈরি করেছেন ঘর। রোদ, ঝড়-বৃষ্টিতে এখানেই দিনানিপাত করেন সুরাইয়া বেগম।
কয়েক দিনের অনুসন্ধানে জানা যায় সুরাইয়া বেগমের সম্পর্কে। তিনি সদরের কোর্টগাঁও এলাকার বাসিন্দা। স্বামী-সন্তান হারিয়ে প্রথমে ঘর বেঁধেছিলেন শহরের বিভিন্ন জায়গায়। শেষরক্ষা না হলেও পরবর্তীতে ঘর তৈরি করেন শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসংবলিত ফলক চত্বরের প্রধান গেটে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ওখানেই বসবাস তার।
সারাদিন কোনোকিছু কুড়িয়ে এবং মানুষের থেকে সাহায্য নিয়ে কোনোমতে কেটে যাচ্ছে তার দিন। আরো দেখা যায়, বর্তমানে তিনি শাক-সবজি তুলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে নিজেই নিজের জীবিকা নির্বাহ করছেন।
সারাদিন নিজেই নিজের সাথে কথা বলেন অবিরাম। কখনোবা সুই-সুতা নিয়ে কাঁথা তৈরিতে ব্যস্ত তিনি। আবার কখনো নিজের তৈরি ঘরের ভেতর টুকটাক কাজে মনোনিবেশ।
সংসারে কে আছে জানতে চাইলে কিছু বলতে পারেননি সুরাইয়া বেগম। হঠাৎ চোখের কোণে জল। হয়তো স্বামী-সন্তান হারিয়ে নিঃস্ব। কোনো এক ঝড়ে ভেঙে যাওয়া সুরাইয়া বেগমের সংসার হয়তো আর জোড়াই লাগেনি। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় তেমন কোনো কথা বলতে পারেন না।
পলিথিন আর কার্টনের সমন্বয়ে তৈরি করা ঘরে তার ৪ বছরের বেশি সময় পার হওয়া এখানেই। যেন অস্থায়ী ঘরে স্থায়ী বাসিন্দা। দিনের আলোয় ঘুম ভাঙলেও রাত যেন শেষ হয় না সুরাইয়ার জীবনে। রাত হলেই একা একা অনর্গল নিজের সাথে বিভিন্ন কথা বলে নিজেকে সান্ত্বনা দেন তিনি। দুঃখ-দৈন্যতায় হারিয়ে যাওয়া জীবনটা আর ফিরিয়ে আনতে পারছেন না তিনি। ঠিকানাবিহীন সুরাইয়া বেগম নিজের প্রিয়জনদের কাছে ফিরতেও অপারগ। প্রচণ্ড ঝড় কিংবা বৃষ্টিতে নিজের তৈরি অস্থায়ী ঘরে জীবনযাপন তার।
নিয়মিত খাবার পান না বলে দেহটাও শক্তি হারিয়ে ফেলেছে আজকাল। কেমন আছ জানতে চাইলে বলে ওঠেন, তোমাদের মতো না ভাই। আমি গরিব মানুষ, কেমনে থাকি। পৌর সমাজের বিত্তবানরা কেউই খোঁজ নেয় না আজকাল।
সঠিক চিকিৎসা আর বাসস্থান পেলে হয়তো তার পরিবর্তন হতে পারে। সেই সাথে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
অস্থায়ী ঘরের স্থায়ী বাসিন্দা সুরাইয়া বেগমের কাছে সংসার নিজের স্বপ্ন আর আগামীর কথা জানতে চাইলে হেসে দিয়ে বলে ওঠেন, একটু সকাল হোক, রোদ উঠুক।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মো. আল জুনায়েদের সাথে। তিনি জানান, স্মৃতি ফলকের ওখানে থাকতে পারে না। পবিত্রতার কিছু বিষয় রয়েছে। তাছাড়া উনি সরকারি ঘরের জন্য আবেদন করলে আমরা দেখব।
এমএসএম / জামান
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ, প্রদর্শনী এর উদ্বোধন ও দিনব্যাপী প্রশাসনিক কার্যক্রম
ধামইরহাটে ইউনিয়ন পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপন্নতা যাচাই কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বালাগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ পালিত
বরিশাল ৩নং আসনে তৃণমুলের পছন্দের প্রার্থী আঃ ছত্তার খান
বাঁশখালীর সেই ভেঙে পড়া কালভার্ট নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করে দিলেন গণ্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান
কাউনিয়ায় আমন মৌসুমের ধান ও চাল ক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
রাজশাহী-১ আসনে ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী
ফ্যাসিস্ট,চাঁদাবাজ,জুলুমবাজদের আর ছাড় দেয়া হবেনাঃ ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম
আদমদীঘিতে জাতীয় প্রানি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রানি সম্পদ প্রদর্শনী
হাটহাজারীতে প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
নড়াইলে সর্বোচ্চ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার এসআই আমির হোসেন ও এএসআই রুহুল আমিন
পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘উচ্চ শিক্ষায় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মসূচি ও রিসার্চ মেথোডলোজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ