যাযাবর জীবন ছেড়ে লোকালয়ে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছে বেদে সম্প্রদায়

যাযাবর জীবন ছেড়ে জনপদ কিংবা লোকালয়ে বসবাস করতে শুরু করেছে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন। বাপ-দাদার আদি পেশা হিসেবে সাপের খেলা, জাদু টোনা, সিংগা লাগানো, লেইস-ফিতা বিক্রি, মাছ ধরাসহ নানা পেশায় এক সময় জড়িত ছিল বেদেরা। বংশপরম্পরায় সেই পেশাগুলোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও এখন তা দুষ্কর। ভাসমান জীবন ছেড়ে এখন বেদেরা লোকালয়ে বসবাস শুরু করছে।
নদীর তীর কিংবা খালে ভাসমান নৌকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে রোদ-ঝড়কে উপেক্ষা করে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে তারা বসবাস করে থাকে। মূল পেশা হিসেবে সাপ ও বানরের খেলা দেখিয়ে আয়-রোজগার করত তারা। এছাড়াও বিভিন্ন মেলা কিংবা হাট-বাজারে বেদে সম্প্রদায়ের পুরুষ ও মহিলাগণ কাচের চুড়ি, লিপস্টিক, আলতা, স্নো, পাউডারসহ নানা ধরনের প্রসাধনসামগ্রী বিক্রি করা ছিল তাদের আয়ের একমাত্র উৎস।
সময়ের পালাবদলে ভাসমান জীবন ছেড়ে বিভিন্ন পেশাজীবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে বেদেরা। জেলা সদরের ধলেশ্বরীর কালিদাস নদীর উত্তর ইসলামপুর, মোল্লাচর, যোগিনীঘাট, খাসকান্দিসহ আশপাশের এলাকায় শত শত বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করত। এরই মধ্যে এই সম্প্রদায়ের অনেক পরিবার ফিরতে শুরু করেছে আধুনিক জীবনযাপনে। তাদের চলাফেরায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রা ও পোশাক পরিচ্ছদে দেখা গেছে আধুনিকতায় ছোঁয়া। বাপ-দাদার আদি পেশা ছেড়ে তারা এখন ভিন্ন পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে।
এমনই লক্ষ্য করা গেছে, সদরের মোল্লারচর, উত্তর ইসলামপুর, খাসকান্দি, যোগিনীঘাট এলাকায়। বেদে পরিবারগুলোর অনেকে নৌকা ছেড়ে এখন লোকালয়ে বসবাস করছেন। অনেকে আবার জায়গা-জমি ক্রয় করে মালিকানা সম্পত্তিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। অনেক বেদে পরিবারের সদস্য হয়েছেন স্থানীয় ভোটারও। বিভিন্ন নির্বাচনে তারা ভোট প্রদান করছেন। পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা। এমনকি স্থানীয় বিদ্যালয়ে তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। স্থানীয়দের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে মিলেমিশে বসবাস করছে তারা। মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, এক সময় সদরের এই অঞ্চলটিতে শত শত বেদে সম্প্রদায় পরিবারের বসবাস ছিল। সময়ের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন এর সংখ্যা কমেছে। কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেল- তাদের অনেকে ভাসমান নৌকা ছেড়ে লোকালয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। অনেকে আবার জায়গা-জমি ক্রয় করে বাড়িঘর নির্মাণ করেছেন।
নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেকে শহরে-বন্দরে কাজ করছেন। কেউ আবার অটো-মিশুক চালাচ্ছেন। এদের অনেকে আবার বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন। শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি। অনেকে আবার দোকানপাট খুলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন।
তারা জানান, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা নিজেদের পেশা ও চলাফেরা আধুনিক সমাজের লোকেদের সাথে মিল রাখতে চাই।আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে চাই। যাযাবর জীবন ছেড়ে স্থানীয়দের সাথে বসবাস করছি। খুব ভালো আছি।
এমএসএম / জামান

জামাই-শাশুড়ির অবৈধ সম্পর্কে কপাল পুড়লো মেয়ের

তানোরে দি পদ্মা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু, থানায় অভিযোগ

বাসের ধাক্কায় হেফাজত নেতার মৃত্যু, চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ

কুয়াকাটায় পরিচ্ছন্নতা ও পর্যটকবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ

দোহারে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁয় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

ক্ষুদে ক্রিকেটার ঈসার পাশে কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিস

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

কোনাবাড়ী থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ নাটোর থেকে উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে অসহায় দরিদ্র উদ্যোক্তা মহিলাদের সেলাই বিষয়ক প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন

ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে জয়পুরহাটে সংবর্ধনা
