ঢাকা বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

পুলিশ- বিএনপির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্র মুন্সিগঞ্জ


তোফাজ্জল হোসেন শিহাব, মুন্সীগঞ্জ photo তোফাজ্জল হোসেন শিহাব, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ২১-৯-২০২২ রাত ১০:২৬

মুন্সিগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘষে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। শহরের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা -ধাওয়ায় পুলিশ সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নিদেশনা অনুযায়ী ২১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেল ৩টার দিকে  মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা ছিল বলে জানা যায়। পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মিছিলে নেতা কর্মীরা জড়ো হতে থাকে।

মুক্তারপুর এলাকায় প্রায় ২হাজার লোকের সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও গতকালের বিক্ষোভ সমাবেশে জনসমাগমের উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫ হাজারের অধিক। এদিকে পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে  বিক্ষোভ কারীদের থামিয়ে ফিরে যাওয়ায় জন্য নিদেশ করে। নিদেশনা উপেক্ষা করে কৌশলে বিক্ষোভ কারীরা হামলা করার উদ্দ্যেশেই একত্রিত হয়।

এতো লোকের সমাবেশ ঘটলেও পুলিশের পরিমাণ ছিল ৫০/ ৬০ জনের। বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশ বিএনপি নেতা কর্মীদের সমাবেশে নির্ধারিত লোকজন নিয়ে সমাবেশ করতে বলে। কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশ ও বিএনপির নেতাদের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে। বিএনপি সেখানে পুলিশের ওপর হামলার প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইটপাটকেল জরো করে রেখে ছিলো বলে সুত্রে জানা যায়। একসাথে এত সংখ্যক পুলিশ ও সাংবাদিক আহত হওয়া অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

শুধু তাই নয় আতঙ্ক আরো ছড়িয়ে দিতে ডিবি পুলিশের মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপির সমথকরা।

বিএনপির সমথকদের দেওয়া ইটপাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুন্সিগঞ্জ সদর ) মিনহাজুল ইসলাম , সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান , ডিবি পুলিশ সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। এদের মধ্যে নারী পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের মতো হতাহতের স্বীকার হয়েছেন। তারমধ্যে গুরুতর একজন আহত পুলিশকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতরা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আরো জানা যায় ,পুলিশের গুলিতে বিএনপির কর্মীদের মধ্যে চরকেওয়ার ইউনিয়নের গুহেরকান্দি গ্রামের হারুন অর রশিদ সবচেয়ে বেশি আঘাত প্রাপ্ত হন । উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশংকাজনক।

পুলিশ বিএনপির ধাওয়া পাল্টা - ধাওয়ার রক্ষা পাননি গণমাধ্যম কর্মীরাও। নিউজ কভারেজ করতে এসে হামলার স্বীকার হন সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি কাজী সাবিবর আহম্মেদ দীপু , এনটিভির মাইনুদ্দিন সুমন , এবং গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি রুবেল । ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মোটরসা্কেলও।

বিএনপি ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার টিয়ারসেল ও গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

এমএসএম / এমএসএম

জামাই-শাশুড়ির অবৈধ সম্পর্কে কপাল পুড়লো মেয়ের

তানোরে দি পদ্মা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু, থানায় অভিযোগ

বাসের ধাক্কায় হেফাজত নেতার মৃত্যু, চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ

কুয়াকাটায় পরিচ্ছন্নতা ও পর্যটকবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ

দোহারে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁয় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

ক্ষুদে ক্রিকেটার ঈসার পাশে কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিস

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

কোনাবাড়ী থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ নাটোর থেকে উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে অসহায় দরিদ্র উদ্যোক্তা মহিলাদের সেলাই বিষয়ক প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন

ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে জয়পুরহাটে সংবর্ধনা

নরসিংদীতে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ জন, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ জন