ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর, মামলা


এহসান রানা, ফরিদপুর photo এহসান রানা, ফরিদপুর
প্রকাশিত: ১১-১০-২০২২ বিকাল ৫:২৮
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি জন্মনিবন্ধন নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় শেখর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার সন্ধ্যায় শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অফিসে টাঙানো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করার অভিযোগও রয়েছে। 
 
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর) ১০ জনের নামোল্লেখপূর্বক আরো ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন (মামলা নম্বর ১৩)। মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি আব্দুল্লাহ নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠিয়েছে। 
 
সরেজমিন থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। এজন্য নতুন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জন্মনিবন্ধন সনদপত্র থাকা প্রয়োজন। অন্যান্য স্থানের ন্যায় বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানদাররা জন্মনিবন্ধন সনদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্মনিবন্ধন সনদ প্রিন্ট করে দিচ্ছেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল বাজারের রংধনু কম্পিউটারের মালিক কিবরিয়া মোল্যা জাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে।
 
জানা যায়, গত রোববার (৯ অক্টোবর) রংধনু কম্পিউটার থেকে প্রিন্টকৃত কয়েকটি জাল জন্মনিবন্ধন সনদপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্টরা ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে গেলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ কম্পিউটার ব্যবসায়ী কিবরিয়াকে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে নিষেধ করেন। কিবরিয়ার ভুল হয়েছে স্বীকার করলে একপর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়। পরে বিকেলে কিবরিয়ার ভাই সুমনকে চেয়ারম্যানের অফিসে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন সুমনকে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ও কম্পিউটার দোকানদার কিবরিয়ার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
 
সংঘর্ষে চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ের আসবাবপত্রসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ সময় চেয়ারম্যানের অফিসে থাকা ১টি এইচপি কোম্পানির ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ ড্রয়ারে থাকা হোল্ডিং ট্যাক্সের ২ লাখ ৪৫ হাজার ও বাজার বণিক সমিতির নগদ ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
 
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বাদি হয়ে সৈয়দ জিল্লুর রহমান (৪৮), শেখর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রুমান মোল্যা, মো. সুমন মোল্যা, কিবরিয়া মোল্যা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রলীগকর্মী সৈয়দ মানিকসহ ১০ জনের নামোল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুল্লাহ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে। 
 
মামলার ১ নম্বর আসামি সৈয়দ জিল্লুর রহমান ও যুবলীগ নেতা ২ নম্বর আসামি রুমান মোল্যা  জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের সাথে ঝামেলা চলে আসছে। তারই জের ধরে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি ষড়যন্ত্র করে আমাদের সমর্থক কিবরিয়ার সাথে। রোববার বিকেলে কম্পিউটার দোকানদার কিবরিয়ার ভাইকে মারধর করলে আমরা এগিয়ে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে এলাকা শান্ত হয়।
 
তারা বলেন, এ ঘটনায় কোনো ভাংচুর হয়নি। ঘটনার পর চেয়ারম্যান ও তার ভাই মির্জা মিলন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর দুটি ছবি কিনে এনে ওই ছবি ও চেয়ারম্যানের অফিস তারা নিজেরা ভাংচুর করে আমাদের ফাঁসিয়েছে। চেয়ারম্যানের অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করলে সব রহস্য বের হবে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে বিচার চেয়েছেন।  
 
এ ব্যাপারে শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ জানান, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিএনপির কর্মীরা আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। জাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে নিষেধ করায় তারা আমার কার্যালয়ে টাঙানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এছাড়া ড্রয়ারে রাখা হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে সংগৃহীত ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং বাজার বণিক সমিতির ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা লুট করেছে।
 
সোমবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের জানান, দ্রুত বিচার আইনে সোমবার এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুল্লাহ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। মূল ঘটনা উদ্ঘাটন করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
 
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে সহস্রাইল খেলার মাঠে একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল কাজী ও চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের সাথে ঝামেলা চলে আসছে। ওই খেলাকে কেন্দ্র করে ওই মাসে কয়েকবার সংঘর্ষ বাধতে গেলে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে এলাকা শান্ত হয়। ওই সময় এক পাশের খেলার আয়োজক ছিলেন ব্যবসায়ী নজরুল কাজী, সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইস্রাফিল মোল্যা, যুবলীগ নেতা রুমান মোল্যা গং। একই মাঠে অপরপাশের খেলার আয়োজক ছিলেন শেখর ইউপির চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা গং।

এমএসএম / জামান

ধামইরহাটে ইউনিয়ন পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপন্নতা যাচাই কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বালাগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ পালিত

বরিশাল ৩নং আসনে তৃণমুলের পছন্দের প্রার্থী আঃ ছত্তার খান

বাঁশখালীর সেই ভেঙে পড়া কালভার্ট নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করে দিলেন গণ্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান

কাউনিয়ায় আমন মৌসুমের ধান ও চাল ক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

রাজশাহী-১ আসনে ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী

ফ্যাসিস্ট,চাঁদাবাজ,জুলুমবাজদের আর ছাড় দেয়া হবেনাঃ ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম

আদমদীঘিতে জাতীয় প্রানি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রানি সম্পদ প্রদর্শনী

হাটহাজারীতে প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

নড়াইলে সর্বোচ্চ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার এসআই আমির হোসেন ও এএসআই রুহুল আমিন

পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘উচ্চ শিক্ষায় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মসূচি ও রিসার্চ মেথোডলোজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ

ধামইরহাটে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহে উদ্বোধনী প্রদর্শনী মেলায় দুম্বা প্রদর্শন

হোসেনপুরে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ডিসি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার মতবিনিময়