মেঘনায় ইলিশ শিকার, দুপুরের পরই ঝিমিয়ে পড়ে প্রশাসনের অভিযান
মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অসাধু জেলেরা প্রকাশ্যে ইলিশ শিকারের মহোউৎসব চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। নিষেধাজ্ঞার দশম দিনেও কৌশলে চলে এ কার্যক্রম। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনাকারীদের তৎপরতার মধ্যেও অনেক জেলে নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন। দুপুর ১২টার পর নদীতে অভিযান পরিচালনাকারীদের উপস্থিতি কমে যাওয়াতে ইলিশ শিকারে নামেন জেলেরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিস্তীর্ণ নদীতে জেলেরা প্রকাশ্যে জাল ফেলে ইলিশ শিকার করার পাশাপাশি নদীর তীরে এনে বিক্রি করছেন বলেও জানান মেঘনা নদীতীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা।
সরেজমিন শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ ফেরিঘাট সংলগ্ন মাঝ নদী, ঝাপটা, কাউয়াদি এবং বকচর এলাকায় জেলেদেরকে নদীতে ইলিশ শিকার করতে দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে ইলিশ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরন এবং কেনাবেচা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। কিন্তু মেঘনা নদীর জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই শিকার করেছেন ইলিশ। প্রশাসনের ঝিমিয়ে পড়া অভিযানের কারনেই নদীতে জাল ফেলতে সাহস পাচ্ছেন জেলেরা বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুধু তাই নয়, জেলেরা নদীর তীরে মাছ ধরার ট্রলারে বসেই ইলিশ বিক্রি করছেন। তথ্যসুত্রে জানা যায়, নদীর তীরবর্তী জেলেরা নৌকা নিয়ে অবস্থান করে এবং তাদের ধরা ইলিশ মাছ নৌকার তলাতে রেখে দেয়। দেখে বোঝার উপায় নেই নৌকায় মাছ আছে কিনা।
নদীতে ঘুরে জেলেদের মাছ শিকারের দৃশ্য দেখে বুঝার উপায় ছিলো না যে, দেশে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার মৌসুম চলছে। প্রায় ২ ঘন্টা ট্রলারযোগে নদীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও প্রশাসনের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।
এই সময়ে নদীতে জেলেদের মাছ ধরার কর্মব্যস্ততা, নদীর তীরে জেলেদের অবস্থান আর দূর দূরান্ত থেকে ইলিশ কিনতে আসা লোকজনদের আনাগোনাই ছিলো বেশি মেঘনা ও ইসমানির চর এলাকায়।
মাঝ নদীতে একাধিক জেলেদের সাথে কথা হলে তারা জানান, সকালে নদীতে অভিযানের লোকজন ছিলো। তারা চলে যাওয়ার পর পরই জেলেরা নদীতে নেমেছেন মাছ শিকার করছেন। দিনের শুরুতে একটু সমস্যা হলেও দুপুর গড়িয়ে বিকেল, সন্ধ্যা আর গভীর রাতে মাছ ধরতে কোন সমস্যা দেখছি না।
এদিকে ধরা মাছ বিক্রি করা হচ্ছে আশপাশ এলাকায়।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মো. শামশুল করিম জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সদরে আমাদের জনবল কম রয়েছে। আর ২৪ ঘন্টাতো নদীতে থাকা সম্ভব না। একদিকে অভিযান করলে হয়তো অন্যদিকে জাল ফেলতে পারে। তারপরও যদি এমন টা হয়ে থাকে তাহলে অসাধু জেলেদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোষ্টগার্ড, নৌপুলিশ এবং মৎস্য বিভাগ সকলে মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। নদীতে থাকা অসাধু জেলেদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।
জামান / জামান
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ, প্রদর্শনী এর উদ্বোধন ও দিনব্যাপী প্রশাসনিক কার্যক্রম
ধামইরহাটে ইউনিয়ন পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপন্নতা যাচাই কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বালাগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ পালিত
বরিশাল ৩নং আসনে তৃণমুলের পছন্দের প্রার্থী আঃ ছত্তার খান
বাঁশখালীর সেই ভেঙে পড়া কালভার্ট নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করে দিলেন গণ্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান
কাউনিয়ায় আমন মৌসুমের ধান ও চাল ক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
রাজশাহী-১ আসনে ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী
ফ্যাসিস্ট,চাঁদাবাজ,জুলুমবাজদের আর ছাড় দেয়া হবেনাঃ ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম
আদমদীঘিতে জাতীয় প্রানি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রানি সম্পদ প্রদর্শনী
হাটহাজারীতে প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
নড়াইলে সর্বোচ্চ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার এসআই আমির হোসেন ও এএসআই রুহুল আমিন
পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘উচ্চ শিক্ষায় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মসূচি ও রিসার্চ মেথোডলোজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ