খোকা বাবুর ছেলে বেলা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহা কুমার (বর্তমান জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্ম গ্রহন করেন। পিতাঃ শেখ লুৎফর রহমান ও মাতাঃ মোসাঃ সাহারা খাতুনের ৪ কন্যা ও ২ পুত্রের মধ্যে তিনি হলেন তৃতীয় সন্তান। মা বাবা তাকে খোকা বলে ডাকতেন।
খোকার শৈশবকাল কাটে টুঙ্গিপাড়ার শ্যামল পরিবেশে দূরন্তপনা করে। মধুমতির ঘোলা পানিতে গাঁয়ের ছেলেদের সাথে সাঁতার কেটে, দৌড়-ঝাপ করে, দলবেঁধে হাডুডু, ফুটবল ও ভলিবল খেলে। তিনি ছিলেন দস্যি বালকদের নেতা। তখন কে যানত এই বালকদের নেতাই একদিন বিশ্ব নেতা, বাঙ্গালীর জাতীর পিতা হবেন?
৭ বছর বয়সে ১৯২৭ সালে গিমাডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুলে পড়ালেখা শুরু করেন। পরবর্তিতে বাবা শেখ লুৎফর রহমান পরিবারবর্গ নিয়ে আসেন তার কর্মস্থল গোপালগঞ্জে। খোকাকে চতুর্থ শ্রেনিতে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি করে দেন । এখানে দেড় বছর যেতে না যেতেই খোকা আক্রান্ত হল বেরিবেরি রোগে। এই বেরিবেরি রোগ থেকেই তার চোখে জটিল অসুখ দেখা দেয়। যার নাম গেফুমা। পুত্র হে পিতা লুৎফর রহমান অস্থির হয়ে পড়লেন।
সুভাকাংখিরা পরামর্শ দিলেন খোকাকে চিকিৎসার জন্য কোলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেখানে কোলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার টি আহমেদ তার চোখে সার্জারি করেন এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। গেফুমা থেকে সুস্থ হলেও ডাক্তার তাকে চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন। চোখে অসুখের কারনে তিনি ৪ বছর বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেননি।
১৯৩৯ সালে গোপালগঞ্জের মাথুরানাথ ইন্সটিটিউট মিশনারি হাই স্কুলের ৮ শ্রেনির ছাত্র ছিলেন। তখন তার স্কুল জীবনে ঘটে গেল এক বিরল ঘটনা। স্কুল পরিদর্শনে আসবেন অবিভক্ত বাংলার মুখ্য মন্ত্রী শেরে-বাংলা এ.কে ফজলুল হক, সাথে থাকবেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
হেড স্যার স্কুলের আঙ্গিনা, ক্লাসরুম, বাথরুম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বলে দিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দু-সপ্তাহ আগেই বলে দেয়া হল। সেদিন যেন সকলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত পোশাক পরিধান করে হাজির হয়। স্কুল পরিদর্শণ শেষে মন্ত্রী মহাদ্বয় ডাক বাংলার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় একদল ছাত্র এসে হঠাৎ তাদের পথ আগলে দাঁড়াল। ছাত্রদের এমন কান্ড দেখে হেড মাস্টার সাহেব অবাগ হলেন। তিনি চিৎকার দিয়ে বল্লেন, এই তোমরা কি করছো, রাস্তা ছেড়ে দাও।
ছাত্ররা হেড মাস্টারের কথায় কর্ণপাত করলো না। হেংলা, পাতলা, লম্বা, ছিপছিপে মাথায় ঘনকাল চুল বিশিষ্ট একটি ছেলে গিয়ে মুখ্য মন্ত্রীর সামনে দাঁড়াল। মন্ত্রী মহদ্বয় তার সাহস দেখে অবাক হলেন। জিজ্ঞাস করলেন কি চাও? বুকে সাহস নিয়ে নির্ভয়ে সে উত্তর দিল, আমরা গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইন্সটিটিউট মিশনারি স্কুলেরই ছাত্র। স্কুলের ছাদে ফাটল ধরেছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখান থেকে বৃষ্টির পানি চুয়ে পড়ে, আমাদের বই খাতা ভিজে যায়। ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বলা সত্যেও কোন ফল হয়নি। ছাদ সংস্কারের জন্য আর্থিক সাহায্য না দিলে রাস্তা মুক্ত করা হবেনা।
কিশোর ছাত্রের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সৎ সাহস আর স্পষ্টবাদীতায় মুদ্ধ হয়ে শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক সাহেব জানতে চাইলেন, ছাদ সংস্কার করতে তোমাদের কত টাকা প্রয়োজন? সাহসী কণ্ঠে শেখ মুজিব জানালো, ’বারশত’ টাকা। মুখ্য মন্ত্রী উত্তরে বললেন, ঠিক আছে তোমরা যাও। আমি তোমাদের ছাদ সংস্কারের ব্যবস্থা করছি। তিনি তার তহবিল থেকে উক্ত টাকা মনজুর করে অবিল¤েব ছাদ সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিলেন।
এমনই এক দাবি আদায়ের মধ্যে দিয়ে যার ছেলে বেলার জীবন যাত্রা শুরু, এই সেই ছাত্র নেতা, তিনি আর কেউ নন, তিনি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আ.ন.ম আশরাফ আলী (প্রভাষক আরবি)
গিমাডাংগা গজালিয়া মহিলা ফাযিল মাদ্রাসা..
প্রীতি / প্রীতি

ভূরুঙ্গামারীতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবিতে রাণীশংকৈলে জামায়াতের মিছিল-সমাবেশ

জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই বেশিরভাগ দুর্নীতির সাথে জড়িত: ডিসি মোঃ ইসরাইল হোসেন

চাঁদপুরে পরিত্যক্ত রান্নাঘর থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার

আত্রাইয়ে ৫ দফা দাবিতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফুলছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

এতিম খানায় দুপুরের খাবার ও দোয়ার আয়োজন করলো মানবিক করিম টিম

১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের পুনর্জাগরণ

খাগড়াছড়িতে দুর্গাপূজাকে ঘিরে জন নিরাপত্তায় র্যাবের টহল

নির্বাচনে খুনী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের সাথে নতুন ভোটারদের লড়াই হবে -মিয়া গোলাম পরওয়ার

কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

আলীপুর মুমিন পাড়া সড়কটি যুগের পর যুগ উন্নয়ন ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত
