রাস্তার কাজে ঠীকাদারের ধীরগতি, ভোগান্তিতে ৪০ হাজার পরিবার

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার আদারা ইউনিয়নের জাজিরা বালুরমাঠ থেকে শুরু করে সৈয়দপুর পর্যন্ত মোট সাত কিলোমিটার রাস্তার কাজে গাফিলতি আর কাজের ধীরগতির অভিযোগ ওঠেছে সানটেক জেএসএমসি নামের ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় , ৮ মাস আগে শুরু হয় রাস্তার কাজ। আজ দীর্ঘ ৩ মাস ধরে রাস্তা নিথর ভাবে পড়ে আছে । ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন করমকরতা রাস্তার খোজ নিচ্ছে না। এদিকে খানাখন্দ ভরা সড়কে দুর্ভোগে পড়ছেন জনসাধারণ।
জাজিরা বালুরমাঠ থেকে শুরু করে বকচর , গাজিকান্দি , সৈয়দপুর , চর আব্দুল্লা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ৪০ হাজার পরিবারের বসবাস ওখানে। স্থানীয়দের বিকল্প সড়ক না থাকায় এই পথ ব্যবহার করে সদরে আসা যাওয়া করতে হয় তাদের।
রাস্তার কাজ বন্ধ কেন এমন প্রশ্নে স্থানীয় মুরব্বি জানান , জাজিরার খালে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় বালুবাহি বাল্বহেড প্রবেশ করতে পারে না। যার কারনে রাস্তায় বালুর অভাবে কোন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় অটো-মিশূক ড্রাইভারদের অভিযোগ , আমরা অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। রাস্তা অস্বাভাবিক ভাবে অনেকটা নিচু এবং ঢালু। জাজিরা থেকে সৈয়দপুর অনেকটা দুরের পথ। হেটে আসাও সম্ভব নয়। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত সদরে আসা সম্ভব হয় না। আর যারা কাজ করছেন তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী আসেন। আমরা তাদের কে রাস্তার কাজের বিষয়ে কিছু বললে আমাদের কোন পাত্তায় দেন না। নির্দিষ্ট সময় থাকায় ধীরগতিতে এই রাস্তার কাজ চালানো হচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী জুলফিকার মিয়া জানান , আমরা রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আপাতত কিছুদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া জাজিরা খালে পানি কমে যাওয়ায় বালু পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে পূনরায় কাজ শুরু হয়ে যাবে।
জানা যায়, এই রাস্তার কাজ গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়েছে এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে রাস্তাটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। যার ব্যয় ধরা হয়েছে আট কোটি উনিস লাখ ছত্রিশ হাজার ছয়শত বাইস টাকা। কিন্তু কয়েক মাস কাজ চলার পর তিন মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। নির্দিষ্ট একটা সময় থাকায় যেন গা-ছাড়া দিয়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আদারা ইউনিয়নের এবং আশপাশ এলাকার হাজারো মানুষ এ্ই সড়ক ব্যবহার করে আসা যাওয়া করে। চলে হাজারো ছোট বড় যানবাহন।
কিন্তু জাজিরা থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত এই রাস্তায় যানবাহনে চলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেক যাত্রীদের। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য চলাচলে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই। আর পায়ে হেঁটে চলাচল পথচারীদের দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। সচেতনমহল বলছেন রাস্তার এই ধীরগতির কাজের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী শফিকুল আহসান জানান , রাস্তার কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আবারো অবগত করা হয়েঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আবারো অবগত করা হয়েছে । আশা করছি পূনরায় দ্রুত সেখানে কাজ শুরু করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন

কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

মাদারীপুরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং

পবিত্র কোরআন ‘অবমাননার’র বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

বাউফলে জেলে ও মান্তা সম্প্রদায়কে চাল বিতরণ

রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

ঢাকা-সিলেট যানজট-ভোগান্তি শেষ হবে কবে?

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নয় মাসে ১২৮টি ভ্রাম্যমাণ অভিযান: জরিমানা আদায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা

ফুলছড়িতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন
