মুন্সিগঞ্জে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

মুন্সিগঞ্জে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিল্ডার। জেলা সদরের বিভিন্ন হাট বাজার , দোকান ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন ডিলাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন আবার ডিলিররা বলছেন কোম্পানি থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে।
তরলীকৃত পেট্রলিয়াম গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারন করে দিলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। নিধারিত দামের চেয়ে ৩৫০ টাকা বেশি পর্যন্ত নিচ্ছেন বিক্রেতারা। ১২ কেজি গ্যাসের একটি সিলিন্ডার তারা বিক্রি করছেন ১ হাজার ৬ শত থেকে ৭ শত টাকায়।
জেলা সদরের সর্বত্রই এলপিজি গ্যাসের বাজারে যেন নৈরাজ্য চলছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যটি। নির্ধারিত বেঁধে দেওয়া মূল্য থাকলেও মানা হচ্ছে না সেই নিয়ম। অধিক মূল্যে গ্যাস বিক্রি হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সুত্রে জানা যায় , ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিশনের সর্বশেষ নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী, গত ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ১২ কেজি গ্যাসের একটি সিলিন্ডারের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা বলে নির্ধারন করে দেওয়া হয়।
তবে সরেজমিন ঘুরে জানা যায় , বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এই এলপি গ্যাসের মূল্য এখন লাগামহীন। সদর উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। এতে করে সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এলপি গ্যাসের মূল্য।
অভিযোগ করে সদরের নয়াপাড়া এলাকার সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম বলেন লাইনের গ্যাসের নানা সমস্যায় এলপিজি ব্যবহার করি। রাতারাতি গ্যাসের দাম আকাশ পাতাল ব্যবধানে দাড়িয়েছে। চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারন ভোক্তারা। বিষয়টি প্রশাসন সুনজরে দেখলে আসল সিন্ডিকেট ধরা সম্ভব।
মাঠপাড়া এলাকার হামিদুর রহমান জানান , এমনিতেই গ্যাস সংকটের কারনে এলপিজি ব্যবহার করি। গত মাসে যে গ্যাস কিনলাম ১৩শ টাকায় সেই গ্যাস এখন ১৬ শ ১৭ শ টাকা। দোকানে গেলে দোকানিদের বাহানার শেষ থাকে না।
সদর উপজেলার সুখবাসপুর ও ভাঙ্গা ( মদিনাবাজার) এলাকার একাধিক গ্যাস বিক্রেতা জানান, আমরা ডিলারদের থেকে গ্যাস ক্রয় করে অল্প লাভে বিক্রি করি । ডিলারদের থেকে যে দামে ক্রয় করি ৫০ টাকা বেশিতে আমরা বাজারে সে গ্যাসটা ছেড়ে দেই। সীমিত লাভ। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন আমাদের বেশি দামে ক্রয় করতে হয়।
লঞ্চঘাট এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মো. লিটন সহ অনেকেই বলেন, প্রতি গত সপ্তাহর ১২ কেজি এলপি গ্যাসের ক্রয়মূল্য ছিল ১৩শ’ টাকা এখন প্রতি সিলিন্ডারে ৩শ থেকে সাড়ে ৩ শ’ টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়।এতে করে আমরা ব্যবসায়ীক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। এখানে অবশ্যই সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসা দরকার।
এদিকে এলপি গ্যাসের মূল্য প্রতি মাসেই ওঠানামা করছে। কিন্তু কখনও সরকার নির্ধারিত মূল্যে তা বিক্রি হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
মূল্য নিয়ে হয়রানি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে সরকার এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সুশিল সমাজের।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আব্দুস সালাম সকালের সময় কে জানান, আমরা সিলিন্ডার গ্যাসের অতিরিক্ত দামের বিষয়টি দেখবো। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে কোন সিন্ডিকেট করেছে কিনা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রীতি / প্রীতি

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন
