মাতৃভাষা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি মহল  

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের মাতৃভাষা কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) মো. কামরুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একটি মহল। ২১ বছরের পূর্বের কাল্পনিক কাহিনী ছড়িয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে ওই মহলটি। মোড়েলগঞ্জ প্রেসক্লাবে রোববার (২৫ জুলাই) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ তোলেন অধ্যক্ষ কামরুল ইসলামসহ শিক্ষকবৃন্দ। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সালে মাতৃভাষা ডিগ্রি কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ভ্যান্তরীণ কোন্দলে তাকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অলিউর রহমান দীর্ঘ ১৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন। পূর্বের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাইকোটের নির্দেশনা মোতাবেক তার পদটি পুনরায় ফিরে পান ২০২০ সালে। পরবর্তীতে ২০২১ সালে ১৫ জানুয়ারি তিনি অবসরে যান। সে লক্ষ্যে বিধিমোতাবেক কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনে চন্দন কুমার কবুলাশীকে প্রস্তাব দিলে তিনি পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় দায়িত্ব পালনে অপারগত প্রকাশ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধিমতে জ্যেষ্ঠতম ৫ জনের মধ্যে যে কোনো একজনকে দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাবনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় শিক্ষক পরিষদের সভায়। বিষয়টি গর্ভনিং বডির সভাপতিকে অবহিত করা হয় অধ্যক্ষের মাধ্যমে। তাৎক্ষণিক মৌখিক নির্দেশে বিধিমোতাবেক সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম মোল্লাকে চলতি দায়িত্বে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দেয়া হয়। কামরুল ইসলাম অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন কলেজের অফিস সহকারী মো. রেজাউল ইসলাম নান্নুসহ একটি চক্র। 

রেজাউল ইসলাম কলেজের  প্রধান অফিস সহকারী পদে চাকরি করেও নিয়মিত অফিস করে না। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও ছাত্রদের কাছ থেকে নাম সংশোধন করে দেয়ার কথা বলে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। ২০০১ সালের ২ অক্টোবর কলেজ অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি একটি কাল্পনিক ঘটনা সম্প্রতি সময়ে অনলাইনসহ পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে, যা আদৌ সত্য নয়। তৎকালীন এ ঘটনা কোনো পত্র-পত্রিকায় আসেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ আদৌ বিষয়টি জানে না।  কাল্পনিক সংবাদের রূপ দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারী মহলটি। অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম মোল্লা বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যকালে তার সাথে ছিলেন- কলেজের সহকারী অধ্যাপক চন্দন কুমার কবুলাসী, প্রভাষক বিষ্ণুপদ দাস, মাহফিজুর রহমান, মো. ফারুক হোসেন, কেএম ফিরোজ কবির, পরীক্ষিত কুমার, এনামুল কবির, মহানন্দ বালা, সঞ্জয় মৃধাসহ শিক্ষকমণ্ডলী।